বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫২ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
সাঁথিয়া, পাবনা প্রতিনিধি:
পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলার গৌরীগ্রাম ইউনিয়নের ইকরজানা গ্রামের খবির সেখের মেয়ে দুই সন্তানের জননী রেহেনা বেগম(৩৫) । অপরদিকে সুজানগর উপজেলার আমিনপুর থানাধীন আহম্মদপুর ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের মৃত সোবহান খাঁনের ছেলে তিন সন্তানের বাবা আখের আলী খাঁন (৩৮)। গত ৩০শে জুন বুধবার সকালে পরকিয়ার জের ধরে পালিয়ে যায়। পরে বেয়াই মোটর সাইকেল যোগে বেয়ানকে নিয়ে রঘুরামপুর গ্রামের আব্দুস সামাদ মহরীর ছেলে কালামের ভায়রা বাড়ীতে উপস্থিত হয়। ওই বাড়িতে অবস্থান কালে তাদের আচরণবিধি দেখে স্থানীয়দের মনে সন্দেহ হয়। এক পর্যায়ে লোকজন তাদেরকে ওই বাড়িতে আটকে রেখে ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান,মেম্বার ও গ্রামের প্রধানদের খবর দেয়। উপস্থিত সবাই রেহানা বেগম ও আখের আলীকে জিজ্ঞাসা করলে তারা বলে আমরা দুজন দুজনকে ভালোবাসি। এক বছর আগে থেকে আমাদের মধ্যে গভীর প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। এই সম্পর্কের জের ধরে আজকে আমরা বিয়ে করার জন্য পালিয়ে এসেছি। খবর শুনে ঘটনাস্থলে পৌছে এ প্রতিবেদক আখের আলী খাঁন ও রেহানা বেগমকে জিজ্ঞাসা করলে তারা জানায়, আমরা দুজন দুজনকে ভালোবাসি এক বছর আগে থেকে আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছে। উক্ত ঘটনা রেহেনা বেগমের পরিবারকে এবং আখের আলী খাঁনের পরিবারকে জানানো হলে তারা রঘুরামপুর গ্রামের আব্দুস সামাদের বাড়িতে উপস্থিত হয়। সালিসি মিমাংসায় উক্ত ঘটনা ধাপাচাপা দেবার জন্য ১৫ হাজার টাকা দাবি করেন ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের রঘুরামপুর গ্রামের গ্রাম্য প্রধান আব্দুস সামাদ ও তার ভাগ্নে আব্দুল আওয়াল। ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে গেলে ১৫ হাজার টাকার বিষয়ে মোবাইল ফোনে আব্দুস সামাদ জানান, তার জানামতে ১৫ হাজার টাকা দিয়েছেন। যেহেতু ১৫ হাজার টাকা দিয়েছে সেহেতু টাকার ভাগ আমাকেও দিতে হবে বলে তিনি জানান। টাকা কার কাছে আছে সেটা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার জানামতে টাকা আওয়ালের কাছে আছে। তবে টাকার বিষয়ে সামাদ তার ভাগ্নে আউয়ালের কাছে জেনে সঠিক তথ্য জানাবেন বলে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন। অত্রএলাকার সমস্ত কুকর্মের মূলহোতা আওয়াল ও সামাদ। মামা-ভাগ্নের সকল অপকর্মের হাত থেকে এলাকাবাসীকে রক্ষার জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সুশীল সমাজ। টাকার বিনিময়ে ইজ্জতের মিমাংশা নামক ন্যাক্কারজনক এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তাই এলাকাবাসী মামা-ভাগ্নের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।