admin
- ১৪ জানুয়ারী, ২০২৩ / ১৪৯ Time View
Reading Time: < 1 minute
আব্দুল্লাহ আল মামুন, খাগড়াছড়ি:
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার গুইমারার বড়পিলাকে বিধবা ময়না বেগম(৩৫) সন্তান প্রসবের পর দুলাভাই উধাও বলে অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার(১৩ জানুয়ারী) সন্তান প্রসব করেছেন আফসার আলীর মেয়ে ময়না বেগম। শাহজাহান মোল্লার সাথে বিয়ে বিহীন শারিরীক সম্পর্কের অভিযোগ ও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না করায় সমাজের কর্তাদের দায়ী করেন ময়না বেগম। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বিয়ের প্রলোভন দীর্ঘ প্রায় ১২বছর আগে শাহজাহান মোল্লা ময়নার সাথে অবৈধ শারিরীক সম্পর্ক করে। বিষয়টি এলাকায় জানা জানি হলে, ময়না বেগমকে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। পরে শাহজাহান মোল্লা কৌশলে শ্যালীকা ময়না বেগমকে বাবার বাড়ি থেকে নিয়ে আসে। ময়না বেগম পূর্বের স্বামী বাছির মিয়ার ক্রয়কৃত বাড়িতে বসবাস করলে সেখানে গিয়ে আগের মতো অবৈধ শারিরীক সম্পর্ক করে একাধিক সন্তান প্রসবের ঘটনা ঘটলে শাহজাহান মোল্লা একে একে সব সন্তান নষ্ট করতে ময়না বেগম বাধ্য করে। ১৩জানুয়ারী রাতে সন্তান প্রসবের কথা শুনে শাহজাহান মোল্লা আত্মগোপনে চলে গেছেন।
এ ব্যাপারে ময়না বেগম অভিযোগ করে বলেন, র্দীঘ ১২বছর পূর্বে আমার বোনের বাসায় আসলে আমাকে বিভিন্ন রকম প্রলোভন দেখিয়ে আমার সাথে শাহজাহান মোল্লা দিনের পর দিন শারিরীক সম্পর্ক করে। পরে শাহজাহানের বিরুদ্ধে সমাজে বিচার দিলে সমাজের ব্যক্তিরা থানায় বিচার দিতে বলে। এ ঘটনায় দুইটি মামলা দায়ের করলেও এখনো একের পর এক জোরপূর্বক শারিরীক সম্পর্ক করার জন্য আমাকে বাধ্য করে। একপর্যায়ে আমার গর্ভে তার সন্তান আসে। ১৩জানুয়ারী রাতে একটি ছেলে সন্তান জন্ম হয়। ছেলের বাবার স্বীকৃতিসহ সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন ময়না বেগম।
এই বিষয়ে বড়পিলাক ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার ছানা উল্লাহ বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছি। তবে সমাজের কর্তাদের বিরুদ্ধে ময়না বেগম যে অভিযোগ করেন তা সঠিক নয়। শাহজাহানের বিরুদ্ধে এর আগে অনেকবার বিচার হয়েছে কিন্তু সে অর্থ সম্পদের দাপট দেখিয়ে সমাজের কর্তাদের তোয়াক্কা না করে একের পর এক অপরাধ করেছে। পরে ময়না বেগমকে আমরা আইনের সহযোগিতা নেওয়ার পরার্মশ দেই।
গুইমারা থানর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মুহাম্মদ রশীদ বলেন, এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।