বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫১ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
গত ৬ মাস থেকে রাজশাহী রেশম কারখানার শ্রমিকরা বেতন না পেয়ে অত্যান্ত মানবেতর জীযন-যাপন করছেন শ্রমিকরা। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতিতে সংসার খরচ চালাতে হিমশিম, পরিবারের সদস্যদের অসুখ-বিসুখের ফলে ওষুধ কিনতে না পারা, ছেলে মেয়েদের স্কুল কলেজে ভর্তি করাতে না পারাসহ নানান সমস্যায় জর্জরিত হয়ে বাধ্য হয়ে বকেয়া বেতনের দ্রæত পরিশোধের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছে শ্রমিকরা। গত ২২ ফেব্রæয়ারী থেকে রাজশাহী রেশম কারখানার প্রধান ফটকের সামনে নারী-পুরুষ শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করলেও এখনো টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের। শ্রমিকরা বলেন, আমাদের বেতন দেওয়ার মনোভাব এখনো দেখিনি। কারখানা কর্তৃপক্ষের কেউই আমাদের সাথে কথা বলেনি। বেতন দেওয়ার কোন আশ্বাস না পেলে আগামীতে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন শ্রমিকরা। ছয় মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ না করা হলে তারা কাজে ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন শ্রমিকরা। ফলে অচল হয়ে পড়েছে কারখানাটি।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রæয়ারী) সকাল থেকে আবারও আন্দোলন কাজ শুরু করে কারখানার শ্রমিকরা। এই সময় শ্রমিকরা জানান, আমাদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। দৈনিক মজুরী ৩০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা করবে বলে তারা আশ্বাস দিয়েছিলো। তবে সেটাও করেনি বরং আমাদের গত ৬ মাসের পুরো বেতন আটকিয়ে দিয়েছে। ফলে আমাদের সংসার চলছে না। অর্ধহারে অনাহারে দিন চলছে।
শ্রমিকরা বলেন, এক সপ্তাহ থেকে আন্দোলন করছি। এখন পর্যন্ত কারখানা কর্তৃপক্ষ কথা বলতে আসেনি। আমাদের সংসার আর চলছে না। আমরা দ্রæত এই বেতন পরিশোধের দাবি জানাচ্ছি। নারী শ্রমিক লুতফা জানান, আমাদের হাজিরা খাতায় হাজিরা করতে দেওয়া হয়নি। সেই খাতাও কেড়ে নিয়েছেন তারা। আমরা কাজ বন্ধ করতে চাইনা। কাজের জন্যই আমরা এখানে এসেছি। আমার মেয়ে অসুস্থ হয়ে মেডিকেলে আছে। তারপরও মেয়েকে ফেলে বাধ্য হয়ে আজও এখানে এসেছি। আমাদের সাথে কেউ এসে কথা বলুক এবং দ্রæত বেতনটি পরিশোধ করুক।
শ্রমিকদের আরও অভিযোগ, আমরা শুনেছি আমাদের বেতন এসে বসে আছে তবে কি কারণে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না তা আমরা জানিনা। আন্দোলনের বিষয়ে রাজশাহী রেশম সম্প্রসারণ কার্যালয়ের আঞ্চলিক উপ-পরিচালক (ডিডি) ও কারখানা ইনচার্জ কাজী মাসুদ রেজার কার্যালয়ে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। এর আগে লোকসানের কারণ দেখিয়ে ২০০২ সালে তৎকালীন সরকার এই রেশম কারখানা বন্ধ করে দেয়। তখন এই কারখানার ঋণের বোঝা ছিল ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। বন্ধ করে দেওয়ার সময় এই কারখানায় ৩০০ জন শ্রমিক কাজ করতেন।