admin
- ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ / ১৬০ Time View
Reading Time: 2 minutes
গত ২৫/০৮/২০২২ তারিখে সকাল ১১.০০ ঘটিকার সময় মোঃ শরিফুল ইসলাম, পিতা-মোঃ হাবিবুর রহমান, সাং-মোবারকপুর, থানা-আমিনপুর, জেলা-পাবনা জনতা ব্যাংক, কাশিনাথপুর শাখা থেকে ৮,০০০০০/- (আট লক্ষ) টাকা নিয়ে ভ্যানযোগে আমিনপুর থানাধীন নান্দিয়ারা গ্রামস্থ কবরস্থানের পাশে পাকা রাস্তার উপর পৌছামাত্র একটি সাদা মাইক্রোবাস ভ্যানের গতিরোধ করে দাড়ায়। মাইক্রোর ভিতর থেকে বের হয়ে আসা কয়েক জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে টেনে হেচরে প্রাণ নাশের ভয় দেখিয়ে একটি মাইক্রোবাসের ভিতরে তুলে চোখ বেঁধে তার নিকট থাকা নগদ ৮,০০০০০/-টাকা বলপূর্বক ছিনিয়ে নেয়। অত:পর আসামীগন একই তারিখ দুপুর ০১.০০ ঘটিকায় উক্ত ভিকটিমকে আমিনপুর থানাধীন আলাদিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মাইক্রোবাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। উক্ত অভিযোগের পরিপেক্ষিতে আমিনপুর থানায় একটি দস্যুতার মামলার রজু হয়। যাহার মামলা নং-২০ তারিখ-২৬/০৮/২০২২ইং ধারা-৩৯২/১৭০(পরিবর্তীত ধারা ৩৯৫/৩৯৭) পেনাল কোড ১৮৬০।
পাবনা জেলার মাননীয় পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আকবর আলী মুন্সী মহোদয়ের নির্দেশে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে অতিঃ পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) জনাব মোঃ মাসুদ আলম এর নেতৃত্বে এসআই (নিরস্ত্র) অসিত কুমার বসাক সহ পাবনা ডিবির একটি চৌকশ টিম এবং ওসি আমিনপুর জনাব রওশন আলী ও মোঃ এমরান মাহমুদ তুহিন পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত এর নেতৃত্বে একটি টিমের যৌথ অভিযানে ভোলা জেলার চরফ্যাশন, ঢাকা, গাজিপুর এবং সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে ৩ দিন ব্যাপি শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান পরিচালনা করে দুর্ধর্ষ ডাকাত চক্রের সদস্য-
১। মোঃ মাসুদ করিম (৪৭), পিতা-মৃত-মোক্তার হোসেন, সাং-দহাকালা, থানা-উল্লাপাড়া,জেলা-সিরাজগঞ্জ
২। মোঃ আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ (৩২), পিতা-মৃত-সাবের প্রামানিক, সাং-বড় পাঙ্গাসী মধ্যেপাড়া, থানা-উল্লাপাড়া,জেলা-সিরাজগঞ্জ
৩। মোঃ আরিফ (৩৩), পিতা- নান্নু মিয়া, সাং-উল্লাপাড়া পশ্চিমপাড়া, থানা-উল্লাপাড়া,জেলা-সিরাজগঞ্জ
৪। মোঃ শরিফুল ইসলাম (৩৮), পিতা-মোঃ আব্দুর শুকুর মিয়া, সাং-চর আঙ্গারু, থানা- শাহজাদপুর এবং
৫। মোঃ মাসুদ রানা (২৯), পিতা-মোঃ আব্দুল কাদের প্রামানিক, সাং-বড় পাঙ্গাসী প্রামানিক পাড়া, থানা-উল্লাপাড়া, জেলা-সিরাজগঞ্জ
৬। আলমগীর হোসেন @ ড্রাইভার হোসেন (৩৫),পিতা- মৃত আহমেদ, সাং-নুরাবাদ, থানা-দুলারহাট, জেলা- ভোলা দের নিম্নবর্নিত আলামত সহ গ্রেফতার করা হয়। উক্ত ডাকাত দলের মুলহোতা মোঃ মাসুদ করিম।
এখানে উল্লেখ্য যে, যেসব ব্যক্তি বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে মোটা অংকের টাকা উত্তোলন করে সেই সব ব্যক্তির পিছনে ডাকাতগণ সোর্স নিযুক্ত করে তাদেরকে ফলো করতে থাকে।সুবিধাজনক স্থানে উক্ত ভিকটিম টাকা সহ পৌছামাত্র ডাকাতগণ তার পথরোধ করে নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে হ্যান্ডক্যাপ লাগিয়ে জোরপুর্বক দ্রুত মাইক্রোবাসে তুলে চোখ বেঁধে তার সর্বস্ব ছিনিয়ে নিয়ে নির্জন জায়গায় ফেলে দেয়।
উদ্ধারকৃত আলামতের বর্ণনাঃ
১। একটি DB DMP লেখা ডিবির জ্যাকেট/কটি
২। এক জোড়া হ্যান্ডকাফ
৩। একটি ওয়াকিটকি সেট
৪। পুলিশের ব্যবহৃত একটি সিগনাল লাইট।
৫। ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত একটি সাদা মাইক্রোবাস।
৬। ঘটনাস্থলে ব্যবহৃত আসামীদের ৭ টি মোবাইল সেট এবং ১০ টি সিম ।
আসামীর অপরাধ ইতিহাসঃ
১। আসামী মোঃ মাসুদ করিম এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় অপহরন, ছিনতাই, ডাকাতি, অস্ত্র ও মাদক সহ মোট ১০টি মামলার রয়েছে।
২। আসামী মোঃ আরিফ এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় অপহরন, ছিনতাই, ডাকাতি, অস্ত্র ও মাদক সহ মোট ৮টি মামলার রয়েছে।
৩। আসামী মোঃ আরিফুল ইসলাম @আরিফ এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় অপহরন, ছিনতাই, ডাকাতি, অস্ত্র ও মাদক সহ মোট ৬টি মামলা রয়েছে।
৪। আসামী আলমগীর হোসেন (ড্রাইভার) এর বিরুদ্ধে ছিনতাই,মাদক সংক্রান্তে মোট ৪টি মামলা রয়েছে।উপরোক্ত আসামীদের মধ্যে মোঃ মাসুদ, মোঃ আরিফ ও আলমগীর হোসেন ড্রাইভার এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় গ্রেফতারী পরোয়ানা মুলতবী রয়েছে।