বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫০ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
এস এম আলম, পাবনা:
টেকসই দুগ্ধশিল্প, সুস্থ্য মানুষ, সবুজ পৃথিবী এ প্রতিপাদ্যে পাবনায় পালিত হয়েছে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস। এ উপলক্ষে জেলা প্রানী স¤পদ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে প্রানী স¤পদ কার্যালয় প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়েছে আলোচনা সভা। সভায প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন। জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আল মামুন হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান, চাটমোহর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা ডেইরী ফার্মার্স এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল হামিদ মাস্টার। সভায় বক্তারা দেশের অন্যতম দুগ্ধ প্রধান পাবনা অঞ্চলে দুগ্ধ সংরক্ষন এবং প্রক্রিয়াজাতকরন শিল্প প্রতিষ্ঠার দাবী জানান।
রাজশাহীতে কোরবানির জন্য ৪ লাখেরও বেশি পশু প্রস্তুত
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
রাজশাহী জেলা প্রশাসন ও জেলা প্রাণিসম্পদ দফতরের আয়োজনে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১ জুন) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ।
এর আগে, ‘টেকসই দুগ্ধ শিল্প: সুস্থ মানুষ, সবুজ পৃথিবী’-এ প্রতিপাদ্য নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, “নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মধ্যে অন্যতম হল দুধ। প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই নিয়মিত দুধের ব্যবহার হয়। দুধ সুষম ডায়েটের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। আট থেকে আশি সকলের জন্যই দুধ খুব স্বাস্থ্যকর একটি পানীয়। এই দুধ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারি এবং এর থেকে কী কী উপকারিতা পাওয়া যায়, সে সম্পর্কে তথ্য দিতে ‘বিশ্ব দুগ্ধ দিবস’ নামে একটি বিশেষ দিন রয়েছে আমাদের ক্যালেন্ডারে।”
“আসন্ন কোরবানির পশুর সঙ্কট হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই” উল্লেখ্যপূর্বক কৃষক ও খামারিদের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, “এবার পশু সঙ্কট হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৩ লাখ ২৪ হাজার ৬৭৭ কোরবানির পশুর চাহিদা পূরণের জন্য জেলায় প্রায় ৪ লাখেরও বেশি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। বরং চাহিদার চেয়ে প্রায় ৭০ হাজার পশুর জোগান বেশি রয়েছে।
পশুর জোগান বেশি থাকায় এবার ইদে গবাদি পশু পালনকারী খামারি ও ক্রেতা উভয়ের জন্যই একটি ভালো পরিবেশ বজায় থাকবে। এছাড়া ভারত থেকে গবাদি পশু আসা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। কৃষক ও খামারিরা যাতে কোরবানির পশুর ন্যায্য দাম পান, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে সীমান্ত অঞ্চল দিয়ে যাতে কোনো গবাদিপশু দেশে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে বিশেষ নজর দিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) প্রতি আহŸান জানান তিনি।” আলোচনা সভায় জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. জুলফিকার মোঃ আখতার হোসেন এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কেএইচএম এরশাদ। কৃত্রিম প্রজনন ল্যাবরেটরি রাজশাহীর সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার ডাক্তার অসীম কুমার প্রামাণিক এর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. সুব্রত কুমার সরকার। মোহনপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতরের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. শায়লা শারমিন এর সঞ্চালনায় খামারিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ভূগরইল দুগ্ধ উৎপাদনকারী দলের সভাপতি দেওয়ান সাদেক আহমেদ ও হিসাবরক্ষক মোছাঃ লাভলী আক্তার, ডেইরি অ্যাসোসিয়েশন রাজশাহীর সভাপতি মোঃ গোলাম রাহিদ, নাবা পোল্ট্রি এন্ড ডেইরি রাজশাহীর হেড অব অপারেশন বাবলুর রহমান।