বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৬ অপরাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
শাহরিয়ার মিল্টন ,শেরপুর :
শেরপুর গারো পাহাড় সীমান্তে একদল বুনোহাতি স্থানীয় কৃষকের আধপাকা ধান খেয়ে সাবাড় করেছে । সর্বস্ব শেষ করে আমন আবাদ করেছিলেন কৃষক। আর কদিন পরেই ঘরে তুলতো সেই ফসল। কিন্তু কৃষকের সেই স্বপ্ন আর পূরণ হলো না। শনিবার (৪ নভেম্বর) ভোর রাতে একদল বুনোহাতি তার ক্ষেতের সমস্ত ফসল খেয়ে একেবারে শেষ করে দিয়েছে।
জানা গেছে, শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার কালাপানি পাহাড়ি অঞ্চলে দুই পাহাড়ের মাঝখানে কৃষক রমজান আলী দেড় একর জমিতে আবাদ করেন এই ধান। অনেক কষ্টে ঋণ ধার করে বুকভরা স্বপ্ন নিয়ে তিনি এ ফসল আবাদ করেছিলেন। আর মাত্র কয়েক দিন পরেই যে ধান উঠতো কৃষকের গোলায় রাতের আঁধারে হাতির দল নামে সেই ক্ষেতে। অর্ধপাকা ধান খেয়ে সাবাড় করে। পা দিয়ে মাড়িয়ে মাটির সঙ্গে সব মিশিয়ে দেয়। সকালে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষাণ-কৃষাণী ক্ষেতের পার্শ্বে এসে হতাশায় ভেঙে পড়েন। স্থানীয় পাহাড়বাসী হাতির আক্রমণ থেকে বাঁচতে দাবি জানায় সরকারের কাছে। প্রতি বছর এই ধান কাটার ঠিক আগ মুহূর্তে বুনো হাতির দল তাদের ফসলি জমি বিনষ্ট করে যাচ্ছে। হাতির আক্রমণ থেকে কোনোভাবেই রক্ষা পাচ্ছে না পাহাড়বাসী। তাই এখন নির্ঘুম রাত কাটায় তারা। সেইসঙ্গে সরকারে কাছে স্থায়ী সমাধান চায় এলাকাবাসী। এ বিষয়ে মধুটিলা রেঞ্জের রেঞ্জার মো. রফিকুল ইসলাম জানায়, বুনোহাতি শুধু কৃষকের জমিই নয়, আমাদের ইকোপার্কের ভেতরেও প্রবেশ করেছিলো। আমরা তাড়িয়ে দিলে রাতে কালাপানি গ্রামের ওই জমিতে যায়। সরকার থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আবেদন করলে তাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।