বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:২৬ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
কামরুল হাসান, ময়মনসিংহ:
নেত্রকোনার জেলার মদনে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য তাজ মিয়ার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মদন থানায় মামলা হয়েছে। ভিকটিম আজ ১৪ জুলাই বুধবার বাদী হয়ে মদন থানায় মামলা করেন। গৃহবধুকে ধর্ষণ চেষ্টার সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় তাজ মিয়ার বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি তদন্ত) উজ্জল কান্তি সরকার নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, কাটাইল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের জাওলা গ্রামের মৃত – রাশিদ মিয়ার ছেলে তাজ মিয়া। তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। তিনি গত ৩০ জুন বুধবার ভিকটিমের স্বামী বাড়িতে না থাকায় তার বসত বাড়িতে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। ভিকটিমের চিৎকারে ব্যর্থ হয়ে তার ঘরে থাকা ২ লক্ষ টাকার ব্যাগ নিয়ে চলে যায় এবং মামলা না করার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। গত ২ জুলাই ভিকটিম লোকলজ্জার ভয়ে ধর্যণ চেষ্টার বিষয়টি গোপন রেখে শুধু টাকা চুরি ও হুমকির কথা উল্লেখ করে মদন থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত ) জানান ভিকটিমের অভিযোগের ভিত্তিতে নেত্রকোনা থেকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আজ সকালে ভিকটিমের বাড়িতে যান। ভিকটিমের ধর্ষণের বিষয়টির তখন উঠে আসে এবং এর সত্যতা প্রমাণিত হয়। ফলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ভিকটিমকে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়েরের পরামর্শ দেন। এ পরামর্শের ভিত্তিতে ভিকটিম আজ মদন থানায় উপস্থিত হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
ভিকটিমের ভাষ্য মতে, ৩০ জুন আমার স্বামী ফুটবল খেলা দেখতে গেলে এ সুযোগে তাজ মিয়া আমার বসত ঘরের দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে জোড়পূর্বক আমার সাথে অনৈতিক কাজ করতে চাইলে আমার চিৎকারে আমার ছেলের ঘুম ভেঙ্গে যায়। এ সময় সে আমার ঘরে থাকা দা নিয়ে আমাকে আঘাত করার চেষ্টা করে এবং আমার বিছানার নিচে থাকা ২ লক্ষ টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়। আমি তার ভয়ে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করতে পারিনি। আজ স্যারেরা এসে আসায় সাহস দেওয়ায় আমি সাহস পেয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করি। আমি এর বিচার চাই।
অভিযুক্ত ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য তাজ মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমি কোন ভয়ভীতি দেখাই নাই কিংবা কোন টাকা আনিনি। গত ২ জুলাই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক চুরির একটি মিথ্যা মামলা করেছিল। তিনি বলেন নেত্রকোনা থেকে আজ সকালে স্যারেরা এসেছিলেন তারা বিষয়টি ভাল বলতে পারবেন।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি তদন্ত) উজ্জল কান্তি সরকার জানান আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।