মোঃ সবুজ মোল্লা, ঈশ্বরদী পাবনা:
এসি কেবিন ও এসি চেয়ার কোচ ছাড়াই চলছে পাকশী রেলওয়ে বিভাগের দুটি ট্রেন, চিত্রা ও সুন্দরবন এক্সপ্রেস৷ এ কারনে দুই ট্রেনের আসন সংখা কমে গেছে । এতে খুলনা – ঈশ্বরদী – ঢাকামূখী যাত্রীদের চরম ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে। আনুমানিক ১ মাস ধরে এই দূর্ভোগে চলতে থাকলেও কতৃপক্ষের কোনো ব্যাবস্থা নেওয়ার বিষয় কারো চোখে পড়েনি ।
ট্রেনযাত্রীরা জানান, খুলনার যাত্রীরা ট্রেনের আসন না পেলে তার বিকল্প পথ হিসেবে পদ্মা সেতু দিয়ে সড়কপথে সহজেই যাতায়াত করতে পারছেন । কিন্ত কোটচাঁদপুর, দর্শনা হল্ট, চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গা, পোড়াদহ, ভেড়ামাড়া, ঈশ্বরদীসহ অন্য স্টেশনের যাত্রীরা টিকিট কিংবা আসন না পাওয়ার কারনে ঢাকা যাতায়াতে প্রতিনিয়ত চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে । অনলাইনে দ্রুত টিকিট বিক্রি হচ্ছে৷ তবে অনেকে আবার কাউন্টারে এসে টিকিট পাচ্ছেনা৷
পাকশী রেলওয়ে বিভাগ সূত্র জানায়, খুলনা থেকে ঈশ্বরদী হয়ে ঢাকাগামী আন্তঃ নগর, চিত্রা, ও সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করে৷ যান্ত্রিক সাময়িক ত্রুটির কারণে ট্রেন দুটির এসি কেবিন ও চেয়ারকোচ আলাদা রাখা হয়েছে৷ এতে আসন সংখা কমে গেছে, যে কারণে যাত্রীদের দূর্ভোগ বেড়েছে। ঈশ্বরদীর ট্রেনযাত্রী বায়েজিদ বোস্তামী (৩২) দেশবাংলাকে জানান, আমি নিয়মিত সুন্দরবন ট্রেনের এসি চেয়ারকোচে ঢাকা যাতায়াত করে থাকি। আগে অনলাইনে সহজেই টিকেট কাটতে পারতাম। তবে এখন এই ট্রেনে দুটি কোচ না থাকায় আসন সংখা কমেছে , এ কারনে টিকিট সংগ্রহ করতে অনেক মুশকিল হচ্ছে৷
ঈশ্বরদীর আরেকজন ট্রেনযাত্রী সাগর হোসেন (৩৮) দেশবাংলাকে জানান, এমনিতেই ট্রেনের টিকিট পেতে সমস্যা হয়৷ তারপর আবার বগি সংকট। এখন তো টিকিট আরো পাওয়া যায়না৷ আমরা ঢাকা যাতায়াতে খুব কস্ট করে চলাচল করছি৷
এ বিষয়ে পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) আনোয়ার হোসেন দেশবাংলাকে জানান, যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে ট্রেনের বগি খোলা হয়েছে৷ সেগুলো কারখানায় পাঠাতে হবে। এজন্য কয়েক মাস সময় লাগতে পারে। আর এর মধ্যে যদি কোনো ট্রেনের বগি রিপ্লেস করা সম্ভব হয় তাহলে সংযোজন করা যাবে।