শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪২ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মো. মুরাদ হোসেন, হাবিপ্রবি দিনাজপুর:
ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অফ স্টুডেন্টস ইন এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড রিলেটেড সায়েন্সেস (ইয়াস) বাংলাদেশ এর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) শাখার আয়োজনে তিনদিন(২৩-২৫ ফেব্রুয়ারি) ব্যাপি কৃষি বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স ফর ইয়ুথ ইন এগ্রিকালচার ২০২৩ (আইসিওয়াইএ)’র পর্দা নেমেছে গতকাল শনিবার । দেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত এ সম্মেলনের প্রথম আয়োজক হাবিপ্রবি শাখা। দেশ বিদেশের ডেলিগেটদের পাশাপাশি এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন প্রায় ২০০ জন শিক্ষার্থী।
আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনে কৃষি কাজে প্রযুক্তির ব্যবহার, নতুন প্রজন্মের আধুনিক কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা সহ বিভিন্ন সমসাময়িক পরিবেশ ও কৃষি প্রযুক্তির মেলবন্ধনে যুবদের সুযোগ ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানী, দেশ এবং বিদেশের নামকরা ইউথ আইকনরা। সম্মেলনের প্রথম দিনে বিশেষ অতিথি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন নেক্সটজেন এর সিনিয়র ম্যানেজার নেলে হারম্যান ভ্যালেন্ট, ইয়াস ট্রেইনিং কমিটির জুনিয়র ট্রেইনার ভারতের বসন্ত পান্ডে। তাদের মতে, তারুণ্যের শক্তি ও জ্ঞান আছে। এই শক্তি ও জ্ঞানকে সঠিকভাবে কাজে লাগালে তারা বিশ্ব ও কৃষিক্ষেত্রে একটি বড় মাইলফলক অর্জন করতে পারে। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে মাঠ পর্যায়ে কৃষির সম্ভাবনা ও অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা ও হাবিপ্রবি’র বিভিন্ন কৃষি পয়েন্ট পরিদর্শন করেন সম্মেলনে অংশ নেওয়া ডেলিগেট ও শিক্ষার্থীরা। ৭ জন আন্তর্জাতিক স্পিকার দের পাশাপাশি ইন্দোনেশিয়া, নেপাল, ভারত, তাইওয়ান থেকে এসেছিলেন অনেকেই। কৃষি বিষয়ক উদ্ভাবনী ধারণা তুলে ধরা, আলোচনা এবং নীতি নির্ধারণ, বিশ্ব মানের কৃষি ভিত্তিক শিক্ষার ধারনা, প্রশিক্ষণ সহ বেশ কিছু ইভেন্টের মধ্য দিয়ে তৃতীয়দিনের কার্যক্রম ছিল সবার জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন।
শিক্ষার্থীদের চিন্তা ভাবনা, গবেষণা, সৃজনশীলতা এবং নেতৃত্বের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার জন্য তিনব্যাপি সমস্যা সমাধান প্রতিযোগিতা,খাদ্য নিরাপত্তা এবং টেকসই কৃষি বিষয়ে বৈজ্ঞানিক আলোচনা,ডিজিটাল কৃষি বিষয়ক আলোচনা; অন্তর্ভুক্তি, বৈচিত্র্য, প্রতিভা এবং সুযোগ বিষয়ক আলোচনা, কৃষি মাঠ ভ্রমণ, ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শন, স্মার্ট ফার্মিং এবং তরুণদের সম্পৃক্ততা,আইডিয়া শেয়ারিং প্রতিযোগিতা, প্যানেল আলোচনা এবং নীতি নির্ধারণ, পাবলিক স্পিকিং প্রতিযোগিতা,জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদের বক্তৃতা প্রদান, পুরস্কার প্রদান এবং সবশেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল দেশ-বিদেশ থেকে অংশগ্রহণকারীদের জন্য বাংলাদেশকে চেনার অন্যতম মাধ্যম।
আন্তর্জাতিক এ সম্মেলন থেকে যুবকেরা একটি উপকারী জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি তরুণরা স্মার্ট ফার্মিংয়ের প্রতি আকৃষ্ট হবে বলে প্রত্যাশা করছেন আয়োজকবৃন্দ।
উল্লেখ্য, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অফ স্টুডেন্টস ইন এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড রিলেটেড সায়েন্সেস (ইয়াস) হল বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন যা কৃষি ও কৃষি সম্পর্কিত বিভাগে ১৯৫৭ সাল থেকে সারা বিশ্বে অবদান রেখে যাচ্ছে। ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশে ইয়াস সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে এবং বর্তমানে দেশে ১২ টি লোকাল কমিটি রয়েছে।