রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:২৭ পূর্বাহ্ন

News Headline :
ইউপি চেয়ারম্যানের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কের মাটি সরে গিয়ে দূর্ভোগে জনগণের সেবা দেওয়ার জন্যই সরকার আমাকে পাঠিয়েছেঃ-নওগাঁর নবাগত ডিসি রাজশাহীতে শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে শুটার রুবেল পাবনায় সাংবাদিকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত ও মতবিনিময় করলেন নবাগত জেলা প্রশাসক মধুপুরে বৈষম্যবিরোধী ও কোটা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে  বিএনপির দোয়া  মাহফিল অনুষ্ঠিত  পাবনার হেমায়েতপুরে কারামুক্ত বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংবর্ধনা ও আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্বোধন বাঘাইছড়িতে বিএনপির দুই নেতা বহিষ্কার ডোমারে সীরাতুন্নবী (সাঃ) মাহফিল অনুষ্ঠিত পাবনার সুজানগরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পথসভা অনুষ্ঠিত

জিম্বাবুয়ের কাছে হারের লজ্জায় ডুবলো বাংলাদেশ

Reading Time: 2 minutes

মোঃ সাইমুম আনাম সাজিদ, ঢাকাঃ

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডের প্রথম ইনিংস শেষে মনে হচ্ছিল বড় ব্যবধানেই জিতবে সফররত বাংলাদেশ। কিন্তু দুর্দান্ত ফর্মে থাকা দলটিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে হাই-স্কোরিং ম্যাচে কায়া-রাজার সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটের বড় জয় পেল স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। আর তাতেই দীর্ঘ নয় বছর পর ক্রিকেটের ওয়ানডে ফরম্যাটে বাংলাদেশকে হারাল রোডেশীয়রা। এর আগে ২০১৩ সালে শেষ জয় পেয়েছিলো জিম্বাবুয়ে।
হারারে ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক রেগিস চাকাভা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত সূচনা পায় বাংলাদেশ দল। ওপেনিং জুটিতে আসে ১১৯ রান। ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূর্ণ ৬৪ রানে সাজঘরে ফেরেন তামিম ইকবাল। তার বিদায়ের কিছুক্ষণ পরেই নিজের ফিফটি পূর্ণ করেছেন আরেক ওপেনার লিটন কুমার দাস। এগোচ্ছিলেন সেঞ্চুরির পথেই। কিন্তু ৩৪তম ওভারের প্রথম বলে দ্রুত সিঙ্গেল নিতে গিয়ে পেশিতে টান পড়ে লিটনের। এরপর মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। আর ব্যাটিংয়ে নামতে পারেননি। স্ট্রেচারে করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ড্রেসিংরুমে। ৮৯ বলে ৮১ রান করেন লিটন। এরপর বিজয়-মুশফিক মিলে জিম্বাবুয়ের বোলারদের শাসন করে যান। এ সময় দুজন মিলে গড়েন ৯৭ রানের জুটি। দীর্ঘ তিন বছর পর ওয়ানডে দলে ফিরে ব্যক্তিগত অর্ধশতকের দেখা পান এনামুল হক বিজয়। ভিক্টর নিয়ুচির বলে আউট হওয়ার আগে মাত্র ৬২ বলে ছয়টি চার ও তিনটি ছয়ের সাহায্যে করেন ৭৪ রান। পরে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে শেষ পর্যন্ত খেলে যান উইকেট কিপার ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিক। আর রিয়াদ মাঠ ছাড়েন ব্যক্তিগত ২৫ রানে। রান তাড়া করতে নেমে মোস্তাফিজুর রহমানের করা ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে ব্যক্তিগত ২ রানে সাজঘরের পথ ধরেন দলনেতা ও ওপেনার রেগিস চাকাভা। শরিফুল ইসলামের করা পরের ওভারে ৪ রানে আউট হয়েছেন তারিসাই মুসাকান্দা। আর রান আউট হওয়ার আগে ১৯ রান করেন ওয়েস্লি ম্যাধভের। চতুর্থ উইকেট জুটিতে দুর্দান্ত খেলেন ইনোসেন্ট কায়া ও সিকান্দার রাজা। দুজন মিলে তুলেন নিয়েছেন ১৯২ রানের জুটি। তাতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় রোডেশীয়রা। দুজনই তুলে নিয়েছেন ব্যক্তিগত শত রানের ইনিংস। মোসাদ্দেক হোসেনের করা বলে ১২২ বলে ১১০ রান করে আউট হন কায়া। লুক জংউই ফেরেন ২৪ রানে।
এরপর মিল্টন সুম্বাকে সঙ্গে নিয়ে জয় তুলেন নেন সিকান্দার রাজা। তিনি অপরাজিত থাকেন ১৩৫ রানে। মাত্র ১০৯ বলে খেলা তার এই ইনিংসটি আটটি চার ও ছয়টি ছয়ে সাজানো। এদিকে ১ রানে অপরাজিত থাকেন সুম্বা।
দীর্ঘসময় পরে টাইগারদের পরাজয়ের সূচনা ঘটলো জিম্বাবুয়ের কাছে। টাইগারদের দলীয় পারফরম্যান্স ঠিক থাকার পরেও সবকিছু যেন আশায় গুড়েবালি হয়ে গেলো। এই ম্যাচ থেকে শিক্ষা নিয়ে পরবর্তী ম্যাচগুলোতে ভালো করার চেষ্টা করবে এই প্রত্যাশা টিম ম্যানেজমেন্টের।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com