শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২০ পূর্বাহ্ন

News Headline :
সিরাজগঞ্জে ইজিবাইক চালককে হত্যা করে গাড়ি ছিনতাই আটক দুই কুষ্টিয়ায় র‌্যাবের অভিযানে হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার পাবনা জেলার ১৯৬তম জন্মদিন উপলক্ষে কাগজে গ্রাফিতি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত বাজারের আগুন: ত্রিশালের কাঁচাবাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য আকাশছোঁয়া বিপাকে সাধারণ মানুষ কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের সতর্ক বার্তা পাবনা র‌্যাবের অভিযানে ৪টি হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামী গ্রেফতার নওগাঁ সোসাইটির নীতিমালা ভঙ্গ করে প্রতিপক্ষের ঘর দখলের অভিযোগ অপরাধী ও দুষ্টু লোকদের স্থান বিএনপিতে হবে না বলে তারেক রহমান স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন: কেন্দ্রীয় যুবদল সম্পাদক নয়ন পাবনায় সংবাদ প্রকাশের জেরে ওসির ইন্ধনে সাংবাদিকের খোজে সন্ত্রাসীরা মতিহারে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী সোহেল গ্রেফতার

তালায় সীমাহীন দূর্ণীতিসহ ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ

Reading Time: 2 minutes

শহিদুল ইসলাম, খুলনা:
সাতক্ষীরার তালা এলজিইডি (ইঞ্জিনিয়ার) অফিসের হিসাব সহকারী(বর্তমানে দায়িত্ব প্রাপ্ত) হিসাব রক্ষক এর বিরুদ্ধে সীমাহীন দূণীতিসহ ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। প্রতি ফাইলে ১হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হয় হিসাব সহকারী মোস্তাফিজুর রহমানকে।সামান্য সহকারী হিসাব রক্ষক এর চাকুরী করে রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছেন তিনি। করেছেন আলীশান বাড়ী। চলেন জমিদার ইষ্টালে। কাহারো কোন তোয়াক্কা না করে, ঠিকাদারসহ নিয়মিত সকলের সাথে অসৈজন্যমুলক আচরন করেন তিনি। ঘুষ না দিলে কোন ফাইল নড়ে না। বিভিন্ন তাল বাহানা দেখিয়ে ঠিকাদারদেরকে জিম্মি করে ছল চাতুরী করে কোটি টাকা কামিয়েছেন। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ ঠিকাদাররা। কোন ঠিকাদার তার চাহিদামত টাকা দিতে অপারগতা স্বীকার করলে দিনের পর দিন তার ফাইল আটকে রাখেন বিভিন্ন ভাবে ঘুরাতে থাকেন। ঠিকাদাররা কোন প্রতিবাদ করলে মুস্তাফিজ দম্ভ করে বলেন,আমি তালায় না থাকলে কোন সমস্যা নাই। সাতক্ষীরা জেলায় থাকবো। যেখানে যাবো, সেখানেই চেয়ার পাবো। আপনারা আমার কোন কিছুই করতে পারবেন না। টাকা দিয়ে সব ম্যানেজ করে নিব।নাম না বলা শর্তে ঠিকাদাররা অভিযোগ করে বলেন, ফাইল প্রতি মুস্তাফিজ ৫শ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকেন অর্থাৎ একলক্ষ টাকার বিল নিতে হলে ফাইলে ১হাজার টাকা হতে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হয়। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের সাথে অসৌজন্য ম‚লক আচরণসহ নানান অজুহাত দেখাতে থাকে সে।ঠিকাদাররা আরও বলেন, হিসাব সহকারি মুস্তাফিজ যে উপজেলায় কর্মরত থাকেন সেখানেই ঠিকাদারদের জিম্মি করে তার রমরমা ঘুষ বাণিজ্যের অভয়অরণ্য গড়ে তোলেন। তার চাহিদা মতো টাকা না দিলে চরম ভোগান্তিতে ফেলেন ঠিকাদারদের। তার এমন ব্যবহারে অতিষ্ঠ ঠিকাদাররা। তার দূণীতি ও ঘুষ বানিজ্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তপূর্বক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনসহ উদ্ধতন কর্তৃপক্ষ ও গোয়েন্দা বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।অভিযুক্ত হিসাব সহকারি মুস্তাফিজুর রহমান এর সাথে মুঠো ফোনে ০১৭১১-৪২৩২৯৭ এই নাম্বারে দূণীতিসহ ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ এর বিষয় জিঞ্জাসাবাদে তিনি কোন কথা না বলে ফোনটি কেটে দেন।এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী রথিন্দ্র নাথ হালদার এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি আপনার নিকট হতে বিষয়টি শুনলাম। যদি সে দূণীতি করে থাকে তাহালে উপরোস্ত কর্মকর্তার সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো। দোষী প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com