শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ১১:২১ পূর্বাহ্ন

News Headline :
পাবনায় “তারুণ্যের উৎসব ২০২৫”: আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে নবাগত জেলা প্রশাসকের কর্মদিবস শুরু!! গোবিন্দগঞ্জে ত্যাগী নেতাদের মাঝে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ ১২০ শিক্ষার্থীদের পথচলা পুরাতন কাঠের তৈরি সাঁকো ভাঙ্গলেই সমস্যা হবে শেরপুরে নোবেল বিজয়ী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকে দুর্বৃত্তদের আগুন লাগানোর চেষ্টা মাদক সমাজের ক্যান্সার এটা প্রতিরোধে প্রশাসনের অনিহা-শিমুল বিশ্বাস গণমাধ্যমে বিকৃত তথ্য প্রচার ইসলামপুরে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর পক্ষ থেকে প্রতিবাদী ব্রিফিং কৃষি অফিসের সামনে থেকে প্রণোদনার সার-বীজ পাচার রাজনৈতিক দলের পদধারী কেউ প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির কোনো পদে থাকতে পারবে না-সারজিস আলম গাবতলীতে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের দাবিতে শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধ এই জনপদকে যারাই পদদলিত করেছে বাঙ্গালি তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছে-শিমুল বিশ্বাস

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের সুনীল অর্থনীতিতে তিস্তা সেচ ক্যানেল এখন সমৃদ্ধির হাতছানি

Reading Time: 2 minutes

মোঃ মিজানুর রহমান কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

ডিজেল চালিত ইঞ্জিন, কুপ-কুয়া যুগের বিলুপ্তিতে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার
সুনীল অর্থনীতিতে আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে তিস্তা সেচ ক্যানেল। পাল্টে
যাচ্ছে কৃষকের জীবন- জীবিকা, সম্মৃদ্ধি হচ্ছে অর্থনীতির চাকা। এক সময় বন্যা, খরা,মঙ্গা,দারিদ্রতা ছিল এ জনপদের নিত্যদিনের সঙ্গী। এখন সব বাধা অতিক্রম করে কৃষিক্ষেত্রে আজ বিশ্বের বিষ্ময় ।
সরেজমিনে সেচ ক্যানেল পাড়ের সিটরাজিব গ্রামের বাসিন্দা ফয়জুল জানান, সেই আমলে বাপ-দাদারা কুপ-কুয়া, ডিজেল চালিত ইঞ্জিন , পা চালিত টিউবওয়েল চালিয়ে ঘামঝরা কষ্ট করে ধান, পাট, গম, তামাক, কাউন
চাষ করত। খাঁ খাঁ খর রৌদ্দ্রে ফসল ফলাদি তেমন হত না। তখন সংসারে অভাব ছিল। এখন সেচ ক্যানেল পরিস্থিতি পাল্টে দিয়েছে এ উপজেলার সামাজিক
প্রেক্ষাপট। আগের চেয়ে জমিও দিগুন বেড়েছে। এখন ভরা চৈত্রে চারিদিকে পানিতে টইটুম্বুর। ১২ মাস ফসল ফলাতে পারি । সেচ ক্যানেলের কারণে ফয়জুলের মত অনেকে এখন সচছল হয়ে উঠেছে ।গাড়াগ্রামের কৃষক আঃ মান্নান বলেন,কি কমো বাহে দুঃখের কথা,
আগত হামরা মাটির কুয়া খনন করে তোলা বালতির পানি দিয়ে ধান আবাদ করে বিঘা প্রতি ফলন হত ৫/৬মন। এখন নালার পানি দিয়া ধানের ফলন হয়ছে
৩০/৩৫মন। বিগত কয়েক বছর আগে অভাব ছিল ঘরে ঘরে। এখন তা নেই । এলাকার কেউ ত্রানের জন্য অপেক্ষা করে না। এ জনপদের জমিতে বর্তমানে সব
ধরনের ফসল উৎপাদন হচ্ছে। পাশাপাশি সেচ ক্যানেলের পানিতে হাঁস,মাছ চাষ করে অনেকেই এখন স্বাবলম্বী।
সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবোর) হিসেবে সেচ ক্যানেলে
এখন গড়ে সাড়ে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার কিউসেক পানি প্রবাহিত হচ্ছে। সেই পানি চলে যাচ্ছে তিস্তার সেচ ক্যানেল থেকে কৃষকের আবাদি জমিতে। চলতি বোরো মৌসুমে তিস্তা ব্যারেজ কমান্ড এলাকায় ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ কার্যক্রম শুরু হয়েছে । সদরের মধ্য রাজিব চেংমারী গ্রামের হজরত জানান, আগে সেচের অভাবে বোরো আবাদ করতে পারতাম না ।
শেখ-হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিস্তা ব্যারেজের সেচ প্রদান বেগবান করায়। সেচ সুবিধা পেয়ে শুরু করেন বোরো আবাদ । শুধু তিস্তা ব্যারেজ সেচ নয়, শেখ হাসিনার সরকার কৃষি প্রণোদনার মাধ্যমে কৃষকদের মাঝে নিয়মিত বীজ, সার ,কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদান করেছেন । কৃষকরা আজভাগ্য পরিবর্তন করে সচ্ছল হয়ে উঠেছে। একই এলাকার বাবর আলী বলেন“ আগে সেচের জন্য প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হতো ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা। এখন তিস্তা সেচ প্রকল্পের পানিতে প্রতি বিঘায় খরচ হয় ২শত থেকে ২৫০ টাকা।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com