রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪০ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা:
পাবনা চাটমোহর উপজেলার ফৈলজানা ইউনিয়নের পবাখালি দিঘুলিয়া গ্রামে মায়ের হাত-পা বাধা ও শিশু সন্তানের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতরা হলেন, মালয়েশিয়া প্রবাসী আব্দুর রশিদের স্ত্রী লাবণী খাতুন (৩২) ও তার শিশু সন্তান রিয়াদ (০৯)। স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতের যে কোন সময় আব্দুর রশিদের বাড়ির ঘরের টিন কেটে ভিতরে প্রবেশ করে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা। তারা প্রবাসীর স্ত্রী লাবনী খাতুন ও ছেলে রিয়াদকে শ^াসরোধ করে হত্যা করে। দুর্বৃত্তরা এ সময় শিশু সন্তান রিয়াদকে হত্যা করে বাড়ির পিছনে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখে এবং রিয়াদের মা লাবনী খাতুনকে হাত-পা বেধে গোয়াল ঘরের ভিতরে ফেলে রাখে। প্রতিবেশি স্বজনেরা জানান, তারা সকালে লাবণী খাতুনের সারা শব্দ না পেয়ে খোজাখুজি করতে থাকেন। অনেক খোজাখুজির এক পর্যায়ে প্রথমে লাবনী খাতুনের মরদেহ গোয়াল ঘরের ভিতরে হাত-পা বাধা অর্ধউলঙ্গ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। পরে রিয়াদের মরদেহ বাড়ির পিছনে একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। স্থাণীয়রা ঘটনা জানতে পেরে চাটমোহর থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে ঘটনাস্থলে পৌছে সুরতহাল তদন্ত শেষে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। রিয়াদ স্থানীয় একটি প্রাাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেনীর ছাত্র। নিহতদের শোবার ঘর তছনছ করে দুর্বৃত্তরা। ঘরের বিছানাসহ জিনিসপত্র এলোমেলোভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে ছিলো।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেলিম রেজা ঘটনার সতত্য নিশ্চিত করে জানান, তারা আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় স্থাণীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে সুরতহাল তদন্ত শেষে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, খুব দ্রæত ঘটনা উৎঘাটন হবে। এ ঘটনার সাথে যারাই জড়িত থাকুক না কেন, তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের সম্মুখিন করা হবে।
এদিকে নিহত লাবণীর বড় ভাই শাহাদত হোসেন বাদী হয়ে শুক্রবার রাতেই অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে চাটমোহর থানায়। মামলা নং ২২, তারিখ ২৬ জানুয়ারী। তবে ঘটনার ২ দিন অতিবাহিত হলেও এ পর্যন্ত পুলিশ হত্যার কারন উদঘাটন বা কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি। হত্যাকান্ডের পর থেকেই ওই গ্রামে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। তবে পুলিশসহ আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনির একাধিক টিম ঘটনার রহস্য উদঘাটনে ও আসামীদের গ্রেফতারের জন্য কাজ করছে।