বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:০১ পূর্বাহ্ন

News Headline :
ইউপি চেয়ারম্যানের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কের মাটি সরে গিয়ে দূর্ভোগে জনগণের সেবা দেওয়ার জন্যই সরকার আমাকে পাঠিয়েছেঃ-নওগাঁর নবাগত ডিসি রাজশাহীতে শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে শুটার রুবেল পাবনায় সাংবাদিকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত ও মতবিনিময় করলেন নবাগত জেলা প্রশাসক মধুপুরে বৈষম্যবিরোধী ও কোটা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে  বিএনপির দোয়া  মাহফিল অনুষ্ঠিত  পাবনার হেমায়েতপুরে কারামুক্ত বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংবর্ধনা ও আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্বোধন বাঘাইছড়িতে বিএনপির দুই নেতা বহিষ্কার ডোমারে সীরাতুন্নবী (সাঃ) মাহফিল অনুষ্ঠিত পাবনার সুজানগরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পথসভা অনুষ্ঠিত

কয়রায় ব্যাঙ্ক চেক ও স্ট্যাম্পে সুদি মহাজনদের রমরমা ব্যবসা

Reading Time: < 1 minute

মো: ইকবাল হোসেন, কয়রা, খুলনা:
ব্যাঙ্ক চেক ও সাদা স্টাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে উপকূলীয় কয়রায় সুদি মহাজনদের রমরমা ব্যবসায় নি:স্ব হচ্ছে ঋণগ্রস্তরা। অসহায় লোকদের চড়া সুদে ঋণ দিয়ে সর্বস্বান্ত করছে তারা। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কিছু ভুঁইফোড় সমিতি ও এনজিওর দাদন ব্যবসা জোরেশোরে চলছে উপজেলার সর্বত্র।
সরজমিনে ঘুরে জানা গেছে, কতিপয় অসাধু মহাজন গ্রাম্য সমিতি খুলে ক্ষুদ্র ঋণ দিচ্ছে। এদের রয়েছে বড় সিন্ডিকেট চক্র। তারা নামমাত্র এনজিও খুলে করছে রমরমা সুদের কারবার। এতে সুদ পরিশোধে দিশেহারা উপকূলীয় ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। তারা মাসিক শতকরা ১৫-৩০ টাকা হারে ৫ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৩০-৪০ লাখ টাকা ঋণ দেয়। ঋণ দেয়ার সময় এরা ঋণ গ্রহণকারীর কাছ থেকে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর ও ব্যাংকের ব্যাঙ্ক চেকে সই নেয়। সুদ সহ ঋণ শোধে ব্যর্থ হলে ব্যাংক চেকের পাতায় ইচ্ছেমতো টাকার  অংক বসিয়ে নেয়। পরে মামলা মোকদ্দমার ভয় দেখিয়ে আদালতে মামলাও ঠুকে দেয়। ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী জানায়, সুদ ব্যবসায়ীরা এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এদের মধ্যে ইউপি সদস্যরাও রয়েছে। বিপদে পড়ে কেউ তাদের থেকে ৫০ হাজার টাকা নিলে ৫ মাস পরে ৫ লাখ টাকা দিলেও মহাজনের টাকা পরিশোধ হয় না। তারা মানুষের বাড়ি, জমিও লিখে নিচ্ছে। এরা এলাকার প্রভাবশালী বলে ভয়ে সবাই চুপ থাকে। এসব সুদ সিন্ডিকেটের ওপর প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো দরকার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আমাদী ইউনিয়নের এক ব্যক্তি জানান, আমি ব্যবসার জন্য স্টাম্পে সই দিয়ে একজনের থেকে কয়েক বছর আগে ১ লাখ টাকা ঋণ নেই। ৩ লাখ টাকা শোধ করলেও স্টাম্পের জন্য হয়রানি ও মামলার ভয় দেখাচ্ছে।
কয়রা থানা ওসি এবিএমএস দোহা বলেন, সুদের টাকার জন্য কারো জমি, বাড়ি দখল বা মারধর করা হয়েছে। কেউ থানায় এমন অভিযোগ করলে সুদ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এবিষয়ে খুলনা জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামার তালুকদার  বলেন, এব্যাপারে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com