শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৮ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
শম্পা দাস ও সমরেশ রায়,কলকাতা:
একুশে জুলাই শুক্রবার,বেলা বারোটায়,। ধর্মতলা ভিক্টোরিয়া হাউস এর সামনে ,যে মঞ্চ তৈরি হয়েছে, ১৩ জন শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে, সেইখানে আজ সমস্ত মন্ত্রী, বিধায়ক এবং কাউন্সিলরদের উপস্থিতিতে, তেরো জনের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং একে একে সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেন।মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক ব্যানার্জীর উপস্থিতিতে, প্রথমে শহীদদের প্রতি মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এই একুশে জুলাই এর মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন,। পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, উপস্থিত ছিলেন অভিষেক ব্যানার্জী, সায়নী ঘোষ, সুব্রত বক্সী, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, কলকাতার মহানগরীক ও মন্ত্রী ফিরাদ হাকিম, মন্ত্রী শশী পাঁজা, সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ,মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্য, মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বিধায়ক তাপস রায়, সাংসদ মালা রায়, মন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়, বৈশ্যানর চট্টোপাধ্যায়,। স্বরূপ বিশ্বাস, বিধায়ক দেবাশীষ কুমার থেকে শুরু করে অন্যান্য মন্ত্রী ও বিধায়কগণ এবং প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরগণ।একে একে মন্ত্রী থেকে শুরু করে বিধায়করা প্রথমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে, বক্তব্য শুরু করেন এবং সকলেই একইভাবে কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্রভাবে আক্রমণ করলেন। সাধারণ মানুষকে জোর করে আনা যায় না, তারা বুঝতে শিখেছে কারা কাজের মানুষ , আর কারা খুন খারাপী করা ছাড়া, আর মিথ্যা কথা ও কটুক্তি ছাড়া কিছু করার ক্ষমতা নাই, আর সবাইকে সিবিআই সিআইডির ভয় দেখানো , তবে আমরা সিবিআই, সিআইডি কে ভয় পাই না, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী সবার পাশে থাকেন, সবার উন্নয়নের কথা ভাবেন, আজ একটার পর একটা প্রকল্প সাধারণ মানুষদের হাতে বাড়ির মেয়েদের হাতে এবং ছেলেদের হাতে ও ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে তুলে দিয়েছেন। কন্যাশ্রী থেকে রূপশ্রী, রূপশ্রী থেকে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, বার্ধক্য ভাতা স্বাস্থ্য সাথী সহ বিভিন্ন প্রকল্প একের পর এক উপহার দিয়েছেন। শুধু তাই নয় কেউ দুর্ঘটনায় মারা গেলে তাদের পরিবারকে দু লক্ষ টাকা ও চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন বা এখনো করে দিচ্ছেন,। গ্রামে গঞ্জে গিয়ে সাধারণ মানুষের কথা শুনছেন তাদের সুবিধা অসুবিধা পূরণ করার চেষ্টা করছেন তাই আজ এত মানুষের সমাগম জলে বৃষ্টিতে ভিজেও তারা অপেক্ষা করছেন তাদের দিদিকে দেখার জন্য মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে দেখার জন্য অভিষেক ব্যানার্জীকে দেখার জন্য।মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,। যত রকম ভাবেই জব্দ করার চেষ্টা করব না কেন, আমি কিভাবে আদায় করতে হয় সেটা জানি আমাদের বহু প্রকল্পের টাকা আটকে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার আমরা তা আদায় করেই ছাড়বো।, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির কোথাও থাকবে না, যতই আমার নামে কুৎসা রটাক আমার দলের নামে কুতসা রটাক, গ্রামবাংলায় পঞ্চায়েত ভোটে , জনগণ ব্যালট এ ভোট দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন তারা কাকে চায়, আমাদের দল গুন্ডাবাজি করে না কারণ তারা জানে, আমরা এমনিই জিতবো, সবাই তার কাজের দিদিকে চায়, কাজের মানুষকে চায়, গ্রাম গঞ্জের মানুষ কি আজ কোথাও ছুড়তে হয় না সমস্ত কিছু অনলাইনের মাধ্যমে ব্যবস্থা করে দিয়েছি। সকল বক্তৃতা শেষে জাতীয় সংগীত গে আজকের সমাবেশ সমাপ্ত করেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সভা আরম্ভ হওয়ার এক ঘণ্টা পর থেকেই প্রচন্ড পরিমাণে মাঝে মাঝে বৃষ্টি হতে থাকে যে সকল কর্মীরা আজকের সবাই এসেছিলেন তারা ভিজলেও মঞ্চের সামনে ছেড়ে কোথাও যাননি। সভা শেষ হওয়া পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ দাঁড়িয়ে ছিলেন। সভা চলাকালীন মেডিকেল ক্যাম্প, জল, ডাক্তার অ্যাম্বুলেন্স সমস্ত কিছুরই ব্যবস্থা রাখা ছিল।সভা শেষ হতেই মঞ্চ থেকে সকলকে অনুরোধ করেন, ঘোষণা করেন, আপনারা মঞ্চের সামনে থেকে চলে যান , কারণ আমরা প্রশাসনকে আগে থেকেই জানিয়ে দিয়েছিলাম, আমাদেরকে এক ঘন্টা সময় দেওয়ার, আমরা তার মধ্যে সমস্ত কিছু পরিষ্কার করে দেব, সেই মতো কর্পোরেশনের কর্মীরা সভা শেষ হতেই , পরিষ্কার করতে নেমে গেছেন এবং তারা পরিষ্কার করছেন, তাদেরকে আপনারা সহযোগিতা করুন, তাদেরকে ছেড়ে দিন ,কারণ যান চলাচল আমরা শুরু করে দেবো। ট্রাফিক অফিসারদের আমরা নির্দেশ দিচ্ছি, তারা জাতে যান চলাচল সব দিকে শুরু করে দেয়,। কয়েক মুহূর্তেই কর্পোরেশনের কর্মীরা সমস্ত কিছু পরিষ্কার করে রাস্তা সাপ করে দেন আমাদের ক্যামেরায় সেই রকম চিত্র ধরা পরলো।