বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০২ অপরাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
খন্দকার নিরব, তজুমদ্দিন :
ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার ৬ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের বিশাল একটি অংশ ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। উজানের পানির চাপ, প্রবল বৃষ্টিতে পানি বৃদ্ধির কারণে চাঁদপুর ইউনিয়নের দড়িচাঁদপুর, কেয়ামূল্যাহ, কাঞ্চনপুর, গুরিন্দা, চাঁচড়া ও কাটাখালী এলাকায় বেড়িবাঁধের বিভিন্ন অংশে ভাঙন ধরেছে। মেঘনা নদীর জোয়ার-ভাটায় পানির চাপ ও নিন্মচাপের প্রভাবে ঢেউ এসে আঘাত করে বেড়িবাঁধে। ফলে অধিকাংশ এলাকায় বেড়িবাঁধের দুই-তৃতীয়াংশ ভেঙে পানি ঢুকার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে উপজেলার দেড় লক্ষ মানুষ।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিভিশন-২ সুত্র মতে, তজুমদ্দিনে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬ কিলোমিটার শহররক্ষা বাঁধ এবং তীর সংরক্ষণে ব্লক ও জিও ব্যাগ নির্মাণ করা হয়। এরপর ২০২২ থেকে ২৬ অর্থ বছরে তজুমদ্দিনের সোনাপুর অংশে দুই কিলোমিটার ও চাঁদপুর-চাঁচড়া অংশের ৬ কিলোমিটারসহ বেতুয়া পর্যন্ত মোট ২৮ কিলোমিটার রেড়িবাঁধ নির্মাণ, জিও ব্যাগ, ব্লক, ড্যাম্পিং, সুইজগেট ও রাস্তা পাকা করণের প্রকল্পে প্রায় ১১ শত কোটি টাকা বরাদ্দ নিয়ে কাজ শুরু হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে কাজে ধীরগতি দেখা দেয়। ফলে পানির চাপে পূর্বের বেড়িবাঁধের বেশ কিছু অংশে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। এছাড়া কাজের ধীরগতির কারণে ইতোমধ্যে বহু বাড়িঘর ভেঙে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়। স্থানীয়রা জানান, ঠিকাদারের লোকজন মেঘনা নদী থেকে বালু তুলছে। যে কারণে ভাঙনের তীব্রতা আরো বেশি। এছাড়া বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশে টিউব জিও ব্যাগে যে বালি দেয়া হয়েছে তা সামনের নদী থেকে তোলা হয়েছে। তারা আরো জানান, লোকাল বালি হওয়ার কারণে জোয়ারের পানির চাপে টিউব ব্যাগ থেকে বালি বেড় হয়ে গিয়েছে।
এবিষয়ে তজুমদ্দিন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রফিক সাদী সহ কয়েকজন সাংবাদিক, ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিভিশন-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদকে জানালে, তিনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে মেরামতের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। গতকাল এসংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ হলে, আজ ইতোমধ্যে সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয়দের আতংকিত না হওয়ার আহ্বান জানান সংশ্লিষ্টরা।