admin
- ১০ জানুয়ারী, ২০২৩ / ৮০ Time View
Reading Time: 2 minutes
মো: ইকবাল হোসেন, গোপালগঞ্জ:
গোপালগঞ্জে অনাবাদি-পতিত জমি আবাদের সামগ্রিক নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র শেখ রকিব হোসেন। এতে লক্ষ্যমাত্রা অধিক জমিতে বোরো বীজতলা করেছে কৃষক। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্ত গোপালগঞ্জ জেলার ৫ উপজেলায় বোরো ধানের আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৪ হাজার ২৭.৫ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। এদিকে কৃষকেরা ৪ হাজার ৩৪১ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের বীজতলা করে লক্ষ্যমাত্রা পেরিয়ে গেছেন। বোরো ধানের চারা তুলে জমিতে রোপণ চলমান রয়েছে। অনেক কৃষক বীজতলা থেকে ধানের চারা তুলে বাজারে বিক্রি করে নগদ অর্থও পাচ্ছেন। জানা গেছে, এ বছর কৃষক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩১৪.৫ হেক্টর জমিতে বেশি বোরো ধানের বীজতলা করেছে। এ চারা দিয়ে জেলার ৮০ হাজার ৫৪৬ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলার ৫ উপজেলায় উৎসবের আমেজে বোরো ধান রোপন শুরু হয়েছে। সদর উপজেলায় ২২৫ হেক্টর, মুকসুদপুরে ১১৫ হেক্টর, কাশিয়ানীতে ২৫০ হেক্টর, কোটালীপাড়ায় ৯৩৪ হেক্টর ও টুঙ্গিপাড়ায় ১ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। বাকী জমিতেও পুরোদমে বোরো ধানের আবাদ চলছে। গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণের উপ-পরিচালক ড. অরবিন্দ কুমার রায় বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশের সকল অনাবাদি পতিত জমিতে চাষাবাদ করার জন্য দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন। কোথাও এক ইঞ্চি জমিও যেন খালি না থাকে-এ নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় কৃষকরা বোরো ধানের আবাদ বৃদ্ধিতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে বীজতলা করেছে। আমাদের লক্ষ্য এ বছর প্রধানমন্ত্রীর আহবানে গোপালগঞ্জে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে বোরো ধানের আবাদ হবে।’গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের কৃষক হেমায়েত উদ্দিন খোন্দকার বলেন, ‘আমি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শে ২৫ শতাংশ জমিতে বোরো ধানের আদর্শ বীজ তলা করেছি। গত বছর ২ একর জমিতে ধান করেছিলাম। এবছর প্রধানমন্ত্রীর আহবানে সাড়া দিয়ে আড়াই একর জমিতে ধানের চাষাবাদ করব। অতিরিক্ত ধানের চারা বাজারে বিক্রি করে নগদ অর্থ পাচ্ছি।’ এবিষয়ে গোপালগঞ্জ পৌরসভার পৌরপিতা জনাব মো: শেখ রকিব হোসেন বলেন, চলতি বছরে খাদ্য চাহিদা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা সহ সকল আনাবাদি ও পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় আনতে সকলকে নিয়ে কাজ করছি। ধানের চাষাবাদ বৃদ্ধিতে আমরা কৃষককে ধানবীজ ও সার প্রণোদনা হিসেবে প্রদানে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশও দিয়েছি।’