বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
সেলিম মোর্শেদ রানা, পাবনা :
২০১০ সালের ২৫শে মে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধিনে চিকিৎসা সহকারী পদে এস,এস,সি পাশ ও বাংলাদেশ রাষ্টিয় চিকিৎসা অনুষেদ কর্তৃক অনুমোদিত মেডিকেল এ্যাসিসট্রেন্ট ট্রেনিং পাশ করা ডিপ্লোমাধারী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিলে পাবনা বেড়া উপজেলা বনগ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে মোঃ সোলাইমান হোসেন, ২০০৪ ইং সনের ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ফ্যাকান্টি পাশের ভ’য়া জাল সার্টিফিকেট ব্যাবহার করে আবেদন করেন এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চোখ ফাঁকি দিয়ে ভ’য়া জাল সার্টিফিকেটেই তার চাকরি হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায় । তিনি ইতি পূর্বে হাকিমপুর রংপুর, বাঘা রাজশাহী, বেড়া পাবনা, সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদে চাকরি করে আসছেন। বর্তমানে উখিয়া কক্সবাজার কমিউনিটি সেন্টারে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদে কর্মরত আছেন। জানা যায় তিনি যে এলাকায় বদলি হয়েছে, সে এলাকায় জাতীয় পরিচয় পত্র, ভিজিডিং কার্ডে আসল নাম পরিবর্তন করে ডাক্তার মোঃ মোস্তফা সরোয়ার, চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও ফ্যাকো সার্জনসহ বিভিন্ন ডিগ্রি ব্যাবহার করে রুগি দেখতেন। অনুসন্ধানে দেখা যায় মোঃ সোলাইমান হোসেন ০১-০৬-২০১০ইং সনের মেডিকেল এ্যাসিসট্রেন্ট ডিপ্লোমাধারী ফাইনাল পরিক্ষার প্রবেশ পত্র। তা ছারা পাবনা বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদে চাকরি করা অবস্থায় রাজবাড়ী জেলা বড়পুল এলাকায় আই,ভি,আই কেয়ার এন্ড ফ্যাকো সেন্টার নাম দিয়ে একটি ক্লিনিক করে ঔ ক্লিনিকে নাম পরি বর্তন করে ডাক্তার মোঃ মোস্তফা সরোয়ার, চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও ফ্যাকো সার্জন ডিগ্রি ব্যাবহার করে রুগি দেখতেন। সেখানেও স্থানীয়দের সন্দেহে ধরা পরে তার আসল রুপ অর্থাৎ ভ’য়া ডাক্তার, তিনি সেখান থেকে পালিয়ে আসলেও নিজেকে পরিবর্তন করতে পারে নাই। পূনরায় পাবনা বেড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে সিয়াম সামি আইকেয়ার এন্ড ফ্যাকো সেন্টার নামে একটি অবৈধ ক্লিনিক করেন, তার ভ’ল চিকিৎসায় তার ভ’ল চিকিৎসায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় শত শত রুগি হারায় তাদের ২টি চোখ, হারায় সৃষ্টি কর্তার গড়া এই পৃথিবির সকল সুন্দর্য । বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নজরে আসলে তিনি দূত পদক্ষেপ নেন এবং অবৈধ ক্লিনিকটি বন্ধ করে দেন। উপজেলা কমিউনিটি সেন্টারে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদে চাকরি করে প্রতিদিন রাজবাড়ী বড়পুল এলাকায় আইভিআই কেয়ার এন্ড ফ্যাকো সেন্টারে কি ভাবে রুগি দেখতেন, জানতে চাইলে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফাতেমা তুম জান্নাত বলেন,এখানে ডিউটির বাহিরে কে কি করে সেটা আমার দেখার বিষয় না। এ বিষয়ে বেড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ সবুর আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি সত্যতা স্বীকার করেন, এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন। পাবনা সিভিল সার্জন ডাঃ মনিসর চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন একটি লেখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা অবগত হই এবং তাৎক্ষনিক তাকে বদলি করা হয়েছে,একটি তদন্ত টিম করা হয়েছে,তাকে ২বার লিখিত ভাবে ডাকা হয়েছে, তিনি সময় ক্ষেপন করছে, তবে তাকে আর একবার ডাকা হবে,যদি না আসে বিধি মোতাবেক কাজ করবো। মোঃ সোলাইমান হোসেন ওরেফে ডাক্তার মোঃ মোস্তফা সরোয়ারের কাছে তার সকল অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে তিনি ক্যামেরার সামনে বলতে নারাজ, তবে সাংবাদিক ম্যানেজ করার চেষ্টা করে।
কথায় বলে কয়লা ধুইলে ময়লা জায়না, তিনি উখিয়া কক্সবাজার কমিউনিটি সেন্টারে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদে সাস্তি মূলক বদলি হলেও থেমে থাকে নাই তার অপকর্ম অনুসন্ধানে উখিয়া কক্সবাজার দেখা যায় বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির লোকদের ভির। এ ধরনের জাল কাগজ, ভ’য়া ডাক্তার বা সকল অপরাধিকে আইনের আওতায় এনে দ্রত ব্যবস্থা নেবে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ , বাংলাদেশ হবে দূনিতি মুক্ত,এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।