এস.এম অলিউল্লাহ নবীনগর ব্রাহ্মণবাড়িয়া :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানার এস আই মিশনের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহনের একধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিরহ মানুষকে মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে ও মামলার চার্জসীট থেকে আসামীকে বাদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নানা কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। তিনি দির্ঘদিন ধরে এই থানায় কর্মরত থেকে এসব অপকর্ম করে যাচ্ছেন বলে ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি কয়েকটি ঘটে যাওয়া ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে জোসনা বেগম নামে এক মহিলার অভিযোগ তদন্ত করতে নবীনগর সার্কেল সিরাজুল ইসলাম উভয় পক্ষকে ডেকে বৈঠক করেছেন। সুত্রে জানাযায়, উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের পালবাড়ি গ্রামের জোসনা আক্তারের স্বামী ইদ্রিস মিয়া বিদেশ যাওয়ার জন্য একই গ্রামের ইব্রাহিম মিয়া,ফুল মিয়া,মোঃ জিয়া ও দুলাল মিয়া নামে কয়েকজন ব্যক্তির কাছ থেকে ৮ লক্ষ টাকা লগ্নিতে নেয়। পরে সেই টাকা সুদে আসলে ১৫ লক্ষে হয়েছে।ওই লোক বিদেশ যওয়ার সময় লগ্নিপ্রদানকারি ফুল মিয়া তার বসত ভিটার বিক্রীর লক্ষে জোর করে পাওয়ার লিখে নেয়। পরে লগ্নিকারিরা ইদ্রিস মিয়ার বাড়িটি দখল করে জোসনা বেগমসহ পরিবারের লোকজন বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে ঘরে তালা জুলিয়ে দেয়। এ ঘটনায় জোসনা বেগম নবীনগর থানায় একটি অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগটি তদন্ত করার দায়িত্ব পান এস আই মিশন বিশ্বাস ভুক্তভুগী জোসনা বেগম জানান, এস আই মিশন লগ্নির টাকা কমিয়ে দেবে এবং তাদের নিরাপত্তা দেবে বলে এক লক্ষ ছিয়াত্তোর হাজার টাকা নেয়। টাকা না দিলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে সেই ভয়ে বাদ্য হয়ে তিনি টাকা দিয়েছেন। এ দিকে অপর আরেকটি বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষনের ঘটনায় একই গ্রামের মৃত প্রদ্বীপ দেবের মেয়ে পূজা রানী দেবের পক্ষে মামলার চার্জসীট দেবে বলে তার কাছে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবী করে এস আই মিশন। টাকা না দিলে চার্জসীট থেকে আসামীর নাম বাদ দিয়ে দেবে। এ ঘটনায় গত ২১ সালের ৩ আগষ্ঠ পূজা রানী দেব জেলা পুলিশ সুপারের বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। পরে বিষয়টি সমঝোতার মাধ্যমে শেষ হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী জানায় তার এক আত্বীয়কে মামলার চার্জসীট থেকে বাদ দেওয়ার জন্য ৬০ হাজার টাকা নিয়েছে ওই এস আই মিশন। নবীনগর উত্তর পাড়া এলাকার জাহানারা বেগম জানায়, মনতলা গ্রামের এক মহিলার সাথে তার পাওনা টাকা নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় ওই মহিলা থানায় অভিযোগ দেয়। তারপর ওই মহিলাকে টাকা দিয়ে দেওয়ার পরও এসই মিশন তাকে বাড়ি থেকে ধরে এনে মামলার ভয় দেখিয়ে ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত এস আই মিশন এর ০১৭১৫৭৪১২৩৪ নাম্বারে একাধিকবার ফোন দেওয়ার পরও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এ ব্যাপারে এ এস পি সার্কেল নবীনগর সিরাজুল ইসলাম বলেন, এস পি স্যারের নির্দেশে জোসনা বেগমের বিষয়টি নিয়ে আজকে উভয়পক্ষকে নিয়ে বসা হয়েছিল । কিন্ত এস আই মিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। ওই মহিলার কাছ থেকে অন্য লোক টাকা নেয় মিশনকে দেওয়ার জন্য। কিন্তু ওই লোক ওই মহিলার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে এ কথা অস্বীকার করেন।