শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৪ অপরাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
সোহাগ আলী,ঝিনাইদহ:
ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার মালিয়াট ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে নিহতের স্ত্রী,মেয়ে ও মেয়ের প্রেমিক। মেয়ের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী পাচকাহুনিয়া গ্রামের সাজাদ হোসেন নামের এক যুবকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল । বিষয়টি মেনে না নেওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়। নিহত আনোয়ার হোসেন মালিয়াট গ্রামের আব্দুল বারেক মন্ডলের ছেলে এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য। ১৮ ই জুলাই আনুমানিক রাত ২ টার দিকে কালীগঞ্জ থানার এস আই প্রকাশ কুমার ও তার সঙ্গীয় ফোর্স সহ নিহত আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী মাহফুজা বেগম (৪৮), মেয়ে সুরাইয়া ইয়াসমিন মিতু (২৩) ও মেয়ের প্রেমিক সাজ্জাদ হোসেন (২৫) কে আটক করে।আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার সাথে জড়িত বলে স্বীকার করে। গত ১২ জুলাই বুধবার দুপুরে কালীগঞ্জে গলা কেটে আনোয়ার হোসেন নামে এক ইউপি মেম্বারের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর পর পুলিশ, পরিবার ও প্রতিবেশীরা ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দেওয়ায় এ রহস্যের সৃষ্টি হয়। সংবাদ পেয়ে ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব মীর আবিদুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনার দিন প্রতিবেশিরা বলেন যে, তার পরিবারের সদস্যরা হত্যা করে ভিন্ন ঘটনা সাজিয়ে বলছে। পরিবারের সদস্যরা আরো জানান যে, কয়েক মাস আগে স্ট্রোক করার পর থেকে সে অসুস্থ্য ছিল। অসুস্থ্য অবস্থায় ঘরের মধ্যে পড়ে গিয়ে সোকেসের গ্লাস ভেঙ্গে গলা কেটে যায়। এরপর তাকে উদ্ধার করে যশোর সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এ বিষয়ে ঘটনার দিন মালিয়াট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব আজিজুল হক খান ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন নিহতের ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন যে, পারিবারিক নানা সমস্যার কারনে সে নিজের গলা নিজে কেটে আত্মহত্যা করেছে। একই দিন কালীগঞ্জ থানার ওসি মাহবুবুর রহমান জানান, নিহত ব্যক্তি তিন মাস আগে স্ট্রোক করে চিকিৎসাধিন ছিল। ঘটনার দিন রাতে অসুস্থ্যতার কারণে ঘুম না হওয়ায় আরো বেশি অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। দুপুরে ঘরে ভিতরে উঠে দাড়াতে গেলে মাথা ঘুরে সোকেসের গ্লাসের উপর পড়ে যায় এবং গ্লাস ভেঙ্গে তার গলাই ঢুকে মারা যান।