শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৫ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
সোহাগ আলী, ঝিনাইদহ :
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার আড়ুয়াকান্দি গ্রামে কিশোর সাকিব হত্যার রহস্য উদ্ধার করেছে পুলিশ। মোবাইল চুরির অপবাদ দেওয়ায় তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয় বলে পুলিশ নিশ্চত হয়েছে। এ ঘটনায় কিলার গ্রæপের সদস্য উদয়পুর গ্রামের আব্দুল গাফফার মোল্লার ছেলে মনির মোল্লা ওরফে আশরাফুল (১৯) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক হত্যার কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্রসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার আশিকুর রহমান শুক্রবার তার দপ্তরে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, ৪/৫ মাস আগে হাড়ুয়াকান্দি গ্রাম থেকে দুইটি মোবাইল চুরি হয়। এই মোবাইল চুরির দোষ পরে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য মনির মোল্লার উপর। গ্রামবাসি মনির মোল্লাকে খুঁজতে থাকে। মারধরের ভয়ে গা ঢাকা দেয় মনির মোল্লা। মোবাইল চুরির বিষয়টি মানুষ ভুলে গেলে বাড়ি ফিরে আসে মনির। গ্রামে ফিরেই সাকিবকে হত্যার ছক কষে। গত ১ জুলাই সাকিবের সঙ্গে মনিরের দেখা হয় উদয়পুর চৌরাস্তার মোড়ে। সেখানে তাকে ছাগল চুরির প্রলোভন দেখায় মনির মোল্লা। মনিরের ছাগল চুরির পরিকল্পনায় রাজি হয় সাকিব। ঘটনার দিন দুপুরে ঝিনাইদহ বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় একটি দোকানে দা লুকিয়ে রাখে। পুলিশ সুপার আরো জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে সাকিব বিসিক মোড়ে আসে। সাড়ে ৯টার দিকে মনির ব্যাগে লুকেয়ে একটি দা, ডারবি সিগারেট, নাটি বিস্কুট, পানি ও কনডম নিয়ে আড়ুয়াকান্দি গ্রামের একটি পাটক্ষেতে প্রবেশ করে। সেখানে তারা রাত গভীর হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। সেখানে তারা গাঁজা সেবন করে। সাকিব গাজা সেবন করে বেসামাল হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। ঘুমন্ত অবস্থায় মনির সাকিবের গলাকেটে হত্যা করে জব্দকৃত আলামত গুলো ফেলে রেখে যায়। হত্যার একদিন পর গত সোমবার সাকিবের লাশ অজ্ঞাত হিসেবে উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার একদিন পর ঝিনাইদহ আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের হিমঘরে সকিবের নানা ওসমান লস্কার লাশ সনাক্ত করে। মোটিভ ও ক্লুহীন অবস্থায় পুলিশ হত্যা মামলাটি আমলে নিয়ে ঘাতকের সন্ধানে মাঠে নামে। অবশেষে সাকিব হত্যার সাথে জড়িত ব্যক্তিকে সনাক্ত করতে সমর্থ হয় পুলিশ। উল্লেখ্য সাকিব মাগুরা জেলার ফুলবাড়ি গ্রামের শামিমের ছেলে। পিতা ও মায়ের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলে সে উদয়পুর গ্রামের নানা বাড়ি থাকতো।