admin
- ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ / ১৭৯ Time View
Reading Time: 2 minutes
সুদিপ্ত সালাম, হরিনাকুন্ডু :
দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে এক আহবায়ক কমিটিতেই চলছে হরিনাকুন্ডু উপজেলা ছাত্রলীগ। ২০১৭ সালের জুলাই মাসে রিগ্যান আলীকে আহবায়ক, রুবেল রানা ও মানিক হোসেন যুগ্ম আহবায়ক করে উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটির অনুমোদন দেয় জেলা কমিটি। তিন মাসের জন্য এ কমিটি করা হলেও কমিটির বয়স পাঁচ বছর পার হতে চলেছে। আহবায়ক রিগ্যান আলীর ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে অনেকদিন আগেই। যুগ্ম আহবায়ক রুবেল রানা ও মানিক আলীও অনেক আগে বিয়ে করে সংসারী হয়েছেন। এ অবস্হায় চরম দূর্দিন চলছে হরিনাকুন্ডু উপজেলা ছাত্রলীগে। দীর্ঘদিন কমিটি না হওয়ায় দিনের পরে দিন, দলে সময় ও শ্রম দেয়া, বিভিন্ন পদপ্রত্যাশী ছাত্রলীগের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। উপজেলা ছাত্রলীগে তৈরি হয়েছে নেতৃত্বের সংকট। ৫টি কলেজ ও ৮টি ইউনিয়নে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি করাসহ উপজেলা কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার উদ্দেশ্যে আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ পাঁচ বছরেও তারা কোন ইউনিট কমিটি গঠন করতে ব্যর্থ হয়। এ অবস্হায় প্রশ্ন উঠেছে তাদের নেতৃত্ব নিয়ে। অনেকেই বলছেন- এই আহবায়ক কমিটি হরিনাকুন্ডু উপজেলা ছাত্রলীগের কফিনে শেষ পেরেক ঠোকার কাজটি করেছেন। এককথায় আহবায়ক কমিটির নেতৃত্বে দিনের পর দিন নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে হরিনাকুন্ডু উপজেলা ছাত্রলীগ। দীর্ঘদিন ধরে নেই কোন সাংগঠনিক কর্মকান্ড। সাংগঠনিক কর্মকান্ড বাদ দিয়ে ঐ তিন নেতা দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের আখের গুছিয়ে নিতে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এ অবস্হায় দ্রুত নতুন কমিটির দাবী দলটির কর্মী-সমর্থকদের। তারা বলছেন নেতাদের গ্রুপিংয়ের কারণেই দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা। পদ প্রত্যাশী এক ছাত্রলীগ কর্মীর ভাষা,কমিটিতে নেতারা তাদের পছন্দের লোক আনতে ব্যস্ত। যোগ্যতার চেয়ে তারা ‘মাই ম্যান’কে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন। আদৌ কমিটি হবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে তৃণমূল কর্মীদের। এ অবস্হায় স্হবির হয়ে পড়েছে হরিনাকুন্ডু ছাত্রলীগের কার্যক্রম।
হরিনাকুন্ডু উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সাদিক আহমেদ বলেন, তিন মাসের একটি কমিটি সময় নিলো ৫ বছর। এরপরেও একটা নতুন কমিটি উপহার দিতে পারিনি তারা। এটা তাদের অযোগ্যতা। তাদের অযোগ্যতায় সংগঠনের অপূরনীয় ক্ষতি হয়েছে। রুবেল রানা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কমিটি নিয়ে অচলাবস্থা সংগঠনের জন্য ক্ষতিকর। তবে কমিটি করতে না পারার দায়টা কেবল আমাদের কাধে চাপালে হবেনা। স্হানীয় নেতৃবৃন্দের অসহযোগিতা ও বিভাজনের কারনে আমরা সংগঠনকে এগিয়ে নিতে পারিনি। রিগ্যান আলী বলেন, নতুন কমিটি উপহার দিতে কখনো জেলা ছাত্রলীগ আবার কখনো কখনো কেন্দ্রীয় কমিটি আমাদের পথে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে। হরিনাকুন্ডু ছাত্রলীগের এই অচলাবস্থার জন্য দায়টা তাদেরও।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আল ইমরান বলেন, উপজেলা কমিটির সাংগঠনিক ব্যর্থতাগুলো দ্রুত কাটিয়ে উঠতে আমরা তৎপর আছি। হরিনাকুন্ডুসহ যে সকল উপজেলায় মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি রয়েছে সেখানে চলতি সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই আমরা নতুন কমিটি উপহার দিতে পারব বলে আশাবাদী।