শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫৩ অপরাহ্ন

News Headline :
কুষ্টিয়ার নিখোজ ২ এএসআই এর লাশ পদ্মা নদী থেকে উদ্ধার এবার প্রকাশ্যে এলেন ইবি শিবিরের সভাপতি ও সেক্রেটারি গোদাগাড়ীতে বিপুল পরিমান গাঁজা-সহ গ্রেফতার মাদক কারবারী ডালিম আমরণ অনশনে রাবি আইন অনুষদের শিক্ষার্থীরা পুলিশ কর্মকর্তা বিজয়-উৎপলকে ধরলেই মিলবে কাজেম হত্যার উত্তর: দাবি চিকিৎসকদের সিরাজগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে  বিক্ষোভ ও মানববন্ধন  দেশদ্রোহী খুনি হাসিনাকে দেশে এনে বিচার করতে হবে দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে–আহসান হাবিব লিংকন রংপুরে জমি লিখে না দেয়া মাকে বেধড়ক পেঠালো ছেলে ও ছেলের বউরা শ্রীবরদীতে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এতিম ও অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ মান্দায় মসজিদ উন্নয়ন প্রকল্পের সাড়ে ৩শো গাছ উপড়ে ও ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ

গ্রুপিং এর চাপে স্বস্তি নেই কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগে

Reading Time: < 1 minute

মোঃ ইকবাল হোসাইন, কয়রা খুলনাঃ
কয়রা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের পরেই বড় ধরনের গ্রুপিং শুরু হয় আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ে। যার প্রভাব পড়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও। ৭টি ইউনিয়নে সর্বত্রই গ্রুপিং এর রাজনীতি চলছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৩টি গ্রুপের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ৬৩ টি ওয়ার্ডের কর্মীরা স্বস্তিতে নিশ্বাস নিতে পারছে না।
সর্বশেষ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে দলের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মহাসিন রেজা পরাজিত হন। বিদ্রোহী প্রার্থী তৎকালীন যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম নির্বাচিত হন। বিদ্রোহী বিজিত শফিকুল ইসলাম আওয়ামী লীগ কর্মীদের ওপর অত্যাচার করেন বলে অভিযোগ। স্থানীয় সংসদ সদস্য পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খান। দলের কর্মীরা নির্বাচিত চেয়ারম্যানের বহিষ্কার দাবি করে। শুরু হয় মহাসিন রেজা ও শফিকুলের মধ্যে দ্বন্দ্ব। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৭টি ইউনিয়নে প্রত্যেকটিতে বিদ্রোহী প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বীতা করলেও শুধুমাত্র দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী জয়ী হন।
মহারাজপুর ও কয়রা সদর ইউনিয়ন নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়। ইউপি সচিব ও মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মারধরের পর এখানে দলের ইমেজ নষ্ট হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের মনোনয়নের জন্য ৪ জন প্রার্থী নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ জিএম মাহাবুবুর আলম, সাবেক সংসদ সদস্য সোহরাব আলী সানা, শেখ রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রেম কুমার ও বর্তমান সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু দ্বাদশে প্রার্থী হওয়ার আশায় সমর্থন বাড়াতে দলীয় কর্মীদের টানাটানি করছেন।
এসব প্রার্থীরা মতবিনিময়, ইফতার মাহফিল ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে জনসমর্থন বাড়ানোর জন্য শোডাউনের চেষ্টা করেন। এক গ্রুপের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলে বিরাগভাজন হতে হবে। সেজন্য কর্মীদের একাংশ এড়িয়ে চলেন। নেতাদের টানাটানিতে কর্মীরা স্বস্তিতে নিশ্বাস ফেলতে পারছেন না।
কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম মহাসিন রেজা বলেন, ‘শৃঙ্খলা না থাকায় গ্রুপিংয়ের সৃষ্টি হয়েছে। ইউনিয়ন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের মাধ্যমে দায়িত্বশীলদের নেতৃত্বে দল পরিচালিত হলে গ্রুপিং নির্মূল হবে।’

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com