মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
হারুন উর রশিদ সোহেল, রংপুর ব্যুরো:
পোস্ট অফিসের অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগে দুদকের করা মামলায় কুড়িগ্রামের সহকারী পোস্ট মাস্টারসহ ছয় জনকে ৯ বছরের সাজা দিয়েছে আদালত। রায় ঘোষণার সময় চার জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি দুই জন পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ প্রদান করা হয়। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুর অঞ্চলের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ আদালতের বিচারক হায়দার আলী এ রায় দেন। মামলা দায়েরের দীর্ঘ ১৯ বছর পর এ রায় ঘোষণা করা হয়েছে। এতে দণ্ডাদেশের পাশাপাশি আসামিদের ১২ লাখ ২০ হাজার ৪৯২ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সহকারী পোস্ট মাস্টার আবুল কালাম আজাদ, লেজার অপারেটর হাবিবুর রহমান, একই পদের আব্দুল মালেক ও অশোক কুমার নাথ, কাউন্টার অপারেটর মো. মতিউল ইসলাম, একই পদের মো. মওদুদ হাসান। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০২ সালের এপ্রিল থেকে ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কুড়িগ্রাম পোস্ট অফিসে কর্মরত আসামিরা একে অপরের যোগসাজশে জালিয়াতির মাধ্যমে গ্রাহকের জমানো সঞ্চয়পত্র থেকে ৬ লাখ ১৫ হাজার ৫৭৬ টাকা আত্মসাত করা হয়। এ ঘটনায় কুড়িগ্রাম পোস্ট অফিসের পরিদর্শক এসএম শাহাদাত সুলতান ২০০৫ সালের ৯ মে পোস্ট অফিসের ছয় কর্মকর্তা-কর্মচারিকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত পায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মো. জাকারিয়া। মামলায় অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেককে ৯ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১২ লাখ ২০ হাজার ৪৯২ টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত। সেই সঙ্গে জরিমানার পুরো অর্থ আগামী ৬০ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার আদেশ দেন তিনি। পলাতক দুই আসামি মওদুদ হাসান ও অশোক কুমার নাথের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন বিচারক।
সরকারের কৌশলী হারুনর রশীদ বলেন, দীর্ঘদিন হলেও সাক্ষ্য দিয়ে মামলাটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। এ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি। অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুর রহমান বলেন, আমার মক্কেলরা ন্যায়বিচার পায়নি। এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।