বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২৬ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
স্বামীর নির্যাতনের শিকার অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর মামলা না নিয়ে থানা থেকে ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার ওসির বিরিুদ্ধে।
ভূক্তভোগী গৃহবধূ ফাহমিদা আফরিন বিন্তি (২৯), তিনি মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার উত্তরপাড়া এলাকার বাসিন্দা শাহীন আলমের স্ত্রী।ভূক্তভোগী গৃহবধূ ফাহমিদা আফরিন বিন্তি জানায়, তিনি বর্তমানে ৫মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তার স্বামী শাহীন আলম দ্বিতীয় বিবাহ্ করেছেন। বিয়ের পর থেকে তার স্বামী যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতণ চালিয়ে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) গৃহবধূ বিন্তিকে ব্যপক শারীরিক নির্যাতন চালায় তার স্বামী শাহীন। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১২টায় গৃহবধূ তার স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে যান চন্দ্রিমা থানায়। এ সময় থানার ওসি মোঃ এমরান আলী গৃহবধূকে দূর দূর করে থানা থেকে তাড়িয়ে দেন। ওসি বলেন, আদালতে গিয়ে মামলা করেন। এরপর গৃহবধূ বাড়ি ফিরে গেলে তার স্বামী পূণরায় তাকে নির্যাতণ চালায়। এক পর্যায়ে গৃহবধূর পেটে লথি মারে তার স্বামী। এতে অসুস্থ হয়ে পড়েন গৃহবধূ। খবর পেয়ে গৃহবধূর স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি রামেকের ২৩ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গৃহবধূর ফুপাতো ভাইয়ের দাবি, নির্যাতনের শিকার হয়ে বিন্তি অভিযোগ দিতে থানায় যায়। ওসি সাথে সাথে ব্যবস্থা নিলে দ্বিতীয়বার নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালে যেতে হতো না বিন্তিকে। তার বর্তমান পরিস্থিতির জন্য ওসিকেই দায়ি করেন গৃহবধূর ভাই।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে, চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ এমরান আলী বলেন, একজন গৃহবধূ এসেছিলেন। আমি তাকে পরামর্শ দিয়েছিলাম আদালতে মামলা করতে। কিন্তু পূণরায় তিনি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এটা আমার জানা নাই। তবে থানায় আসলে মামলা নিবো।
অভিযোগ উঠেছে, কোন ভূক্তভোগী থানায় গেলে, মামলা না নিয়ে হয়রানি করেন ওসি মোঃ এমরান আলী। বিভিন্ন রকম তাল-বাহানা করেন। হুজুর-মৌলভীদের মতো হাদিস শোনান। বৃহস্পতিবারও একই কাজ করেছেন তিনি। তাছাড়া তিনি একাই বক্তব্য দিতে পছন্দ করেন। অন্যের কথা শুনতে চান না। এর আগে পুস্পা নামের এক যুবতীকে মামলা না নিয়ে দীর্ঘ ২মাস ঘুরিয়েছিলেন। ওই ঘটনায় “থানায় ঘুরছে যুবতী, মামলা নিচ্ছেন না ওসি”। শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয় বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও একাধিক স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় সংবাদটি প্রকাশের পর উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের নির্দেশে যুবতীকে থানায় ডেকে মামলা রুজু করেন ওসি এবং সেই রাতেই আসামী গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। তাছাড়াও সাংবাদিকদের প্রতি রয়েছে তার বাঁকাদৃষ্টি। সুযোগ পেলেই তিনি বিভিন্ন সাংবাদিকের নামে আবোল-তাবোল কথা বলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে চন্দ্রিমা থানার ওসি বিরুদ্ধে।