শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন

News Headline :
ইউপি চেয়ারম্যানের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কের মাটি সরে গিয়ে দূর্ভোগে জনগণের সেবা দেওয়ার জন্যই সরকার আমাকে পাঠিয়েছেঃ-নওগাঁর নবাগত ডিসি রাজশাহীতে শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে শুটার রুবেল পাবনায় সাংবাদিকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত ও মতবিনিময় করলেন নবাগত জেলা প্রশাসক মধুপুরে বৈষম্যবিরোধী ও কোটা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে  বিএনপির দোয়া  মাহফিল অনুষ্ঠিত  পাবনার হেমায়েতপুরে কারামুক্ত বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংবর্ধনা ও আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্বোধন বাঘাইছড়িতে বিএনপির দুই নেতা বহিষ্কার ডোমারে সীরাতুন্নবী (সাঃ) মাহফিল অনুষ্ঠিত পাবনার সুজানগরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পথসভা অনুষ্ঠিত

জুন মাস জুড়ে সড়কে প্রাণ গেলো ১০৪৭ জনের

Reading Time: 2 minutes

মোঃ সাইমুম আনাম সাজিদ,ঢাকা :
দিন যত গড়াচ্ছে রাত যত গভীর হচ্ছে তার সাথে সাথে বেড়েই চলেছে সর্বহারা সড়ক দূর্ঘটনা। প্রায় সময়ই আকাশ ভারী হয়ে উঠে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত স্বজনদের আহাজারিতে।
চলতি বছরের জুন মাসে ৩ হাজার ১১০ সড়ক দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৪৭ জন নিহত ও ২ হাজার ৬২২ জন্য আহত হয়েছেন। জাতীয় মহাসড়ক, জেলার অভ্যন্তরীণ সড়ক ও প্রান্তিক অঞ্চলের স্থানীয় সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে এসব প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (১ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘সেভ দ্য রোড’। দেশের প্রথম সারির ২১টি গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত দুর্ঘটনার খবরের ভিত্তিতে এ জরিপ করেছে। প্রতিবেদনটি পাঠ করেন সেভ দ্য রোডের মহাসচিব শান্তা ফারজানা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছর জুন মাসে ৮৫৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৭৫২ জন আহত এবং ২৭৬ জন নিহত হয়েছেন। ট্রাক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৬১৮টি। এর মধ্যে আহত ৪৫৬ ও নিহত ১৫৬ জন। ৯৩৮টি বাস দুর্ঘটনায় আহত ৭৫১ ও নিহত ৪২০ জন। এ ছাড়া পাড়া-মহল্লায়, মহাসড়কে অসাবধানতার কারণে লরি, পিকআপভ্যান, নসিমন, করিমন, ব্যাটারি ও সিএনজিচালিত ও রিকশা-সাইকেলে ৬৯৬টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন ১৯৫ ও আহত হয়েছেন ৬৬৩ জন।
এছাড়া জুন মাসে নৌপথে দুর্ঘটনা ঘটেছে ১২২টি। এতে আহত ৪৭৭ জন ও নিহত ২৪ জন। রেলপথ দুর্ঘটনা ঘটেছে ১৯৭টি। এতে আহত ১৭২ জন ও নিহত ১৭ জন। তবে আকাশপথে দুর্ঘটনা না হলেও বিমানবন্দরে অব্যবস্থাপনার কারণে বিভিন্ন সময় ৭৩ জন চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানানো হয়।
মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে দ্রুত গতিতে চালানো, ট্রাফিক নিয়ম না মানা, হেলমেট ব্যবহারে অনীহা দুর্ঘটনার কারণ। অপর দিকে, অসাবধানতা ও ঘুম ঘুম চোখে ক্লান্তিসহ দ্রুত ট্রাক চালানোর কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে। বাসে যেসব দুর্ঘটনা ঘটেছে এর পেছনে কারণ অনিয়ন্ত্রিত ট্রাফিক জ্যাম, অচল রাস্তাঘাট ও সড়ক পথে নৈরাজ্য। যাত্রাপথ দুর্ঘটনামুক্ত করতে সেভ দ্য রোডের পক্ষ থেক সাতদফা দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো— বঙ্গবন্ধু ফুটবল লীগের খেলা শেষে বাড়ি ফেরার পথে সড়কপথ দুর্ঘটনায় নিহত অর্ধশত শিশু-কিশোরের স্মরণে ১১ জুলাইকে ‘দুর্ঘটনামুক্ত পথ দিবস’ ঘোষণা করতে হবে।ফুটপাত দখলমুক্ত করে যাত্রীদের চলাচলের সুবিধা দিতে হবে। সড়কপথে ধর্ষণ-হয়রানি রোধে ফিটনেসবিহীন বাহন নিষিদ্ধ এবং কমপক্ষে অষ্টমশ্রেণি উত্তীর্ণ ও জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যতিত চালক-সহযোগী নিয়োগ বন্ধে সংশ্লিষ্ট সবাইকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। স্থল, নৌ, বিমান ও রেলপথ দুর্ঘটনায় নিহতদের সরকারিভাবে কমপক্ষে ১০ লাখ ও আহতদের ৩ লাখ টাকা ক্ষতি পূরণ দিতে হবে। ট্রান্সপোর্ট ওয়াকার্স রুল’ বাস্তবায়নের পাশাপাশি সত্যিকারের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে ‘ট্রান্সপোর্ট পুলিশ ব্যাটালিয়ন’ বাস্তবায়ন করতে হবে। পথ দুর্ঘটনার তদন্ত ও সাজা ত্বরান্বিতকরণের মধ্য দিয়ে সতর্কতা তৈরি করতে হবে এবং ট্রান্সপোর্ট পুলিশ ব্যাটালিয়ন গঠনের আগ পর্যন্ত হাইওয়ে পুলিশ, নৌপুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতা-সহমর্মিতা-সচেতনতার পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরীণ সকলপথের চালক-শ্রমিক ও যাত্রীদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। স্পিড গান, সিসিটিভি ক্যামেরা, ইউলুপ বৃদ্ধি, পথ-সেতুসহ সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সেভ দ্য রোডের চেয়ারম্যান ও সোনাগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জেড এম কামরুল আনামের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিক নেতা ওসমান আলী, সংবাদযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান। সেভ দ্য রোডের প্রতিষ্ঠাতা মোমিন মেহেদী, ভাইস চেয়ারম্যান বিকাশ রায়, শওকত হোসেন, জিয়াউর রহমান জিয়া, আইয়ুব রানা, সাংবাদিক আনজুমান আরা শিল্পী, ওয়াজেদ রানা, কায়েস সাজবসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বিশ্লেষকদের মতে, সড়ক নিরাপত্তা এখন দেশের জন্য করোনা মহামারির চেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনা মহামারির চেয়ে সড়কে বেশি মানুষের মৃত্যু হলেও, সড়ক নিরাপত্তায় সরকারের কার্যক্রম করোনা বা জঙ্গি নিয়ন্ত্রণের মতো দৃশ্যমান নয়। মেট্রোরেল, সড়ক-সেতু সংস্কারসহ যেকোনো উন্নয়ন প্রকল্প নির্দিষ্ট সময়ে শেষ না হওয়ায় জনদুর্ভোগ, দুর্ঘটনা দুটিই বেড়েছে। শীঘ্রই সড়কপথে উন্নয়ন ও দূর্ঘটনার ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে জাতিকে নিরাপদ সড়ক উপহার দিতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com