বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২২ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
নিজস্ব সংবাদদাতা. পাবনা :
পাবনা সদর উপজেলার মালঞ্চি ইউনিয়নের মাহমুদপুর বাজারে স্বপনের অফিস ভাংচুর করলেন শিমুল বিশ^াসের ছাত্রদলের অনুসারিরা। এ সময় হামলা পাল্টা হামলা ও গুলি বর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০-১২ জন আহত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও ক্ষতিগ্রস্থরা জানায়, মালঞ্চি ইউনিয়নের মাহমুদপুর বাজারে সাবেক জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুন্নবী স্বপনের লোকজন আওয়ামীলীগের একটি অফিস দখল করে বিএনপি’র অফিস হিসাবে ব্যবহার করতে থাকে। মালঞ্চি ইউনিয়নের বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ইউনুস আলী মেম্বারের নেতৃত্বে বিএনপি ও আওয়ামীলীগ থেকে বিএনপিতে যোগদানকৃত নেতা-কর্মীরা সেখানে আড্ডা দিত। এদিকে কিছু দুরেই শিমুল বিশ^াস গ্রæপের ছাত্রদলের একটি অফিস রয়েছে। গত বুধবার দিনগত রাতে শিমুল বিশ^াসের অনুসারী জেলা ছাত্রদলের সাংগাঠনিক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন এর নেতৃত্বে কতিপয় ব্যাক্তি রাতের আধারে মাহমুদপুর বিএনপি অফিসের সামনের বসার যায়গা ভাংচুর করে ও স্বপনের ব্যানার ছিড়ে ফেলে। শুক্রবার সকালে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয় এবং উত্তেজনা দেখা দেয়। এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে জেলা ছাত্রদলের সাংগাঠনিক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ও সেখানে নব্য ছাত্রদলে যোগদানকৃত আমির হামজা, আনোয়ারসহ ৩টি মাইক্রোবাসযোগে মাহমুদ বাজারে পাশে অবস্থান গ্রহন করে। এ সময় তারা ভয়ভীতি দেখাতে ৩ রাউন্ড আগ্নেয়াস্ত্রের গুলি বর্ষন করে। এ ঘটনা জানতে পেরে ইউনুস মেম্বারের লোকজন মাহমুদপুর বাজারে সমবেত হতে থাকে। এদিকে মাহমুদ বাজারে প্রচার হয়ে যায়, শহর থেকে সন্ত্রাসীরা এসে গুলি করেছে। এ ঘটনা প্রচার হলে, দলমত নির্বিশেষে মাহমুদপুর বাজারে শত শত এলাকাবাসী লাঠি ও দেশিয় অস্ত্র নিয়ে অবস্থান গ্রহন করে। এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা মাইক্রোবাসের দিকে এগিয়ে গেলে তাদের দিকে আগ্নেয়াস্ত্র তাক করে সাদ্দামের নেতৃত্বে ছাত্রদলের নেতা-কমীরা। বিষয়টি স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং সাদ্দাম গংদের ধাওয়া করে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ১০/১২জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ ১জনসহ ৫/৬জন পাবনা সদর হাসপাতালসহ স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা গ্রহন করে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ পাবনা সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুস সালাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, উভয় পক্ষ অভিযোগ দিয়েছে। ইন্সপেক্টর সঞ্জয় তদন্ত করছে, তদন্ত শেষে দোষিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহন করা হবে।