শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১০ অপরাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
খুলনা জেলা প্রতিনিধি:
আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে ঘরমুখী সাধারণ ক্ষেটেখাওয়া লোকজন। দীর্ঘদিন লকডাউন থাকায় আটকে ছিল বেকার থেকে কর্মস্থলে,অপেক্ষায় ছিল যাত্রীবাহী বাস চলাচলের। মাননীয় সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ০৪/০৬/২০২১ তারিখ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে আন্তজেলার ভিতর যাত্রীবাহী বাস চলাচলের নির্দেশ দেন। তার ধারাবাহিকতায় ০৪/০৬/২০২১তারিখ সকাল থেকে চলতে শুরু করে খুলনা জেলা মালিক সমিতির যাত্রীবাহী বাস সমূহ। কিন্তু খুলনা মহাসড়ক টু সাতক্ষীরা মহাসড়কের চিএ ছিলোএকটু ভিন্ন। সাতক্ষীরা জেলার যাএীবাহী বাস এবং খুলনা জেলার যাত্রীবাহী বাস একযোগে চলাচল করে বেলা ১১ টা পর্যন্ত। পরবর্তীতে নিয়ন্ত্রণে আনে জেলা প্রশাসন। সাতক্ষীরা খুলনা সীমান্তে সুভাষিনী বাজারে যাত্রী নামানোর নির্দেশ দেন। পরে সাতক্ষীরা জেলা বাস মালিক এবং খুলনা জেলা বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হন। খুলনা জেলা বাস মালিক সমিতির লাইন সেক্রেটার নিতাই কুমার নন্দী বলেন আমরা বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম অনুযায়ী যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে আন্তজেলার ভিতরে বাস চলাচলের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সাতক্ষীরা জেলা বাস মালিক সমিতির কাউন্টার ম্যান বলেন আমরা সাতক্ষীরায় ফোন করে দিয়েছি যেন যাত্রীদের কাছ থেকে খুলনার ভাড়া না নেয় সুভাষীনীর ভাড়া নেয় খুলনায় বাস যাবে না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন যাত্রীবাহী বাসের সুপারভাইজার বলেন আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ বেকার আছি আমরা সরকারের কাছ থেকে কোন সাহায্য বা অনুদান পায়নি এখন আজ থেকে গাড়ি চলছে তারপরও ভোগান্তিতে। সাতক্ষীরা থেকে গাড়ি ছেড়ে খুলনায় যেতে পারছিনা। সাতক্ষীরা থেকে খুলনা পর্যন্ত না যেতে পারলে আমাদের গাড়ির ক্যাশ বাচে না। তেল খরচ ওঠে না। আব্দুল মালেক নাম করে একজন বাসের যাত্রী সাতক্ষীরা থেকে সুভাষীনি বাজারে নেমে অশ্রু ভেজা চোখে বৃদ্ধ মাকে কোলে নিয়ে খুলনায় যাওয়ার বাস খুঁজতে থাকেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন বার্ধক্যের কারণে আমার মা গুরুতর অসুস্থ। খুলনায় ডাক্তারের এখানে নিয়ে যাব কিন্তু কাটা লাইনে যেতে যেয়ে কি ভোগান্তিতে পড়ে গেলাম । এছাড়া শত শত যাএীরা বলেন দীর্ঘদিন পর যাত্রীবাহী বাস ছাড়লেও চলাচলের ভোগান্তি লেগে আছে গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া পড়তে হচ্ছে গাড়ি পরিবর্তনের যামেলায় যাচ্ছে বেশি সময়।