শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৩ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মো.মোরসালিন ইসলাম,দিনাজপুর:
দিনাজপুর জেলা কোতয়ালী থানার জোটেল কর্মী জয়া বর্মন ( সুন্দরী) হত্যা হয় গত ২৭. তারিখে সন্ধ্যা ৭ টার সময় দিনাজপুর কোতয়ালী থানার মির্জাপুর বাস টার্মিনাল(কালুর মোড়) বিসমিল্লাহ হোটেলের দক্ষিণ পার্শ্বের গলিতে জয়া বর্মন সুন্দরীকে হোটেল কর্মী অজ্ঞাতনামা দূর্বিত্ত দ্বারা আক্রান্ত হন। অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি দা দিয়ে কুপিয়ে ভিকটিমকে মারাত্মকভাবে আহত করে। পরবর্তীতে তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। ঘটনার বিষয়ে পুলিশ অবগত হওয়ার সাথেই কোতয়ালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।ঘটনার পরপরই পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ পিপিএম দিক নির্দেশনায় থানা পুলিশের একটি চৌকশ দল অভিযান শুরু করেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ মমিনুল করিম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) আব্দুল্লাহ আল মাসুম এর সমন্বিত পরিকল্পনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শেখ মোঃ জিন্নাহ আল মামুন এর নেতৃত্বে অফিসার ইনচার্জ কোতয়ালী থানা মোঃ ফরিদ হোসেন, এসআই(নিঃ) মোঃ শামীম হক, এসআই(নিঃ) মোঃ জুয়েল রানা, এসআই মোঃ মনিরুজ্জামান, এএসআই(নিঃ) মোঃ শাহ আলম এর অংশগ্রহণে অভিযান শুরু করেন । ঘটনাস্থলে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে অপরাধীকে সনাক্ত করা হয়। অপরাধী পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতারের জন্য দিনাজপুর জেলার রাজবাড়ী, বড় বন্দর, শেখহাটিসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে রবিবার ১ ( অক্টোবর) ভোর ৪ টায় দিনাজপুরের খানসামা থানার পাকের হাট বাজারের মাহিন সুইট নামীয় হোটেলের ভিতর হইতে আসামী মোঃ তরিকুল ইসলাম @ চান্দু(৩২), পালক পিতা-মৃত আশরাফ আলী, মাতা-তাহমিনা বেগম, সাং-মুরাদপুর দামপুকুর, আসামিকে গ্রেফতার করেন। আসামীর দেখানো মতে হত্যা কান্ডে ব্যবহৃত দা আলমত হিসেবে জব্দ করা হয়।আসামীকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে দীর্ঘদিন যাবৎ দিনাজপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে সাউদিয়া হোটেলে বয় হিসেবে কাজ করত। ভিকটিম একই হোটেলে কাজ করার সুবাদে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ট সম্পর্ক তৈরী হয়। আসামী প্রায়শই ভিকটিমকে বিভিন্ন সময়ে টাকা পয়সা দিত বলে দাবী করে। তাদের মধ্যে বিয়ের বিষয়টি নিয়েও মাঝে মধ্যে মাতানৈক তৈরী হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আসামী মোঃ তরিকুল ইসলাম চান্দু আঘাতের উদ্দেশ্যে ২০০ টাকা দিয়ে মহারাজার মোড়স্থ কামাড়ের দোকান হইতে দা ক্রয় করে। ভিকটিম জয়া বর্মন(সুন্দরী)-কে উপর্যুপরি কুপিয়ে ঘটনাস্থল হইতে দ্রুত পালিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। তথ্যপ্রযুক্তি ও সোর্সিং এর মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করিয়া একাধিক স্থানে অভিযান পরিচালনা করিয়া উল্লেখিত স্থান হইতে আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। আসামী নিজে ঘটনা ঘটিয়েছে এমন বক্তব্য প্রদান করিলেও আরো অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি হত্যাকান্ডে জড়িত রয়েছে কিনা তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষন করা হচ্ছে। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে ভিকটিমের স্বামী সপাল রায়(৩৩), পিতা-অনন্ত রায়, সাং-বনডাঙ্গা, ০৯নং সেনগাও ইউপি, থানা-পীরগঞ্জ, জেলা-ঠাকুরগাঁও, বর্তমানে ফকিরপাড়া(জনৈকা খালেদা, স্বামী-আঃ সামাদের ভাড়াটিয়া অজ্ঞাতনামা আসামীর বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করিলে কোতয়ালী থানার মামলা নং-৫৭/৭৩৮, তাং-২৮.৯.২৩ ধারা-৩০২ পেনাল কোড ১৮৬০ মোতাবেক মামলা রুজু করা হয়। এ বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত আছে। আসামিকে জেলহাজতে প্রেয়ণ করেন।