বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৪ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
রাকিব মাহমুদ ডাবলু :
বগুড়ার গাবতলীতে স্থানীয় সুখদহ নদীতে একটি ছোট্ট ব্রিজের অভাবে দুইটি উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসী বিকল্প পথ হিসেবে সেখানে কাঠের ব্রিজ তৈরি করে ঝুঁকি পূর্ণ ভাবে চলাচল করছে।। জানা যায় গাবতলী উপজেলার নেপাতলী ইউনিয়ন বুরুজ পূর্বপাড়া এলাকায় ও পার্শ্ববতী সারিয়াকান্দী উপজেলার নারচী গ্রামের পশ্চিমে অবস্থিত সুখদহ নদী বয়ে গেছে। ৬৫মিটারের একটি ব্রিজের অভাবে প্রতিদিন নারচী ও বুরুজ আশেপাশের গ্রামের কয়েক হাজার লোক মাঠে ও শহরে আসা যাওয়া করে কাঠের ব্রিজের পূর্বপাশ্ববর্তী সারিয়াকান্দি উপজেলা থেকে একটি পিচঢালা পাকা সড়ক এসে সংযুক্ত হয়েছে। নদীতে পাকা ব্রিজ না থাকায় রিকশা ভ্যান যন্ত্রচালিত কোন যানবাহন মালামাল পরিবহন করা সম্ভব হচ্ছে না বুরুজ গ্রামের কৃষকের কয়েক হেক্টর জমি রয়েছে ব্রিজের পূর্ব পাশে হাল চাষ করতে গরু ও পাওয়ার টিলার এবং উৎপাদিত শস্য সামগ্রী আনা-নেওয়া ও ব্রিজের ওপর দিয়ে খুব ঝুঁকিপূর্ণ যে কারণে তাদের বিকল্প পথ দিয়ে ঘুরে আসতে হয় কোন রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার ক্ষেত্রে রোগীর স্বজনদের বিভ্রান্তি পড়তে হয় ফলে ১০মিনিটের রাস্তা ঘুরে আসতে ১ ঘন্টা সময় লাগে এলাকার কৃষক আনিছুর রহমান (৭০)।ফুলমিয়া (৬৫)গৃহবধূ রোমানা বেগম(৬০) আইরিন নাহার (৪৫) জানান বুরুজগ্রামে সুখদহ নদীতে একটি ছোট ব্রিজের অভাবে আমাদের ও পার্শ্ববর্তী সারিয়াকান্দি উপজেলার নারচী গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের ব্রিজ দিয়ে চলাচল ও মালামাল আনা নেওয়া খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। রোলিং না থাকায় কোনো মতে আমরা পায়ে হেঁটে ব্রিজের পারাপার হই। আমাদের এধরনের দূর্ভোগ দেখে স্থানীয় চেয়ারম্যান এস এম লতিফুর বারী মিন্টু ও ইউপি সদস্য মোঃ মহিদুল ইসলাম টুনু ব্যক্তিগত উদ্যোগে কয়েক বছর আগে কাঠের ব্রিজ তৈরি করে দিয়েছেন। প্রতিবছর রোদ-বৃষ্টিতে কাঠ গুলো নষ্ট হয়ে যায় তখন আরো ঝুঁকিতে পড়তে হয়। এলাকাবাসী আরও জানায় আমাদের কৃষি পণ্য গুলো হাট-বাজার নিতে না পারায় সেগুলো কম দামে ফড়িয়াদের কাছে কমদামে বিক্রি করতে হয় ফলে ফসলের খরচ ওঠে না আমাদের লোকসান গুনতে হয় তারা সুখদহ নদীতে দ্রুত একটি পাকা ব্রিজ দাবি করেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ মহিদুল ইসলাম টুনু জানান অনেক এমপি এখানে ব্রিজ তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি আমি ব্যক্তিগতভাবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর( এলজিইডি) গাবতলী অফিসে যোগাযোগ করেছি। ইঞ্জিনিয়ার মাপযোগ করে নিয়ে গেছেন তিনি বুরুজগ্রামের সুখদহ নদীতে ব্রিজের জন্য স্থানীয় এমপি রেজাউল করিম বাবলুর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) গাবতলী অফিসে যোগাযোগ করা হলে প্রকৌশল রিপন কুমার সাহা জানান নেপালতলী ইউনিয়নের বুরুজ গ্রামের সুখদহ নদীতে একটি ৬৫ মিটার ব্রিজের মাপযোগ করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে অনুমোদন হলে সেখানে দ্রুত ব্রিজ তৈরির কাজ শুরু হবে।