শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২৪ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
আল এহসান হক মাসুক, পাবনা:
পাবনার কাশিনাথপুরের আনাচে কানাচে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে অনুমোদনহীন কিন্টারকার্ডেন স্কুল। আর এ সকল কিন্টাগার্ডেনে শিক্ষা দেওয়ার নামে চলছে ব্যবসা। অনুমোদনহীন এ সকল কিন্ডার গার্ডেনে পড়াশুনার নামে অভিভাবকদের পকেট কাটা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে কাশিনাথপুর কোমলমতি ছেলে মেয়েদের অভিভাবকদের মধ্যে নিন্দার ঝড় উঠেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গিছে, কাশিনাথপুর বাজার থেকে শুরু করে বিভিন্ন মোড়ে, পাড়া, মহল্লা ও মহাসড়কের পাশে বড় বড় করে চটকদারী বিলবোট টানিয়ে গ্রাম গঞ্জের ছেলে মেয়েদের অভিভাবকদের আকৃষ্ট করা হচ্ছে।
আর চটকদারী বিলবোর্ডের পাশাপাশি চটকদারী নাম দিয়ে লোভনীয় সুযোগ সুবিধার আশ্বাস দিয়ে অভিভাবকদের বুঝিয়ে সুজিয়ে তাদের সন্তানদের সেখানে অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে ভর্তি করা হচ্ছে । কিন্তু সেখানে ভর্তি করে সন্তানদের দৈনদিন পড়াশুনা নিয়মিত পাঠদান কোন কিছুই সঠিকভাবে করছেনা এ সকল কিন্ডারগার্ডেনগুলো বলে মোঃ হারুন শেখ নামের এক অভিভাবক অভিযোগ করেন। সরকার যেখানে নিয়ম করে দিয়েছে সরাকরী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশপাশে কোন কিন্ডারগার্ডেন বা স্কুল থাকা যাবেনা। সেখানে সরকারের এ সকল নিয়মনীতিকে বিদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে এ সকল অনুমোদনহীন কিন্ডারগার্ডেন চালাচ্ছে শিক্ষকের নামে কিছু অসাধু ব্যাক্তিরা। এ সকল অভিযোগের পেক্ষিতে এ সকল কিন্ডার গার্ডেনে প্রবেশ করে তাদের অনুমোদন কাগজপত্র দেখতে চাইলে তারা কোন অনুমোদনপত্রের কাগজ দেখাতে পাড়েনি। তাহলে তারা কীভাবে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে এ সকল কিন্ডারগার্ডেন চালাচ্ছে ? আর এ সকল কিন্ডার গার্ডেনে শিক্ষকরা যথেষ্ট শিক্ষিত ও অভিজ্ঞ না হওয়ায় সেখানকার শিক্ষার মান কতটুকু সঠিক হবে সে প্রশ্ন থেকেই যায় ?
তাহলে তারা ছেলে মেয়েদের কীভাবে পাঠদান করান সেটাও ভাববার বিষয় বলে সাংবাদিকের সঙ্গে কাশিনাথপুর সরকারী স্কুলের একজন শিক্ষকের কথা হলে তিনি জানান। এ সকল গড়ে ওঠা স্কুলগুলোর মধ্যে রয়েছে মিলিনিয়াম একাডেমী, ওরকিট কিন্টারগার্ডেন, বিজ্ঞান স্কুল কিন্ডাগার্ডেন, মাতৃভূমি কিন্টারগার্ডেন, আল আকবা কিন্টাগার্ডেন, ন্যাশনাল কিন্টাগার্ডেন সহ আরো অনেকগুলো অনুমোদনহীন কিন্টারগার্ডেন। এ সকল কিন্ডারগার্ডেন গুলোর ভিতরে প্রবেশ করে দেখা গেছে সেখানে শিক্ষার্থীদের জন্য যথেষ্ট শ্রেনীকক্ষ নেই, শিক্ষার্থীদের জন্য চলাচলের পর্যাপ্ত জায়গা নেই, পয়নিস্কাষনের জন্য বাথরুম নেই, খেলাধুলা করার জন্য খেলার মাঠ নেই। কোন রকম দুই চারটা কক্ষ নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে এ সকল কিন্টাগার্ডেনে। আর পড়াশুনা করার মতো শিক্ষার কোন পরিবেশ নেই। এ ছাড়াও সেখানকার পড়াশুনার মানও অত্যন্ত নিম্নশেণীর বলে কাশিনাথপুরের অভিজ্ঞ মহলের দাবি। শুধু চটকদারী নাম ও বিজ্ঞাপনই চোখের পড়ার মতো কিন্তু পড়াশুনার মান একেবারেই নাই বললেই চলে বলে কাশিনাথপুরের সরকারী প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মহল মনে করেন। শিক্ষার নামে কিছু অসাধু ব্যাক্তিবর্গরা এ সকল প্রতিষ্ঠান সরাকরী নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই খুলে বসেছে। আর এতে করে সরকারের তৈরীকৃত সরকারী বিদ্যালয়গুলোতে পড়াশুনার সুযোগ হারাচ্ছে কাশিনাথপুরের কোমরমতি ছেলে মেয়েরা বলে কাশিনাথপুরেরে একাধিকার মহলের অভিযোগ। তাই অতি দ্রুত এ সকল স্কুলের অনুমোদন আছে কিনা বা পাঠদানের অনুমতি আছে কিনা ক্ষতিয়ে দেখে এ সকল অসাধু কিন্ডানগার্ডেন বন্ধের জোর দাবি জানিয়েছে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সহ জেলার উধ্বর্তন কর্মকর্তার নিকট কাশিনাথপুর বাসি।