শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:০৩ পূর্বাহ্ন

News Headline :
ইউপি চেয়ারম্যানের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কের মাটি সরে গিয়ে দূর্ভোগে জনগণের সেবা দেওয়ার জন্যই সরকার আমাকে পাঠিয়েছেঃ-নওগাঁর নবাগত ডিসি রাজশাহীতে শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে শুটার রুবেল পাবনায় সাংবাদিকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত ও মতবিনিময় করলেন নবাগত জেলা প্রশাসক মধুপুরে বৈষম্যবিরোধী ও কোটা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে  বিএনপির দোয়া  মাহফিল অনুষ্ঠিত  পাবনার হেমায়েতপুরে কারামুক্ত বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংবর্ধনা ও আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্বোধন বাঘাইছড়িতে বিএনপির দুই নেতা বহিষ্কার ডোমারে সীরাতুন্নবী (সাঃ) মাহফিল অনুষ্ঠিত পাবনার সুজানগরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পথসভা অনুষ্ঠিত

নেশাজাতীয় পানীয় পানে ৩ জনের মৃত্যু ও ২ জন অসুস্থের অভিযোগ

Reading Time: 2 minutes

নিজস্ব সংবাদদাতা, অভয়নগর যশোর:
যশোরে নেশাজাতীয় পানীয় পান করে তিনজনের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অসুস্থ দুজন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
যশোর সদর উপজেলার আবাদ কচুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে ওই নেশাজাতীয় পানীয় পানের ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি শুক্রবার রাতে জানাজানি হয়।
মৃতরা হলেন- আবাদ কচুয়া গ্রামের মো. ইসলাম, জাকির হোসেন ও আবুল কাশেম। এ ছাড়া গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছেন সিতারামপুর গ্রামের মনিরুদ্দীনের ছেলে বাবলু এবং একই গ্রামের আনোয়ার মোড়লের ছেলে রিপন হোসেন মোড়ল।
কচুয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলাম বিদ্যুৎ জানিয়েছেন, ‘গত বুধবার রাতে আবাদ কচুয়া গ্রামের একটি বাগানে ওই পাঁচজন বিষাক্ত নেশাজাতীয় পানীয় পান করেন। রাতেই তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে নিজ নিজ বাড়িতে গ্রাম্য চিকিৎসকের দিয়ে চিকিৎসা নেন। কিন্তু অবস্থায় অবনতি হলে ইসলামকে বৃহস্পতিবার ভোরে তথ্য গোপন করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওইদিন দুপুরের দিকে মারা যান তিনি। এরপর পরিবারের সদস্যরা দ্রুত ছাড়পত্র ছাড়াই মরদেহ হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে চলে যান।’
তিনি আরও জানান, ‘বাকি চারজন বাড়িতে আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে শুক্রবার সকালে তারা একে একে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। এর মধ্যে জাকির হোসেন দুপুর পৌনে একটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান। এরপরই তাদের বিষাক্ত নেশাজাতীয় পানীয় পানের বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর বাবলু ও রিপন হোসেন হাসপাতাল ছেড়ে বেসরকারি ক্লিনিকে চলে যান। আর অসুস্থ আবুল কাশেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় শুক্রবার রাতে মারা যান।’
যশোর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আব্দুর রশিদ জানান, ‘স্বজনরা তথ্য গোপন করে রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করেন। তবে রোগীদের মুখে গন্ধ থেকে বোঝা যায় বিষাক্ত নেশাজাতীয় পানীয় পানের ফলে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন।’
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মহিউদ্দিন জানান, ‘এলাকাবাসীর তথ্য অনুযায়ী অসুস্থ ও মৃতরা অতিরিক্ত বা বিষাক্ত নেশাজাতীয় পানীয় পান করেছিলেন। কিন্তু তাদের স্বজনরা সেই তথ্য গোপন করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র না নিয়েই স্বজনরা লাশ বাড়িতে নিয়ে গেছেন।’
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবনে মৃত্যু ও অসুস্থ হওয়ার খবর তারা পেয়েছেন। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা অন্যকেউ তাদের কাছে কোনো অভিযোগ করেনি। বিষয়টি খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com