বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৫ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
নিজস্ব সংবাদদাতা, বেড়া পাবনা:
পাবনার বেড়ায় সরকারী অনুমোদন বিহীন চৌধুরী ক্লিনিকে চলছে গলাকাটা বাণিজ্য। আর এসব ক্লিনিকে রোগ নির্ণয়ের নামে নানা অযুহাতে প্রতিনিয়ত চলছে রোগীদের পকেট কাটা। এক শ্রেণীর মুনাফা লোভী এসব ক্লিনিকের মালিক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে চিকিৎসা সেবার নামে গলাকাটা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। বেড়া চৌধুরী ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড ক্লিনিকে হল মোড়ে সরকারী কোন অনুমোদন নেই এবং প্যাথলজী ও ক্লিনিক পরিচালনার কোন নিয়ম-নীতি মানা হচ্ছে না। রোগ নির্ণয়কেন্দ্র (প্যাথলজী) পরিচালনার জন্য সার্বক্ষণিকভাবে সনদধারী ও প্রশিক্ষিত একজন টেকনিশিয়ান এবং প্রতিবেদন (রিপোর্ট) প্রদানের জন্য একজন এমবিবিএস সনদধারী চিকিৎসক নিয়োজিত থাকার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু বেড়ায় সরকারী অনুমোদন বিহীন এসব ক্লিনিক চলছে টেকনিশিয়ান ও চিকিৎসক ছাড়াই। এছাড়া প্রয়োজন না হলেও গ্রামের সহজ-সরল রোগীদের কাছ থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে পকেটের টাকা। ফলে রোগীদের অনেকে টাকা খরচ করার পরও চিকিৎসা সেবার নামে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে। এছাড়া সনদ বিহীন ও অনভিজ্ঞ টেকনিশিয়ান দিয়ে রোগ নিরুপন করায় চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা ভুল চিকিৎসার শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সরকারী হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মচারী এবং কতিপয় ফার্মেসী মালিক যোগসাজশ করে বেড়ায় সরকারী অনুমোদন বিহীন এসব ক্লিনিক ও প্যাথলজী গড়ে উঠেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বেড়া বাজার এলাকার জুহুরা বেগম বলেন, গত ৭/৮ দিন আগে সর্দি-কাশি ও জ্বর হলে আমি বাজারের ডাঃ তাপস এর নিকট চিকিৎসা নিতে যাই। কিন্তু সামান্য রোগ নির্ণয়ের জন্য আমাকে ডায়বেটিস, জন্ডিস, টাইফয়েট সহ ৪টি রোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরামর্শ দেন। মরিচ্যা বাজারের সেবা প্যাথলজীতে এসবের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসক আমাকে শুধু জ্বরের জন্য ওষুধ দেন। আর প্রয়োজন না হলেও পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে আমার কাছ থেকে ৮০০ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে।বৃশালিখা গ্রামের শফিকুল ও শাহপাড়ার এলাকার জমির উদ্দিন জানান, চৌধুরী চিকিৎসক নামধারী কিছু অসাধু ব্যক্তি ও ফার্মেসী ব্যবসায়ী ‘চৌধুরী প্যাথলজী’ নামের রোগ নির্ণয়কেন্দ্র খুলে চিকিৎসা সেবার অযুহাতে প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে। অসাধু এ কাজের জন্য হাটুরিয়া নাকালিয়া ইউনিয়নের উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র এ প্যাথলজী ব্যবসার সাথে জড়িত বলে তিনি অভিযোগ করেন। বৃশালিখা গ্রামের শফিকুল বলেন আমার স্ত্রী গর্ভবতী ছিল চৌধুরী ডায়াগনষ্টিক সেন্টার এন্ড ক্লিনিক চিকিৎসা জন্য গেলে ভুল চিকিৎসায় গর্ভেন সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ফাতেমাতুজ জহুরা জানান, চৌধুরী ডায়াগনষ্টিক সেন্টার এন্ড ক্লিনিক সেবা প্যাথলজীর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। একটি প্যাথলজী পরিচালনা করার জন্য সনদধারী একজন টেকনেশিয়ান এবং রিপোর্ট প্রদানের জন্য সার্বক্ষণিক একজন এমবিবিএস সনদধারী চিকিৎসক নিয়োজিত থাকার নিয়ম থাকলেও এ ল্যাবে কোনটিই মানা হচ্ছে না। এছাড়া তার পরিবেশের ছাড় পত্র নেই, এমন কি তার ক্লিনিকের লাইসেন্স এর মেয়াদ শেষ। চৌধুরী ডায়াগনষ্টিক সেন্টার এন্ড ক্লিনিকের মালিক মোতাহার আলম চৌধুরী সাথে যোগাযোগ করা হলে নিউজ প্রকাশ না করার জন্য এই প্রতিনিধি কে নিষেধ করেন। বেড়া নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সবুর আলী বলেন, কেও শর্তপুরন না করে প্রাইভেট ক্লিনিক ব্যবসা করতে পারবে না তার বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।