শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩১ অপরাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
এস.এম অলিউল্লাহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরে মে মাসের শেষের দিক থেকে শুরু করে জুলাইয়ের শুরু পর্যন্ত একাধিক খুন,ধর্ষন,চুরি,ডাকাতি,মারামারির ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। তথ্য সূত্রে জানা যায়,২১শে মে উপজেলার শিবপুর ইউ/পি সদস্য খলিল মিয়া কে শিবপুর গ্রামের রাসেলের স্ত্রী আখি উঠিয়ে নিয়ে বিবস্ত্র ভিডিও করে ২ লাখ টাকা আদায় করেছে,এছাড়া ২৭ শে মে পৌর এলাকার ভোলাচং গ্রামের লিল মিয়া (৫৫)কতৃক একই গ্রামের ১১ বছরের প্রতিবন্ধী শিশুর ধর্ষনের ঘটনা ঘটা ছাড়াও একই দিনে লাউরফতেহপুরের ইউ/পি সদস্য মকবুল হোসেন কতৃক গুচ্ছগ্রামের রুমা ধর্ষনের স্বীকার হয়।তাছাড়া ৫ই জুন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবদুল্লাহ আল রুমানের হামলার স্বীকার হন তার একই গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা মহসিন, ৬ই জুন গাজিরগান্দি গ্রামের বায়েজিদ মিয়া (১৬)তার প্রতিবেশী সাড়ে তিন বছরের শিশুকে ধর্ষনে চেষ্টা করেন। ১৯শে জুন কড়ইবাড়ি গ্রামে বুইদ্যা নামক চুরের সাবলের আঘাতে মিলন মিয়ার স্ত্রী মরিয়ম(৭০) খুন হয়,২৭শে জুন কুড়িঘর গ্রামের আবু ছালাম মিয়ার ছেলে ছগির মিয়া(৩৫) এর ভাসমান লাশ তিতাস নদী থেকে উদ্ধার করে নবীনগর থানা পুলিশ।তাছাড়াও ২৮শে জুন মেরকুটা গ্রামে অটোচুরির টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে একই গ্রামের জুনায়েদ,জুবায়েরের আঘাতে খুন হয় তাদের প্রতিবেশী মিয়াধন (৬৫),একই দিন সেমন্তর গ্রামের ৮ বছরের জুনায়েদ নামক এক শিশুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হয় তার নিজের ঘর থেকে।পহেলা জুলাই মহল্লা গ্রামে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আবদুর রহমান (৬০)সহ আহত হয় ১০ জন,একই তারিখ রাতে স্বপরিবারে হাত পা বেঁধে বগডহর গ্রামের গরুর খামারী খলিল মিয়ার ২১ লাখ টাকা ডাকাতির ঘটনা ঘটে ।এতে উপজেলা জুড়ে আতংক বিরজ করছে, পূর্বে হত্যার মত অপরাধ টাকার বিনিময়ে সামাজিক শালিসে আপোষ মিমাংসা হওয়ায় এবং অপরাধীদের ছাড়াতে প্রভাবশালীদের তদবিরের কারণে বর্তমানে এর প্রবনতা বাড়ছে বলে একাধিক সুশীলরা ধারণা করছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে থানা প্রশাসনের সাথে কথা বলে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার সহ বিভিন্ন ধরনের অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে,পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার একরামুল ছিদ্দিক।