রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মোঃ ইমরান ইসলাম,নওগাঁ:
নওগাঁর নিয়ামতপুরে গরু পালন অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। উপজেলার প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই এখন গরু পালন করা হচ্ছে। অন্যদিকে উপজেলায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি খামার বৃদ্ধি পাচ্ছে। গরু পালনে অনেকের সংসারে সচ্ছলতা এসেছে। কিন্তু হঠাৎ করেই নিয়ামতপুরে বেড়েছে গরুর ভাইরাসজনিত লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) রোগ। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের খামারি ও প্রান্তিক কৃষক। পল্লি পশু চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে ভুল চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে গরু এবং অর্থ অপচয়ের শিকার হলেও মিলছে না কোনো সমাধান।সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে অধিকাংশ কৃষকের গরু ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এ রোগের প্রতিষেধক না থাকায় অনেককে পল্লি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হচ্ছেন। আক্রান্ত গরুর মালিকদের কাছ থেকে বিভিন্ন কৌশলে পল্লি চিকিৎসকরা হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অঙ্কের টাকা। এ রোগে আক্রান্তের তুলনায় মারা যাওয়া সংখ্যা কম। প্রান্তিক কৃষকের পাশাপাশি আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন খামারিরা।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, নিয়ামতপুরে মোট ছোট-বড় ৩৮০ টি খামার আছে। উপজেলায় গরুর সংখ্যা ২ লক্ষ ৫৬ হাজার ৮৯৫ টি। এ রোগে আক্রান্ত ৬৪ টি গরুর চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে প্রকৃত তথ্য অনুযায়ী উপজেলায় এ রোগে আক্রান্তের হার অনেক বেশি।উপজেলার আসনদী গ্রামের গরু পালনকারী আজিজুল হক ও জিনারপুর গ্রামের আইচাঁন বলেন, এ রোগ হলে চিকিৎসা কী হবে, সে বিষয়ে আমাদের কোনো ধারণা নেই। শুধু জ্বর ও ব্যথার ইনজেকশন দিচ্ছে। এতে আক্রান্ত গরুর ফোলা ও গুটি সারতে অনেক সময় লাগছে। অনেক টাকা খরচ হচ্ছে।পল্লি চিকিৎসক মিলন বলেন, এই রোগের সরকারি বা বেসরকারি ভাবে এখনও কোন প্রতিষেধক বের হয়নি। আক্রান্ত পশুর প্রথমে তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে শরীরে বড় বড় গুটি দেখা দেয়। এক সপ্তাহ পরে গুটিগুলো গলে ঘা হয়। ঘা থেকে অনবরত তরল পদার্থ বের হয়। অল্প দিনে গরু শুকিয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে ছোট বাছুর মারা যায়।উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ইয়ামিন আলী বলেন, খামারিদের তুলনায় প্রান্তিক কৃষকদের গরু লাম্পি স্কিন রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এ রোগ প্রতিরোধের কোনো টিকা নেই। গরুর সঠিক পরিচর্যা ও পরিষ্কার পরিছন্ন রাখার মাধ্যমে এ রোগ ছড়িয়ে পড়া রোধ করা সম্ভব। আমরা মাঠ পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।