বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
আঃ খালেক মন্ডল,গাইবান্ধা:
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ বাজারে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী দুই গ্রামবাসীর মধ্যে দুই ঘন্টাব্যপী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে মহিমাগঞ্জ সুগারমিল-স্টেশন সড়কে দফায় দফায় চলা এ সংঘর্ষ হয়েছে। মহিমাগঞ্জ স্টেশন সংলগ্ন রেলপথ থেকে পাথর নিয়ে এসে ঢিল ছোঁড়ায় উভয় গ্রামবাসীর মধ্যে ১০-১২ জন আহত হয়েছে। খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার একদল পুলিশ সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টা কারে এবং গাইবান্ধার থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়।স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার উপজেলার মহিমাগঞ্জ টাউন ক্লাব মাঠে একটি তুচ্ছ বিষয় নিয়ে একই ইউনিয়নের গোপালপুর ও জিরাই গ্রামের কয়েকজন যুবকের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের একজন সদস্য বিরোধ মিমাংসার জন্য সেখানে এগিয়ে গেলে তাকে লাঞ্ছিত করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এসময় উভয় গ্রামের লোকজনদের মাঝে সংঘর্ষের ঘোষণা লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে। এরই জের ধরে রবিবার সকাল ১০টার দিকে জিরাই ও গোপালপুর গ্রামের কয়েকশ’ মানুষ লাঠি ও বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মহিমাগঞ্জ বাজার এলাকায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।সংঘর্ষ কালে রেলপথের পাথর ও ইটের টুকরা দিয়ে উভয় দিক থেকে বৃষ্টির মতো ঢিল ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। এ সময় উভয় পক্ষে ১০-১২ জন মাথায় আঘাত পেয়ে আহত হয়। আহতদের মধ্যে আটজনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলো, উভয়পক্ষের আবুল কালাম (৩৫), ফেরদৌস (২০), জোহা (৫৫) ও রানা (৩২) এবং জিরাই গ্রামের সজিব (২০), মিঠু (৩০), ইসরাইল (৩৫) ও হানিফ (২০)। আহত হয়।এ সংবাদ পেয়ে দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাসেল মিয়া, গাইবান্ধা সহকারী পুলিশ সুপার উদয় কুমার সাহা, গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম, গাইবান্ধা জেলা চাউল কল শিল্পপতি আলহাজ্ব নাজির হোসেন প্রধান, মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম প্রধান, সাবেক চেয়ারম্যান রুবেল আমিন, ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উভয় গ্রামের লোকজনের সাথে পৃথক পৃথক বৈঠক করে বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মহিমাগঞ্জ বাজার এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।