সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৬ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
নিজস্ব প্রতিবেদক:
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ৪১ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। বিশ্বের পত্রপত্রিকায় লেখা হচ্ছে, একসময়ের ঋণগ্রহীতা বাংলাদেশ এখন অন্য দেশকে ঋণ দেয়। বিএনপি ও তার মিত্ররা এসব উন্নয়ন দেখতে পায় না।
আজ রোববার দুপুরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বেতাগী বহলপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে উপকারভোগীদের মধ্যে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ২ শতক জমিসহ ঘরের কবুলিয়তনামা হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষকে ঘর দেওয়ার প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে রাঙ্গুনিয়া প্রান্ত থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুদুর রহমান ও উপকারভোগী জাহানারা বেগম প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন।
আজ রাঙ্গুনিয়ায় ৫০টি ঘর হস্তান্তর করা হয়। এ নিয়ে দুই দফায় রাঙ্গুনিয়ায় গৃহহীন অতিদরিদ্র পরিবারের মধ্যে ১৬৫টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের আরও বলেন, এখন যাঁরা ঘর পেয়েছেন, তাঁরা কখনো স্বপ্নেও ভাবেননি যে এভাবে জমিসহ ঘর পাবেন ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলবেন। স্বপ্নকেও হার মানিয়েছে তাঁদের প্রাপ্তি।
খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে হাছান মাহমুদ আরও বলেন, তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। কিন্তু খালেদা জিয়া হাসপাতালে থাকাকালে প্রতিদিনই বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও তাঁদের অন্য নেতারা চিকিৎসা নিয়ে কথা বলেছেন। তাঁরা দাবি করেছেন, খালেদা জিয়াকে সুস্থ করার জন্য বিদেশ নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু খালেদা জিয়া বাড়ি ফিরে যাওয়ার মধ্য দিয়ে এটি প্রমাণিত হয়েছে যে দেশে তিনি সুচিকিৎসা পেয়েছেন। তাঁরা বিদেশে নিয়ে যাওয়ার যে দাবি করেছিলেন সেটি যে অমূলক, তা প্রমাণিত।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘একসময় বাংলাদেশকে কেউ কেউ বলত তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ, সেই বাংলাদেশ এখন উপচে পড়া খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশ। দুর্যোগ–দুর্বিপাকে আগে আমরা অন্য দেশ থেকে সাহায্য নিতাম, এখন আমরা বিভিন্ন দেশকে সাহায্য করি। নেপালের ভূমিকম্পে আমরা ৩০ হাজার মেট্রিক টন চাল সহায়তা দিয়েছি। শ্রীলঙ্কা, ফিলিস্তিনসহ অন্যান্য দেশকেও আমরা সহায়তা দিয়েছি।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার কামরুল হাসান, ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম, জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান, পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক, সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বি, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, পৌরসভার মেয়র শাহজাহান সিকদার।