বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১১ অপরাহ্ন
Reading Time: 5 minutes
নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা:
পাবনা শহরের অদুরে জালালপুর নামক স্থানে রত্মদ্বীপ রির্সোটের সামনে গড়ে তোলা হয়েছে “ইন্দুবালা” নামক খাবার হোটেল। হোটেলটি প্রচার প্রচারনা ও খাবারের মান নিয়ে ভোজন রসিকদের দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হয়েছে। বিপত্তি বেধেছে হোটেলের নাম, খাবারের আইটেম ও পরিবেশনের দায়িত্বপ্রাপ্তদের পোষাক নিয়ে। হোটেলটির স্বত্বাধিকারী মিসেস সোহানী হোসেন বিভিন্ন মিডিয়ায় তার বক্তব্যে তুলে ধরেছেন ইন্দুবালা উপন্যাসের পুরোগল্পের আদলে সাজানো হয়েছে “ইন্দুবালা” খাবার হোটেলটিকে। এদিকে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে সংখ্যা লঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের নামকরন করে মুসলিম আইটেম পরিবেশন করায় উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। হোটেলটিতে গরুর কালা ভুনা আইটেম পরিবেশন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড় বইছে। তারা বলছে একটি ক্ষুদ্র সম্প্রদায়ের মেয়ের নামে নামকরন করে হোটেলটিতে গরুর মাংস খাবারের আইটেম রাখায় সেই সম্প্রদায়কে ছোট করা হয়েছে এবং ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত করা হয়েছে। এতে তাদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। এদিকে ইন্দুবালা হোটেলের নামকরন করে হিন্দু রীতিনিতি অনুসারে এবং হোটেলের খাবার পরিবেশনকারিদের পোষাক পরিচ্ছেদ হিন্দুয়ানী হওয়ায় মুসলিমদের মধ্যেও ক্ষোভ বিরাজ করছে। অনেক ধর্মপ্রান মসুলমান মনে করেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নাম ব্যবহার করে গরুর মাংস বিক্রি, এছাড়া হোটেলের খাবার পরিবেশনকারীদের লালপাড়ের সাদা শাড়ি, ধুতি, শাখা, সিদুর ও বালা পড়িয়ে মুসলিমদের সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ে লোক হিসাবে পরিচিতি করে তোলায় আমরাও বিব্রতবোধ করছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন মুসলিম ব্যাক্তি জানান, ইন্দুবালা হোটেলের নাম শুনে আমরা প্রথমে মনে করেছিলাম এটা হিন্দুদের হোটেল। এছাড়া প্রথমদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিজ্ঞাপনে খাবার পরিবেশনের চিত্র ও পরিবেশনকারীদের পোষাক দেখে আমরা নিশ্চিত হয়েছিলাম এটা সংখ্যালঘুদের খাবারের হোটেল। কিন্তু যখন খাবারের আইটেমে দেখতে পেলাম গরুর কালা ভুনা তখনই বিষয়টি নিয়ে হোচট খেলাম। এটা কি করে সম্ভব?
এদিকে হিন্দু ধর্মাবলম্বি সম্প্রদায়ের অনেকেই হোটেলটি তাদের সম্প্রদায়ের নামকরনে হওয়ায় তারা আগ্রহ ভরে সেখানে ভোজন করতে যাই। সেখানে গরুর কালাভুনা দেখে ভোজন না করেই তারা দ্রুত সেখান থেকে চলে আসেন। এসেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদ শুরু করেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা সমালোচনার পর পাবনার সিনিয়র সাংবাদিক কৃষ্ণ ভৌমিক তার ফেসবুক ওয়ালে একটি পোষ্ট করেন। পোষ্টটির কিছু অংশ তুলে ধরা হলো-
পাবনার ইউনির্ভাসাল গ্রুপের মালিক সোহানী হোসেন জালালপুরে তার রিসোর্টের সামনে ইন্দুবালা ভাতের হোটেল করেছেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনেকের সাথে একদল সাংবাদিক আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন। বেশ জমকালো উদ্বোধনীর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখতে পেলাম। এটা ভালো খবর বৈকি? তাই মনে মনে যেন পুলকিতবোধ করলাম।
সোহানী হোসেন কল্লোল লাহিড়ীর ঔপন্যাসের আলোড়িত ইন্দুবালা ভাতের হোটেলের নাম ও থীম নিয়ে হোটেল করেছেন। ঔপন্যাসের ইন্দুবালা হোটেলের যে যে পদ ছিলো তিনিও তার অনুকরণে সে সব পদের ব্যবস্থাসহ থালার ওপর কলার পাতা বিছিয়ে তার পর ভাত পরিবেশন করার কথা শুনে বেশ সৃষ্টিশীল মনে হলো।
তার ব্যবসায়িক পলিসি দেখে বেশ ভালো মনে হলো। কিন্তু বিপত্তি দেখা দিলো উদ্বোধনীর পর পরেই। একের পর এক ফোন আসতে থাকে ইন্দুবালা হোটেল নিয়ে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। এখানে একজনকে শাখা সিন্দুর পড়িয়ে ঔপন্যাসের ইন্দু সাজিয়ে তাকে দিয়ে গরুর মাংশ পরিবেশনসহ অনেক কিছুর খবর আসতে থাকে।
পরিস্থিতি অনুধাবন করতে অনুসন্ধান করতে মনটা আনচান করতে লাগলো। কোনটা সত্যি কোনটা গুজব এনিয়ে পর্যবেক্ষণ করার সময় নজরে এলো ইন্দুবালা ভাতের হোটেলের মেনুর বোর্ড। অবাক হয়ে বার বার দেখলাম এটা কি দেখছি চোখের ভুল নাতো?
হোটেলের মেনুবোর্ডে দেখলাম জামাইষষ্টির স্পেশাল আইটেম হিসেবে গরুর কালা ভুনার অফার। হতবাক হলাম এটা কি । অফারটি দেখে মনে কিছু প্রশ্ন জাগলো।
প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে জামাইষষ্ট্রি কোন সম্প্রদায়ের সামাজিক অনুষ্ঠান? এটা কি মুসলিম সম্প্রদায়ের কোন অনুষ্ঠান? সবাই একবাক্যে বলবেন না। জামাইষষ্টি হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠান। হিন্দু সম্প্রদায়ের জামাইষষ্টিতে স্পেশাল আইটেম তিনি কাদের উদ্দেশে অফার দিয়েছেন?
নিশ্চয় মুসলমান ভোক্তাদের জন্য নয়। তিনি হিন্দু ভোক্তাদের জন্য যে গরুর কালা ভুনার অফার দিয়েছেন সেটা নিশ্চিত করে বলা যায়। এখানে তিনি কি চিন্তায় করলেন? তিনি একটি সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভুতিতে কেন আঘাত দিলেন? এরকম প্রশ্ন মনের পর্দায় ভেসে উঠলো।
পোষ্টের কমেন্টসে হোটেলটির নামকরন পরিবর্তন অথবা গরুর মাংস আইটেমটি বাদ দিতে হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করেন। অনেকে এও মন্তব্য করেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নাম ব্যবহার করে তাদের অনুভুতিকে আঘাত করে ব্যবসা পরিচালনা করা আদৌও ঠিক হবে না। কেউ কেউ নাম পরিবর্তনের জন্য মহামান্য হাইকোর্টে রিটের জন্য তাদের ধর্মীও নেতাদের কাছে অনুরোধ করেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা কয়েকটি কমেন্টস পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হলো, আতাউর রহমান নামে একজন লিখেছেন, নারী উদ্যোক্তা হিসাবে পাবনায় ভালো অবস্থান তৈরি করেছিল, হঠাৎ করে সিনেমা জগত, রিসোর্ট, বিতর্কিত ভাতের হোটেল করে ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। আশা করি উনার শুভ বুদ্ধি উদয় হবে।
মশিউর রহমান বিপ্লব নামে একজন লিখেন, নিন্দা জানানো ছাড়া আমাদের আর কি করার আছে।
ভাস্কর স্যানাল লিখেন, এই দাম্ভিকতারও শেষ আছে। সময় একদিন জবাব দিবেই দিবে।
এমএস বাট নামে একজন কমেন্ট করেন, এদেশের মানুষ কি আর কখনো মানুষ হবেনা! নাকি চিরদীন হিন্দু-মুসলমাম হয়েই থাকবে! আর অশান্তির কারণ হবে!
আকু সেখ তার কমেন্টসে লেখেন, তথাকথিত তার পদলেহন কারি কিছু সাংবাদিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল বৈকি, কিন্তু মেরুদন্ডহীন এসব সাংবাদিকদের এসব দেখার সময় কৈ। তারাতো থাকে ধান্দায়। কখন কিছু উচ্ছিষ্ট তাদের হাতে চলে আসে। বাহার লেগে গেছে ব্লগ আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ক্ষুদে সাংবাদিকদের। সাধারণ মানুষ নাম আর স্টাফদের ড্র্রেস কোড দেখে ধরেই নিয়েছিলেন যে এটি একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের হোটেল। তা যদি হতো তাহলে আমি অনস্ত খুশী হতাম। কৃষ্ণ দা আপনার নিশ্চয়ই মনে আছে ইন্দারার ওখানে বিশুদ্ধ হিন্দু হোটেল নামে একটি হোটেল ছিল। সেই হোটেলের সুস্বাদু লাবড়া আর রুই মাছের স্বাদ এখনো শহরের অনেকের মুখে লেগে আছে। তো এতোদিন পরে এ ধরনের হোটেল হলে অসুবিধা কোথায়? কিন্তু এধরণের ভন্ডামি কেন? আসলে উনি চাচ্ছেন কি? খুব তাড়াতাড়ি এমন একটা বিষয় নিয়ে লেখবার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভ কামনা রইলো।
আমিনুল ইসলাম তন্ময় লেখেন, ধন্যবাদ দাদা। মানুষ কেন যে এমন মানসিকতা লালন করে!!। পল্লী পাঠাগার ডেমরা নামে একটি ফেসবুক থেকে কমেন্টস করেন, খুবই দুঃখজনক ৷ সাম্প্রদায়িক উস্কানী ৷ আমিত্য এবং দাম্ভিকতার পতন হোক।
নাজমুল বারী নাহিদ লিখেন, এটা হলো ব্যবসা? ধর্ম কর্ম তার উদ্দেশ্য নয়? ব্যবসা হলো মুল বক্তব্য। জামাইষষ্টি হিন্দু আচার হলেও সে এখানে গুলিয়ে ফেলেছে।
মোস্তাফিজ খন্দকার লেখেন, একেবারে ন্যাক্কারজনক ব্যপার। এটা প্রকারান্তরে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক একটা কাজ। স্পর্ধার ও একটা মাত্রা থাকে, সব কিছুকে অতিক্রম করে গেল এই ঘৃন্য সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক কাজটি। একে বিচারের আওতায় আনা এবং আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া উচিত, যাতে ভবিষ্যতে এ জাতীয় কাজে সবাই সতর্ক হয়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতি নষ্ট করে এমন বিষয় নিশ্চয়ই ব্যাবসায়িক অনুসঙ্গ হ’তে পারেনা! দেখা যাক প্রশাসন কি ব্যবস্থা নেয়!
এসকে নিজাম লেখেন, সংখ্যা লঘু নয়। অন্যায় যা, তা অন্যায়। যদি তিনি এমনটি করে থাকেন তবে প্রসাশনকে অবহিত করুন নিশ্চয় একটা ব্যবস্থা হবে।
এ্যাডভোকেট জামিল তার কমেন্টসে লেখেন, দাদা অসাধারণ লিখেছেন। উনি হিন্দুয়ানা সেজে ইন্দুবালা ভাতের হোটেল নাম দিয়ে কালাভুনা গরুর মাংসের অফার বা খাইয়ে আপনার আমার ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হেনেছে তদ্রপ উনি স্বাচ্ছা মুসলিম পরিবারে জন্ম ও তার মৃত স্বামীও একজন মুসলিম থাকা স্বত্তেও তিনি মুসলিম ধর্মে নিষিদ্ধ পণ্য অ্যালকোহলের লাইসেন্স সহ বিক্রয় করেন এটা মুসলিম সমাজ বা পরিবার কেহ গ্রহন করবে বলে জানা নাই। কই এ শহর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থল এলাকা মুসলিম প্রাধান্য ঘনবসতি এলাকা। কেহ টুস পরিমাণ শব্দও করার সাহস বৈকি আছে কারোর। তবে এদেশ ধর্মনিরপেক্ষ একটা স্বাধীন রাষ্ট্র। কোন ধর্মকে আঘাত করার ক্ষমতা কারোর আছে বলে মনে হয় না। নিশ্চয় এর একটা বিহিত ব্যবস্থা হবে বলে আশা রাখি। দাম্ভিকতারও শেষ আছে। সময় একদিন জবাব দিবেই দিবে।
মুঞ্জুরুল ইসলাম লিখেন, প্রথমেই তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এমন কাজের জন্য। জানি না উনার মত মানুষ এমনটি কি করে পারলেন, তবে এটার একটা option ছিল “ইন্দুবালা ভাতের হোটেল এন্ড মুসলিম কর্নার” নাম দিতে পারতেন তাতে সম্প্রীতি কিছুটা ঠিক থাকতো হয়তো।
মিলন সরকার লেখেন, লেখাটার জন্য কৃষ্ণ ভৌমিক মামা কে অনেক ধন্যবাদ। তবে একটা জিনিস বুঝলাম এ পাবনা শহরে অনেক ধর্মীয় নেতা আছেন তারা মুখ বুঝে দেখলেন, চোখ বন্ধ করে দেখলেন শুনলেন কিন্তু কোন প্রতিবাদ করলেন না। আসলে এই ধর্মীয় নেতাদেরকে আমাদের এই হিন্দু সমাজে আদৌ প্রয়োজন আছে ?
মারুফ রহমান লেখেন, এখানে প্রথম থেকেই নাটক শুরু হয়েছে। উদ্বোধনীতে মুসলিম নারীদের শাখা সিঁদুর পরিয়ে সনাতনী হিন্দু বানিয়েছেন। তাদের দিয়ে খাবার পরিবেশন করেছেন। এটা আমি কমেন্টসে লিখেছিলাম তাতে করে কয়েকজন আমাকে আঁকড়ে ধরেছিলো। টাকার ক্ষমতা আর দাম্ভিকতা মানুষকে ধ্বংস করে। আশা করি ভুল ক্রুটি গুলো সংশোধন হবে দ্রুত। আমরা সবকিছুই শান্তি চাই শান্তি। বিশৃঙ্খলা ঝগড়াঝাঁটি এসব নোংরামি ছাড়া আর কিছু নয়।
সিরাজুল ইসলাম মোতাহার লেখেন, দাদা বিচারাটা উত্তরাধিকারসূত্রে রতন সাহেবের ইউনিভার্সেল কোং মালিক ছিলেন। সারাদেশে ভালোই ব্যবসা ছিল টেস্টি স্যালাইন এর জন্য, কিন্তু সরকারের ট্যাক্স ফাকি মামলায় সেটা বন্ধ হয়ে যায়! এখন ভাত বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন আর সাধারণ মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করছেন, পাশে বড়দের জন্য হোটেল ব্যবসা। ওখানে কি হয় কেউ তো আর জানে না। সাধারণ মানুষ ডুকতেও পারে না। এটা সংখ্যালঘুদের সঙ্গে এক ধরনের মশকরা। এমন শত শত কমেন্টসে ভরপুর ছিল স্ট্যাটাসটিতে। গত কয়েকদিন ধরে “ইন্দুবালা” খাবার হোটেলটি নিয়ে প্রথম সারির কয়েকটি প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় স্বপক্ষে একাধিক খবর প্রকাশ পায়। যা পাবনার ইতিহাসে কোন “খাবার হোটেল” প্রতিষ্ঠানের এত প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে কিনা প্রশ্ন পাবনাবাসীর। তাহলে ওইসব সাংবাদিকদের মনমানসিকতা নিয়ে পাবনাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দাবি, হোটেলটিতে গরুর মাংসের আইটেম বাদ দিলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। অন্যদিকে ধর্মপ্রান মুসুল্লিদের দাবি, নাম যাই হোক অন্তত পরিবেশনকারীরা যাতে সংখ্যালঘু ধর্মের পোষাক পড়ে খাবার পরিবেশন থেকে বিরত থাকে। উভয় ধর্মের জনগোষ্ঠির দাবি, কোন ধর্মকে অবমাননা বা ছোট করে ব্যবসা পরিচালনা করা ধর্ম নিরপেক্ষদেশে কাম্য না। ইন্দুবালা নামটি এসেছে হিন্দু ধর্ম থেকে। এটা স্ত্রীলিঙ্গ। ইন্দুবালা নামের প্রতিশব্দ “চাঁদের মেয়ে”। জৌতিষদের মতে এ নামের মেয়েরা অতি উদ্দ্যমি ও আত্মবিশ্বাসি হয়। পাবনাবাসীও সেই আত্মবিশ্বাসি হয়ে নামকরণের সমাধানের দিকে চেয়ে থাকবে প্রত্যাশা সচেতন মহলের।