শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০১:১৬ অপরাহ্ন

News Headline :
পাবনায় “তারুণ্যের উৎসব ২০২৫”: আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে নবাগত জেলা প্রশাসকের কর্মদিবস শুরু!! গোবিন্দগঞ্জে ত্যাগী নেতাদের মাঝে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ ১২০ শিক্ষার্থীদের পথচলা পুরাতন কাঠের তৈরি সাঁকো ভাঙ্গলেই সমস্যা হবে শেরপুরে নোবেল বিজয়ী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকে দুর্বৃত্তদের আগুন লাগানোর চেষ্টা মাদক সমাজের ক্যান্সার এটা প্রতিরোধে প্রশাসনের অনিহা-শিমুল বিশ্বাস গণমাধ্যমে বিকৃত তথ্য প্রচার ইসলামপুরে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর পক্ষ থেকে প্রতিবাদী ব্রিফিং কৃষি অফিসের সামনে থেকে প্রণোদনার সার-বীজ পাচার রাজনৈতিক দলের পদধারী কেউ প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির কোনো পদে থাকতে পারবে না-সারজিস আলম গাবতলীতে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের দাবিতে শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধ এই জনপদকে যারাই পদদলিত করেছে বাঙ্গালি তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছে-শিমুল বিশ্বাস

জাল সনদধারী শিক্ষক সনাক্তকরণ ১৭৮৭ শিক্ষকের কাছ থেকে আদায় ৪৬ কোটি

Reading Time: 2 minutes

সারাবাংলা ডেক্স:
সারাদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাল সনদে চাকরিরত শিক্ষকদের সনাক্তকরণ কাজ চলমান। এরই মধ্যে ১৭৮৭ জন শিক্ষকের উত্তোলনকৃত (এমপিও বেতনভাতা বাবদ) প্রায় ৪৬ কেটি টাকা আদায় করে তা সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়েছে।
পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) অনুসন্ধানে এ পর্যন্ত এক হাজার ৭৮৭ জন শিক্ষকের জাল সনদ চিহ্নিত করা হয়েছে। যাদের কেউ নিবন্ধন সনদ আবার কেউ বিভিন্ন স্তরের একাডেমিক, ডিপ্লোমা ও পেশাগত জাল সনদ তৈরি করে স্কুল-কলেজ এবং মাদরাসায় চাকরি নেন।
এরই মধ্যে এক হাজার ৬৪ জনের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়েছে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। তাদের এমপিওভুক্তি সুবিধা হিসেবে বেতন-ভাতা বাবদ নেওয়া ৪৬ কোটি টাকার বেশি ফেরত এসেছে সরকারি কোষাগারে।
২০১৩ থেকে ২০২১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় ১২ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তদন্ত চালিয়ে সংস্থাটি জাল সনদ শনাক্ত করে।
ডিআইএ পরিচালক অধ্যাপক অলিউল্লাহ মো. আজমতগীর বলেন, সারাদেশে প্রায় ৩৬ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ও তদন্ত করে কারও কারও চিহ্নিত হচ্ছে ভুয়া সনদ। আবার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে জাল সনদ পাওয়া যাচ্ছে।
তবে জনবল সংকটের কারণে প্রত্যাশিত পর্যায়ে তদন্ত করা যাচ্ছে না বলে জানান ডিআইএ পরিচালক। তিনি বলেন, জাল সনদে চাকরি নেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তারা সাধারণত সুপারিশসহ মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠান।
ডিআইএ’র অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এ পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে জাল সনদধারী ৩৩৮ জন বেতন-ভাতা বাবদ নিয়েছেন নয় কোটি ২৩ লাখ ৪৮ হাজার ৪৬৫ টাকা।
এছাড়া চট্টগ্রাম ও সিলেটে ৪৭ জন নিয়েছেন দুই কোটি ৭২ লাখ ৯ হাজার ৪৭৯ টাকা, রাজশাহীতে ২১ কোটি ৮৬ লাখ ৩৮ হাজার ২৮১ টাকা নিয়েছেন ৪৪৬ জন, খুলনা ও বরিশালে ২৩৩ জন বেতন-ভাতা বাবদ নিয়েছেন ১২ কোটি ৯৬ লাখ ৮৭ হাজার ৩৯৭ টাকা।
এছাড়া আরও অন্যান্য মিলিয়ে সারাদেশে এক হাজার ৬৪ জনের জাল সনদ চিহ্নিত হয়েছে। এদের থেকে রাজস্ব খাতে ফেরত দেওয়া হয়েছে মোট ৪৬ কোটি ৭৮ লাখ ৮৩ হাজার ৬২২ টাকা।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, ২০১৫ সাল থেকে জাতীয় শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করা হচ্ছে। এর আগে শিক্ষক নিয়োগে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিজেরাই বিজ্ঞপ্তি দিতো। অবশ্য ওইসব নিয়োগ বোর্ডে থাকতেন সরকারি প্রতিনিধিরা।
এখন প্রশ্ন উঠেছে, একজন শিক্ষক নিয়োগ পাওয়ার আগে তার কাগজপত্র স্কুল-কলেজ ও মাদরাসায় যাচাই হওয়ার কথা। এছাড়া এমপিওভুক্ত হওয়ার আগে এসব শিক্ষকের কাগজপত্র যাচাই হওয়ার কথা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি)। এত কিছুর পরও কী করে জাল সনদে নিয়োগের পাশাপাশি সংশ্লিষ্টরা এমপিওভুক্ত হন।
অভিযোগ রয়েছে, জাল সনদধারীদের ধরার ব্যাপারে অনীহা রয়েছে শিক্ষা প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তাদের। এর মধ্যে এনটিআরসিএ, মাউশি এবং মন্ত্রণালয়ের একটি চক্র আছে। তারা পরস্পর যোগসাজশে একদিকে ভুয়া সনদধারীদের রক্ষা করছে। আরেকদিকে প্রয়োজনে ভুয়া সনদ পেতেও সহায়তা করছে।

তথ্য-সাপ্তাহিক খোলাহাওয়া

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com