সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৬ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
# স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যানের যোগসাজস ও এ্যাডিশনাল পিএমজি‘র সহযোগীতায়,কৌশলে মৃত মালিকেরহাতিয়ে নিলেন।
নিজস্ব সংবাদদাতা, কুষ্টিয়া:
মেয়ে হয়ে সবার চোঁখে ধুলো দিয়ে মৃত পোষ্টম্যানকে স্বামী বানিয়ে এলএলও‘র লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিলেন কাজের বুয়া লিলি খাতুন নামে নারী। ঠিকানা ত্রিমহোনী মিরপুর রোড, সিদ্দিক/সাইদারের বাড়ি, হোল্ডিং নং-১০৮, জেলা কুষ্টিয়া সদর, কুষ্টিয়া হলেও তিনি আলফার মোড় জোড়া ট্যানেসমিটার সংলগ্ন দোতলা একটি বাড়িতে বর্তমানে ভাড়া থাকেন। সুত্রে জানা যায়, প্রায় দুবছর আগে নিজের ১৬ বছরের মেয়ে ও ৩ বছরের ছেলেকে রেখে কাজের বুয়া হিসেবে চুয়াডাঙ্গা জেলার হারদী ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের বোধ্যনাথপুর মাঠপাড়া এলাকার আলীহিম, প্রাক্তন পোষ্ট ম্যান এর বাড়িতে কাজের বুয়া হিসেবে যোগদান করেন। আলীহিমের প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর সময় রাশেদ আলী মিল্টন (৩৬) ও মিলি খাতুন (৩২) কে রেখে যান। মেয়ে বিয়ে হয়ে শশুর বাড়িতে চলে গেলে ছেলে উপজেলা উপসহকারী পাঠ উন্নয়ন কর্মকর্তা, মুজিবনগর চাকরী করায় সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয় ছেলে রাশেদকে। তাই বৃদ্ধ পিতার জন্য বাড়ির কাজের মানুষ হিসেবে লিলি খাতুনকে ভালো পারিশ্রমিকে নিয়ে যাওয়া হয়। যোগদানের ৬ মাস পরে হটাৎ করে আলীহিম মৃত্যুবরণ করেন। সুত্রে জানা যায়, এই মৃত্যুতেও তার নাকি হাত ছিল। কারণ তিনি সরকারী চাকুরী করতেন এবং বাড়িতে বেশিভাগ সময় একা থাকতেন। মৃত্যুর কিছুদিন পর ঐ এলাকার আলমগীর নামক এক ব্যক্তিকে দিয়ে একটি নকল কাবিলনামা বানিয়ে নেন যে, তিনি আলেহিমের দ্বিতীয় স্ত্রী। তবে আলমগীর কোন কাজী নন তার সর্ম্পকের দুলাভাই কাজী সেই সুবাদে তার বই ধার হিসেবে নিয়ে অর্থের বিনিময়ে কাবিলনামা বানিয়ে নেন। এখানেই শেষ নয় মৃত আলীহিমের ওয়ারিশ সদন, নাগরিক সনদ, মৃতুর প্রমান পত্র, মৃতুর নিবন্ধনসহ প্রয়োজনীয় সকল কাগজ পত্র ততকালিন হারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামকে দিয়ে কৌশলে বানিয়ে নেন। বিষয়টি জানাজানি হলে আলীহিমের সন্তানেরা চুয়াডাঙ্গা কোর্টে একটি দেওয়ানী মামলা করেন যার মামলা নং ৬৮/২১। কিন্তু কোর্ট কোন ইনজেংশন না দেয়ার সুযোগে তিনি কুষ্টিয়া থেকে চুয়াডাঙ্গা অফিসে তোরজোড় শুরু করেন টাকা তোলার জন্য। বার বার ব্যর্থ হওয়ার একপর্যায়ে তিনি খুলনা বিভাগীয় এ্যাডিশনাল পিএমপি আমিনুল ইসলামকে পোটিয়ে তাকে দিয়ে চুয়াডাঙ্গা পোষ্ট অফিস পরিদর্শক শাহাবুদ্দিনকে প্রেসারে ফেলে মৃত আলীহিমের এলএলও‘র ৩ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা কৌশলে হাতিয়ে নিয়েছেন। এই কাজে মিথ্যা নাটক বানিয়ে কুষ্টিয়াসহ চুয়াডাঙ্গার পাওয়ারফুল ব্যক্তিদের তিনি ব্যবহার করেছেন বলেন বলেও সুত্রে উঠে এসেছে। যদিওবা তাদের দ্বারা কোন কাজ হয়নি সেই সাথে লিলি খাতুনের মিথ্যা নাটক সর্ম্পকে তারা বুঝতে বা ধারনা করতে পারেনি। বিস্তারিত আগামী পর্বে তুলে ধরা হবে। তবে বিষয়টি জানতে পেরে মৃত আলীহিমের ছেলে রাশেদ আলী পূণরায় যাতে আর টাকা উঠাতে না পারেন তার জন্য চুয়াডাঙ্গা কোর্টে ইনজেংশন বা স্টে অর্ডার দিতে একটি মামলা দ্বায়ের করেন যায় মামলা নং-২/২৩।
এই বিষয়ে খুলনা বিভাগীয় এ্যাডিশনাল পিএমপি আমিনুল ইসলামের সাথে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এই বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা পোষ্ট অফিস পরিদর্শক শাহাবুদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি জানা, আমি মামলা সংক্রান্ত সব কিছু জেনেও খুলনা বিভাগীয় এ্যাডিশনাল পিএমজি আমিনুল স্যারের প্রেসারে নিজের চাকরী বাঁচাতে তার টাকাটা দিতে বাধ্য হয়েছি।
এই বিষয়ে কুষ্টিয়া ডেপুটি পোষ্টমাস্টার জেনারেল গোলাম মহাসিনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমরা তার মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে অবগত আছি কোন ইনজেংশন না থাকায় আমাদের কাগজ পত্রের উপর নির্ভর থাকতে হচ্ছে। বিভাগীয় স্যারদের চাপ থাকলেও কাগজপত্র ছাড়া আমাদের কাছে এসব কোন সুযোগ নেই জানান তিনি।
বিষয়টি অনেকটা উদবেগ জনক ভেবে অনেকে মনে করছে এমন দুঃশ্চরিত্র নারীকে আইনের আওতায় না পারলে হয়তো অসহায় মৃত আলীহিমের সন্তানেরা বাবার প্রাপ্য এককালীন সম্মানী অর্থ থেকে তারা বঞ্চিত হবে। সেই সাথে নয়ছয় করে অর্থ প্রদানের জন্য হয়তো অনেককে পোষ্ট অফিস থেকে চাকরীচুৎ হতে হবে।