বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১১ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
হুমায়ূন কবির,পাবনা:
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা দিলপাশার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নানের বিরুদ্ধে সরকারি জোলা ভরাটের নামে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। বেতুয়ান ৮নং ওয়ার্ড, বেতুয়ান ঘাট হতে দক্ষিণ দিক দিয়ে বয়ে যাওয়া সরকারি জোলা। জোলা ভরাটের নামে জোলার দুইপারে শতাধিক বসতিদের কাছ থেকে জোর পৃর্বক চাঁদা আদায় করে রাস্তা নির্মান করার কথা বলে তা নির্মান না করায় জোলার দুইপারের মানুষ হতাশ।ইতিমধ্যে গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে পাবনা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বেতুয়ান গ্রামের ভুক্তভোগী আঃ লতিফ, শাহানুর আলী, কালু,মিজানুর, গোলবার হোসেন, জসিম,রতনসহ আরও অনেকে।তারা অভিযোগে উল্লেখ করেছেন চেয়ারম্যান গ্রুপের সন্ত্রাসীরা সরকারি জোলা -বেতুয়ান মৌজা- হাল দাগ নং -২২৯৪,২৩৯৬,১৭৩৯ দাগে খাস সম্পত্তির উপর ঘর বাড়ি জোরপৃর্বক নির্মান করায় আশপাশের লোকজনের চলাচলে বিঘ্নিত করছে চেয়ারম্যান বাহিনী। চেয়ারম্যান তার নিজস্ব লোকজনকে খাস জায়গায় ঘর উঠিয়ে দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
গত ৬ মে কালের কন্ঠ পত্রিকায় চেয়ারম্যানের নামে অভিযোগ করায় (ইউপি) সদস্যদের হুমকি খবরটি প্রকাশিত হয়,একই তারিখে মানব কন্ঠ পত্রিকায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় প্রাণনাশের হুমকি খবর প্রকাশিত হয়েছে। ৭ মে আজকের পত্রিকায় চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান প্রয়োজনে আমি ও মার্ডার করব সংবাদ প্রকাশিত হয়।২০মে প্রথম আলো পত্রিকায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে( ভিজিডি)কর্মসূচির চাল আত্মসাতের অভিযোগ নামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। অভিযোগে উল্লেখ করেছেন ভাঙ্গুড়া থানার ওসি তদন্ত ডিউটিরত অবস্থায় তাকেও চেয়ারম্যান ও তার বাহিনীর লোকজন মারপিট করেছিল যার মামলা – ৫৫/২০২০ মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। নৌকা প্রার্থীকে পরাজিত করে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, বেপরোয়া, বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত চেয়ারম্যান। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লেখালেখি হলেও উৎকোচের বিনিময়ে তা ধামাচাপা পড়ে যায়। সরজমিন গিয়ে দেখা যায় বেতুয়ান ঈদগা মাঠের পাশ দিয়ে মাঠপাড়া অভিমুখী পাকা রাস্তায় গিয়ে জোলা শেষ হয়েছে।কোন প্রকার সরকারি বরাদ্দ নেই। চেয়ারম্যান ও তার লোকজন মনগড়া ভাবে জোলার কিছু অংশ বালি ভরাট করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ভুক্তভোগী অধিকাংশই কৃষক। কৃষি কাজ করেই জীবিকা নির্বাহ করতে হয়।এমন কোন অবস্থাশালি ব্যাক্তি নাই যে, তাদের টাকা খরচ করে রাস্তা নির্মান করবে! জোরপূর্বক টাকা আদায় করে নিয়েছে জানতে চাইলে একাধিক ব্যাক্তি বলেন – টাকা না দিলে পালের গরু নিয়ে যায়, মারপিট করে ভয়ে গরু বিক্রি করে টাকা দিয়েছি, কেউ জমি কট দিয়ে টাকা দিয়েছে, কেউ সুধের উপর টাকা নিয়ে দিয়েছে। সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পড়ে অনেকেই আশ্বস্ত হন মনে হয় এবার জুলুম নির্যাতন থেকে মুক্তি মিলবে।এবিষয়ে চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান বলেন- আপনারা কেন এসেছেন কে আপনাদের খবর দিয়েছে, যদি খবর দাতার নাম না বলেন তাহলে আমি আপনাদের কাছে বলতে বাধ্য নয়।এমন আচরন একজন জনপ্রতিনিধির কাছে কেউ আশা করে না, সাংবাদিক তার ব্যতিক্রম নয়। তবে- ইউএনও নাহিদ হাসান খান বলেন- বিষয়টি আমি দেখবো।