শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৯ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মোঃ শহিদুল ইসলাম, খুলনা:
ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর (বয়ারসিং) ভূমি অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোঃ ইকবল হোসেন ঘুষ ছাড়া কোন প্রকার কাজ করেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে করে নিয়মিত হয়রানি হচ্ছে ভূমি অফিসে সেবা নিতে আসা সাধারন মানুষ। বিষয়টি অনুসন্ধান করলে জানা যায়, চুকনগর (বয়ারসিং) ভূমি অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোঃ ইকবল হোসেন মার্চ মাসে যোগদান করেন। আসার পর থেকে এলাকার দাখিলা কাটা লোকদেরকে হয়রানি করাসহ বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে ভূমি অফিসের কাজ করে দেন। পূর্বের কর্মস্থল কয়রা উপজেলা সদরে থাকা অবস্থায় সেখানকার হত দরিদ্রদেরকে সরকারী জমি বন্দোবস্ত দেয়ারকথা বলে দেড় লাখ টাকা নেন।পরবর্তীতে সরকারী জমি বন্দোবস্ত না দিয়ে বর্তমান কর্মস্থল চুকনগরে (বয়ারসিং) বদলী হয়ে চলে আসেন। সেই ঘুষের টাকা ফেরত নেওয়ার জন্য গত মাসে হতদরিদ্র লোকগুলো চুকনগর অফিসে আসেন টাকা না পেয়ে ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ দেন। এমনটাই জনিয়েছেন ভূক্তভোগীর শশুর কয়রা এলাকার পাতাখালী গ্রামের মৃত আনোয়ার মোল্লার পুত্র জেহের আলী। এছাড়াও চুকনগর ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন আমাদের ১৬ একর জমির দাখিলা দেয়ার জন্য চুক্তি করেন ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা। আমার অফিসে এসে ৪০ হাজার টাকা অগ্রিম নিয়েছে প্রায় ১ মাস আগে এখনও পর্যন্ত দাখিলাও দেয় নাই এমনকি টাকাও ফেরত দেয় নাই। এসকল বিষয় নিয়ে আরো তথ্য নিলে জানাযায় তিনি অফিস টাইমে খুবই কম দাখিলা কাটেন এমনকি অন্যান্য কাজও করেন না। তিনি সকল কাজই করেন বিকাল ৫ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত । কৌশল হিসাবে বেছে নিয়েছেন প্রথম দিন আসলে কাগজ পত্রের ফটোকপি নিয়ে রেখে দেন এবং পরের দিন বিকাল ৫ টার পরে আসতে বলেন। ভিতরের সময়টাতে চলে দরকষা কষি ও চুক্তি । কোন কোন সময় শনিবারে অফিসে আসেন এই সকল কাজ করার জন্য। মাগুরাঘোনা এলাকার মোঃ গফফার গোলদারের পুত্র মোঃ নজরুল ইসলাম গত সোমবার দাখিলা কাটার জন্য আসলে তার কাগজ না দেখেই বলে ১৬হাজার টাকা লাগবে । আসতে বলেন মঙ্গলবার বিকালে পরবর্তীতে তিনি দাখিলা কাটবেন কিনা পরে জানাবেন বলে চলে আসেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অফিসের একাধিক কর্মচারী বলেন সবথেকে বেশি কাজ করেছেন লক ডাউনের ভিতর। এমনকি আমরা অফিস থেকে চলে যাওয়ার পর বিকাল ৫ টা থেকে তিনি অফিসের কার্যক্রম শুরু করেন। তবে তিনি চলাফেরা করেন প্রাইভেট গাড়ীতে যেটা অফিসে আনেন না চুকনগর আল আরাফা ব্যাংকের ওখান থেকে নামা উঠা করেন। পরবর্তীতে এসকল বিষয় নিয়ে কথা বললে চুকনগর (বয়ারসিং) অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোঃ ইকবল হোসেন টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন আমি কাজ করে দিতে পারেনি গতকাল বুধবার টাকা ফেরত দিয়ে দিয়েছি। এব্যাপারে কথা বললে কয়রার ভূক্তভোগীদের অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আবদুল ওয়াদুদ বলেন যদি কেউ অনৈতিক কাজ করে তার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।