বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১৭ অপরাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
মোঃ শরিফ মিয়া, জামালপুর :
জামালপুরের ইসলামপুরে মৃৎশিল্পের জন্য এক সময় রৌহারকান্দার কুমার পাড়া বেশ সুনাম ছিল।
কিন্তুু আধুনিকতার ছোঁয়া ও সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বাজারে প্লাস্টিক, এ্যালুমিনিয়াম সামগ্রীর ভিড়ে আজ বিলুপ্তির পথে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই শিল্প। তাই বংশানুক্রমে গড়ে ওঠা মৃৎশিল্পের সঙ্গে জড়িত কুমার বা পালরা এ পেশা নিয়ে চিন্তিত। ইতোমধ্যে অনেকেই বাপ-দাদার পেশাকে ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশা কে বেছে নিয়েছেন। অনেকে আবার পূর্বপুরুষের ঐতিহ্য এখনো ধরে রেখেছেন। রৌহারকান্দা পালপাড়ার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য কুটিরে নয়নাভিরাম মৃৎশিল্পীদের বাসস্থান। একসময় এই গ্রামগুলো মৃৎশিল্পের জন্য খুবই বিখ্যাত ছিল। দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো রৌহারকান্দা হারিয়ে যেতে বসেছে মৃৎশিল্পী। বদলে যাচ্ছে কুমারপাড়ার পুরোনো দৃশ্য। এক সময় এ শিল্পের কারিগররা দিন-রাত ব্যস্ত সময় পাড় করতেন কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে কুমারপাড়ার চাকা আজ আর তেমনটি ঘোরে না। মাটির পুতুল, হাঁড়ি-পাতিল, সরা, বাসন, কলসি, বদনার কদর প্রায়ই শূন্যের কোটায়। ইসলামপুর উপজেলার পাথর্শী ইউনিয়নের কুমারপাড়া এলাকার খোকন পাল বলেন, “আগের মতো আর মাটির জিনিসপত্রের চাহিদা নাই, ব্যবসাও নাই। খুব কষ্টে দিন যাচ্ছে। তবুও বাপ-দাদার পেশা, তাই করতে হচ্ছে। অন্য কাজ তো করতে পারি না।” যতীন্দ্র পাল নামের একজন জানান, আগের মতো মাটির তৈরি জিনিস পত্রের আর বেচা-কেনা নেই। আর্থিকভাবে তারা সমস্যায় আছেন। তবুও ঐতিহ্য ও বাপ-দাদার পেশা ধরে রাখতে কাজ করছেন। সরকারি সহায়তা না পেলে গ্রাম-বাংলার পুরোনো এই ঐতিহ্য ধরে রাখা যাবে না। তাই এই শিল্পকে বাঁচাতে সরকারি সহায়তার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সিরাজুল ইসলাম মানবাধিকার প্রতিদিন কে বলেন,, বিষয়টা আমি তেমন একটা অবগত নই, “মৃৎশিল্প টিকিয়ে রাখতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এই ব্যাপারে সাথে কথা বলেন। মৃৎশিল্প কারিগররা যদি স্বল্প সুদে ঋণগ্রহণ করতে চায় তাহলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করলে সেটার ব্যবস্থা করা হবে।