শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪০ অপরাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। রাজশাহীতে বইছে মাঝারি তাপপ্রবাহ। অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় জ্বর, ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১০, ২৪ ও ২৬ নং ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, গরমে অনেক শিশু ডায়রিয়া, হাঁপানি, জ্বরে ভুগছেন। এছাড়াও হাসপাতালগুলোর আউটডোরে এসব রোগে আক্রান্তদের ভিড় বাড়ছে। গত এক সপ্তাহের মধ্যে ডায়রিয়া ও নিমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বেশী মাত্রায় বাড়তে শুরু করেছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এরইমধ্যে রোগীর চাপে রামেক হাসপাতালের ওয়ার্ডে ডায়রিয়া রোগীর জন্য শয্যা সংখ্যার সংকুলান দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কতৃপক্ষকে। ফলে অনেকে বাধ্য হয়ে ওয়ার্ডের বাইরে মানুষের চলাচলরত রাস্তার মেঝেতে থাকছেন রোগীরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘন্টায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ৪৭ জন গরম জনিত রোগী ভর্তি রয়েছে। যার মধ্যে ৩২ জনই শিশু। যাদের অধিকাংশই ডায়েরিয়া ও নিমোনিয়ায় আক্রান্ত। নওগাঁর মান্দা থেকে আসা আব্দুর রহমান তার কন্যা সন্তানকে রামেক হাসপাতালের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করেছেন। তিনি জানান, গত পাঁচদিন ধরে তার ৪২ দিনের শিশুর পাতলা পায়খানা জ্বর। পরে হাসপাতালে এসে জানতে পারে শিশুটির নিউমোনিয়া হয়েছে। পারুল আখতারের নাতির তিনদিন ধরে পাতলা পায়খানা ও বমি এবং জ্বর রয়েছে। কিন্তু শয্যা না থাকায় হাসপাতালের বারান্দার মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়রিয়া পানিবাহিত রোগ। দূষিত পানি পান করার মাধ্যমে এ রোগ হয়। সাধারণত দিনে তিন বা এর চেয়ে বেশি বার পাতলা পায়খানা হতে শুরু করলে তার ডায়রিয়া হয়েছে বলে ধরে নেওয়া যায়। গরম এলেই ডায়রিয়ার সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করে। বিশেষ করে শিশু-কিশোররা এই রোগে বেশি ভোগে। তাদের মতে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শহরে ট্যাপের পানি সেপটিক ট্যাংক বা সুয়ারেজ লাইনের সংস্পর্শে দূষিত হয়।
এ বিষয়ে রামেক হাসপাতালের (ইএমও) ইনচার্জ ডা. শংকর কে বিশ্বাস জানান, এখনো আমাদের হাসপাতালে রোগীর পরিমাণ সহনীয় পর্যায়ে আছে। তবে ‘আবহাওয়া পরিবর্তন হয়ে গরম এসেছে। এখন গরম যত বাড়ছে, ডায়রিয়া রোগীও তত বাড়ছে। এক্ষেত্রে পানি ও তরল জাতীয় খাবার খওয়ার পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক।