বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪১ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
নিজস্ব সংবাদদাতা:
মহাসড়কে থ্রি-হুইলার বন্ধসহ ১০ দফা দাবিতে রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে পরিবহন ধর্মঘট। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) ভোর ৬টা থেকে রাজশাহী থেকে দূরপাল্লা বা আন্তঃজেলা রুটের কোনো বাস ছাড়েনি। এতে সড়কপথে রাজধানী ঢাকাসহ পুরো দেশের সঙ্গে রাজশাহীর যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পরিবহন ধর্মঘটের কারণে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে পুরো রাজশাহী বিভাগ।
আর এতে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। দুদিন থেকে গন্তব্যে যেতে নানান ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। বিকল্প যানবাহনে করে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দিলেও এর জন্য গুণতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া।
রাজশাহী মহানগরীর শিরোইল বাসস্ট্যান্ড, ভদ্রা বাসস্ট্যান্ড, গোরহাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড, বিন্দুর মোড় বাসস্টপেজ ও বিলশিমলা বাসস্টপেজে গিয়ে দেখা যায়, পরিবহন ধর্মঘটের কারণে সাধারণ যাত্রীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে বিকল্প যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করছেন। ক্লান্ত হয়ে অনেকে রাস্তার পাশেই শুয়ে পড়ছেন। কেউ কেউ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা করেই দূর গন্তব্যের উদ্দেশে পাড়ি দিচ্ছেন। তবে এর জন্য যাত্রীদের নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে দুই থেকে তিনগুণ ভাড়া গুণতে হচ্ছে। তারা অবিলম্বে এ পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের দাবি জানান।
তবে পরিবহন নেতাদের দাবি, মহাসড়কে থ্রি-হুইলার ও পুলিশ হয়রানি বন্ধে বারবার বলা হলেও সরকার পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। তাই সেবামূলক পেশা হলেও দাবি আদায়ে তারা ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
রাজশাহী বিভাগীয় পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি সাফকাত মঞ্জুর বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে মহাসড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচল করছে। এগুলো বন্ধসহ ১০ দাবি রয়েছে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
তবে বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, আগামী শনিবারের গণসমাবেশে বাধা দিতেই এ পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। আর কেবল তাই নয়, বিকল্প পরিবহনে বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকর্মীরা এলেও পথে পথে গাড়িতে তল্লাশি করছে পুলিশ। রাস্তায় গাড়ি আটকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশের সমন্বয়ক বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেন, আগামী ৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় গণসমাবেশ বাধাগ্রস্ত করতেই এ পরিবহন ধর্মঘট।
সড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধসহ ১০ দফা দাবিতে রাজশাহী বিভাগে শুরু হওয়া ২য় দিনের ধর্মঘট পাবনাও চলছে। ধর্মঘটের ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষজন। জেলা শহর থেকে আন্তজেলা বা দুরপাল্লার কোন পরিবহন ছেড়ে যায়নি।
মহাসড়কে নছিমন, করিমন, ভটভটির মতো অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ করাসহ ১০ দফা দাবিতে এর আগে আল্টিমেটাম দিয়ে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছিল। বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ২য় দিনে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। জরুরী প্রয়োজনে মানুষজন বাড়ি থেকে বের হয়ে ভেঙ্গে ভেঙ্গে নিদিষ্ট স্থানে যেতে গুনতে হচ্ছে দ্বীগুন তিনগুন ভাড়া।এদিকে উত্রবঙ্গের ৮টি জেলায় চলছে পরিবহন ধর্মঘট। এতে করে সাধারণ মানুষদের চরম বিপাকে পড়তে হয়েছে।