admin
- ২৪ অক্টোবর, ২০২২ / ১৩১ Time View
Reading Time: < 1 minute
মো: ইকবাল হোসেন, কয়রা, খুলনা:
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে খুলনার কয়রা উপজেলার হরিণখোলা ও গাতিরঘেরী এলাকার বাঁধে ভাঙন ধরেছে। যেকোনো সময় নোনা পানিতে তলিয়ে যাবে কয়রা উপকূলীয় অঞ্চল। সোমবার (২৪ অক্টোবর) ভোরে হঠাৎ করে কয়রার কপোতাক্ষ নদের হরিণখোলা ও শিবসা নদীর গাতিরঘেরী বেড়ি বাঁধে ধস শুরু হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সদ্য নির্মিত হরিণখোলার ২৫০ কিলোমিটার বেড়ি বাঁধ ভেঙ্গে অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সোমবার সকাল থেকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে খুলনা অঞ্চলে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বইছে। সময় যত বাড়ছে ঠিক ততোই যেন আরো বেশি ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে খুলনার কয়রাবাসীর মাঝে। জোয়ারের পানিতে ভেসে যাওয়ার ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকার সহস্রাধিক মানুষ। এছাড়া পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতায় মৎস্য ঘের ও বিলের আমন চাষ ক্ষতিগ্রস্থের আশঙ্কাও রয়েছে। এদিকে একটা কুচক্রী মহল এলাকা নোনা পানিতে তলিয়ে দিয়ে সরকারি-বেসরকারি ত্রাণ ও সহযোগিতা আত্মসাতের পায়তারা চালাচ্ছে। কয়রা উপজেলার ভাঙন কবলিত গোবরা এলাকার বাসিন্দা আল আমিন বলেন, দুর্যোগ এলেই সবার আগে কয়রা উপকূলে আঘাত হানে। সিডর, আইলা, বুলবুলের আঘাতে এই এলাকার মানুষ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এখন যদি সিত্রাং আঘাত করে তাহলে বেঁচে থাকা দায় হয়ে পড়বে।কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রোকুনুজ্জামান বলেন, উপজেলায় ১১৭টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে সেখানে আশ্রয় নেওয়া মানুষের জন্য শুকনো খাবার ও খাবার পানি মজুত রাখা হয়েছে।সর্বক্ষণ মনিটরির সেল করা হয়েছে৷ স্থানীয় সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, প্রকৃতির ওপর কারো হাত নেই। বিগত দিনের তুলনায় বেঁড়ি বাধের অবস্থা ভালো। কিছু জায়গা ঝুঁকিপূর্ণ আছে। আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ড, স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য সকলে একযোগে কাজ করছি।