শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৪ অপরাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
সোহাগ আলী, ঝিনাইদহ:
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে উপজেলার ২ নং জমাল ইউনিয়নে শালিষ বৈঠক শুরুর আগেই দু’পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে এবং ২ জনকে আটক করেন। বুধবার (২৬ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার জামাল ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে।জানা যায়, গত ২০ জুলাই রাতে উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মসলেম মোল্ল্যার ছেলে বাবুল মোল্ল্যা ওরফে ঘ্যানাকে কুপিয়ে জখম করে একই গ্রামের প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা। পরে এ ঘটনা মিমাংসার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোদাচ্ছের হোসেন বুধবার বিকালে তার ইউনিয়ন পরিষদে উভয় পক্ষকে নিয়ে এক শালিষী সভা ডাকেন। সভাতে স্থানীয় সাংসদ সদস্য মোঃ আনোয়ারুল আজিম আনারের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু তিনি পৌঁছানোর আগেই বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে পরিষদ অভ্যান্তরেই উপস্থিত দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্ষায়ে উভয় পক্ষই লাঠিসোঠা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে ওই গ্রামের শওকত মোল্ল্যা (৬০), আলাউদ্দিন মোল্ল্যা (৪৫), নজির মন্ডল (৪৫) সেলিম (৪০), শাহাজান (৪৫), সোহান মোল্ল্যা (১৭) ও আমিরুল’সহ উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন জখম হয়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। স্থানীয়রা আহতদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে এদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় ৫ জনকে যশোর সদরে রেফার্ড করা হয় এদিকে পুলিশের উপস্থিতির পর সংঘর্ষ থেমে গেলেও পরে ওই গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়ি ঘরে হামলা ও ভাংচুরের খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।কালীগঞ্জ থাানার অফিসার্স ইনচার্জ মাহাবুবুর রহমান জানায়, গ্রামের সামাজিক দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন আনে। এ ঘটনায় দুই জনকে আটক করা হলেও এখনো কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি বলে জানান।