রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৪ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারগঞ্জ জামালপুর :
দীর্ঘ ১০ মাস জাহাঙ্গীর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে সহ সভাপতি পদে পদ পেয়েছেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাহ মজনু ফকিরের ছেলে শাহ মোস্তাক আহমেদ। শাহ মজনু ফকির জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার ১ নম্বর চরপাকেরদহ ইউনিয়ন বিএনপির বর্তমান সভাপতি পদ পাওয়া শাহ মোস্তাক আহমেদ জাবির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ২০১৫-২০১৬ সেশনের কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র। এর আগে ২০১৯ সালে ছিনতাইয়ের অভিযোগে ২ বছরের জন্য জাবি থেকে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। পদ পাওয়া মোস্তাকের চাচা সাইদুর রহমান ইউনিয়ন জামাতের আমীর, চাচাতো ভাই লিটন ইউনিয়ন শিবিরের সভাপতি। এছাড়াও তার আত্মীয় স্বজন সব বিএনপির জামাতের অনুসারী বলে জানা গেছে। বিএনপি – জামাতের শাসনামলে বর্তমান ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহ মজনু ফকিরের অত্যাচারে আওয়ামী নেতাকর্মীরা শান্তিতে ঘুমাতে পারতো না। ২০০২ সালে দক্ষিণ তেঘরিয়া আওয়ামী লীগ নেতা রোস্তম আলীর বাড়িতে হামলা,অগ্নিসংযোগ ও লুট হয়। যার নেতৃত্ব দেন জাবি ছাত্রলীগের সহ সভাপতি পদ পাওয়া শাহ মোস্তাকের আহমেদের বাবা শাহ মজনু ফকির। এ নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ ও প্রকাশ হয়। পদ পাওয়া নিয়ে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ্টি প্রকাশ করেছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগসহ সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ নজরুল ইসলাম বলেন,ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ছেলে হলেন জাবি ছাত্রলীগের সহ সভাপতি এতে আমরা মানতে পারছি না। আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। অতিবিলম্বে তাকে বহিঃস্কার করা হোক। ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা ঢাকা মহানগর (উত্তর) ছাত্রলীগের সহ সভাপতি প্রকৌশলী হামিদুর রহমান নুর বলেন,বাবা বিএনপির নেতা এমন কেউ যদি ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আসে বিষয়টি সত্যিই দুঃখজনক। জাবি ছাত্রলীগকে অনুরোধ করবো বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখার জন্য। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক ইলিয়াস সানী বলেন,ছাত্রলীগের পদ দেওয়ার আগে অবশ্যও তার পারিবারিক বেকগ্রাউন্ট যাচাই করা উচিত। বিএনপি – জামাত নেতার ছেলে ছাত্রলীগের দায়িত্বে এলে এতে দল উপকৃত নয় বরং দলের ক্ষতি হবে। তাই বিষয়টি সকলকে আমলে নেওয়ার অনুরোধ। জাবি ছাত্রলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান সোহেল বলেন,আমরা সর্বচ্চো সতর্ক অবস্থানে থেকে কমিটি করার চেষ্টা করেছি। যাতে করে বিএনপির জামাত থেকে সুবিধা নেয় এমন কাউকে পদ দেওয়া না হয়। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগটি এসেছে আমরা আরো তদন্ত করে দেখবো। এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।