বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২২ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা:
পাবনায় শহরের কাশিপুর বাজার থেকে পূর্ব শত্রুতার জেরে স্বামীকে তুলে নিয়ে এসে আটকে রেখে মারধর অতপর মেরে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ দিয়েছে স্ত্রী তানিয়া আক্তার চিহিৃত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় প্রাণভয়ে স্ত্রী তানিয়া থানায় অভিযোগ করলে তাদেরকে খুন করে ফেলা ও থানায় করা অভিযোগ তুলে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে সন্ত্রাসীরা।
ঘটনার কারণ হিসেবে এজাহার সূত্রে ও স্ত্রী তানিয়া আক্তার জানায়, গত ২২ ই নভেম্বর পাবনা সদর উপজেলার কাশিপুরে বেলা ১১:৩০ দিকে তার স্বামী কৃষ্ণপুর এলাকার মোঃ আব্দুল খালেকের ছেলে মোঃ আশিক হোসেন বাজার করতে যায় কাশিপুর বাজারে। বাজারে গিয়ে বাজার করতে থাকার সময় হঠাৎ করে পূর্ব শত্রুতার জেরে কলাবাগান মাঠপাড়া এলাকার মোঃ লিমন শেখের নেতৃত্বে ৪-৫ জন চিহিৃত সন্ত্রাসী , কলাবাগান মাঠপাড়া এলাকার মোঃ শরিফুল , দ্বীপচর আহাদ বাবুর বাড়ীর পাশের মোঃ ইনসাফ , ডিসি রোড শাপলা বিল্ডিংয়েল পাশের মোঃ মিথুন ও কাশিপুর বটতলা এলাকার মোঃ জিল্লুর ছেলে মোঃ তৈয়ব জোরপূর্বক ভুক্তভোগী মোঃ আশিককে মারধর করে কৃষ্ণপুর হামিদুল ক্লাবে তাকে তুলে নিয়ে এসে আসে আটকে রাখে। এরপর মোঃ আশিককে উক্ত সন্ত্রাসী মোঃ লিমন শেখের নেতৃত্বে বেধড়ক মারধর করা হয়। এ খবর তার স্ত্রী তানিয়া আক্তার তানি শুনতে পেয়ে দ্রুত সে কৃষ্ণপুর হামিদের ক্লাবে উপস্থিত হয় এবং উক্ত সন্ত্রাসীদের জিজ্ঞাসা করে কেন তার স্বামীকে তুলে নিয়ে এনে এভাবে মারধর করা হচ্ছে। তানিয়ার কথা শুনে উক্ত সন্ত্রাসীরা মোঃ আশিককে আরো বেশি মারধর করতে থাকলে স্বামীকে বাঁচাতে সে সন্ত্রাসীদের বাধা দেয়।
এ ঘটনায় আসামী মোঃ লিমন শেখ তানিয়াকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং তার চুলের মুঠি ধরে তাকে পাইপ ও রড দিয়ে তাকে বেধড়ক পিটায়। এবং তানিয়ার পরণে থাকা বোরকা টেনে হেচড়ে ছিরে দিয়ে তাকে শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করলে তানিয়া চিৎকার করে । তানিয়ার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। এ সময় আসামীদের রড ও পাইপের আঘাতে তানিয়ার বাম পায়ে , মাজায় এবং শরীর বিভিন্ন জায়গায় রক্ত জমে গিয়ে বড় বড় জখমের সৃষ্টি হয় এবং সে গুরুত্বর আহত হয়। আশপাশের লোকজনদের আসতে দেখে আসামীরা তার স্বামী মোঃ আশিককে খুন করবে বলে তাদের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গুরুত্বর আহত অবস্থায় তানিয়াকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ব্যাপারে তানিয়া আরো অভিযোগ করেন আসামীরা মারধর করার সময় আমার নিকট থেকে আমার ভেনেটি ব্যাগ নিয়ে যায় যে ব্যাগে আমার নগদ ১৩ হাজার টাকা ছিলো। সেগুলো তারা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে তানিয়া আক্তার স্বামী ও নিজ প্রাণভয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। আর থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর থেকে উক্ত শরিফুল বাহিনীরা বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে তার স্বামীকে মেরে ফেলার ও থানার এজাহার তুলে নেওয়ার জন্য ভয়ভীতি হুমিক দিচ্ছে। আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে। তবে এলাকার মানুষ তানিয়াকে এভাবে জখম করবে এবং আপত্তিকর কর্মকান্ড করবে এটা আমাদের জন্য লজ্জাজনক বিষয়। আমাদের হামিদুলের স্মৃতি সংঘের ক্লাবের আশপাশের এলাকাবাসি আসামীদেরকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
এ ঘটনায় তানিয়া আক্তারের সাথে এ সাংবাদিকের কথা হলে , তিনি বলেন আমার স্বামীকে মেরে ফেলানোর চেষ্টা চালাচ্ছে এই শরিফুল বাহিনী। আমি সবসময় প্রাণভয় নিয়ে জীবন সংখ্যায় আছি এই ভেবে যে কখন জানি আমাদের উপর আবার হামলা হয়। কখন জানি উক্ত শরিফুল বাহিনী আমার স্বামীকে আবার তুলে নিয়ে যায়। আমি আমার স্বামী জীবনসংখ্যা নিয়ে ভুগছি। তাই পাবনা প্রশাসনের কাছে আমার জোর দাবি অতি দ্রুত আমার এ ঘটনাটি ক্ষতিয়ে দেখে ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে তাদের বিরুদ্ধে আইননানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানাচ্ছি।