শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৮ অপরাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
মোঃ শরিফুল ইসলাম, চর রাজিবপুর কুড়িগ্রাম :
কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ বছর থেকে এক্সরে সুবিধা থেকে বঞ্চিত অসংখ্য রোগী। লাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রাথমিক প্রতিবেদনে দেয়া তথ্যানুযায়ী দেশের সবচেয়ে দরিদ্র উপজেলা চর রাজিবপুরে দরিদ্রের হার ৭৯ দশমিক ৮ শতাংশ। দেশের সব থেকে দরিদ্র উপজেলায় সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পাওয়া কথা থাকলেও রোগীদের অভিযোগ জরুরি বিভাগে সরকারি সুবিধা পাননা তারা। শুধু তাই নয় সেলাই করার জন্য সুচ সুতা,গজ, পভিসেভ থেকে শুরু করে সবকিছুই হাসপাতালের বাহির দোকান থেকে কিনতে হয়। অত্র উপজেলার নিম্ন আয়ের মানুষগুলো হাসপাতালে সেবা না পেয়ে বিপাকে পরে যায়। অনেকে কাছে টাকা না থাকলেও বাকিতে কিনে জরুরি বিভাগের চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করে, অনেকেই চিকিৎসা বিহীন বাড়ি ফিরে যায় ভুক্তভোগী রাজিবপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবু বক্কর বলেন,আমি আমার ভাগিনা কে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে চিকিৎসার যাবতীয় মালামালবাহির থেকে কিনতে হয়েছে আরেক ভুক্তভোগী মোঃ নাজমুল ইসলাম বলেন, আমি বাবার চিকিৎসার জন্য নিয়ে এসেছিলাম নামেমাত্র সরকারি হাসপাতাল কিন্তু সবকিছু হাসপাতালের বাহির থেকে কিনতে হয়েছে এ বিষয়ে রাজিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোঃ সারোয়ার জাহান বলেন, আমি ২০২০ সালে আসার আগে থেকেই এক্সরে মেশিন বন্ধ। এক্সরে মেশিনের টেকনিশিয়ান নেই, আমারা সরকারের কাছে চাহিদার তালিকা বার বার পাঠিয়েছি। জরুরি বিভাগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, সমস্ত চিকিৎসার সামগ্রী আমাদের হাসপাতালে আছে কিন্তু জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত যারা আছেন তারা এ সমস্যা সৃষ্টি করতেছে।